আবর্জনায় সমস্যা দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

আবর্জনায় সমস্যা দূষিত হচ্ছে পরিবেশ
নাগরিক দুর্ভোগের ৩ পর্ব

রনি ইমরান, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

পাবনা শহরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রাস্তার উপর, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এর আশেপাশে আবর্জনার স্তুপ পরে থাকতে দেখা যায় দিনের পর দিন। ঠিক মত অপসারণ না করায় আবর্জনা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে শহরবাসী। কোথাও কোথাও ডাস্টবিন ভরে গিয়ে রাস্তার উপর আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিভিন্ন স্থাপনার সামনেও আবর্জনার স্তুপের ছোট খাটো টিলার মত হয়ে আছে। এ থেকে ভগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। রোজাদার পথচারীদের নাকে হাত দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। পাবনা শহরের লস্করপুর সরকারী গ্রন্থাগারের সামনে আবর্জনায় মাঠ ভরে গেছে। গ্রন্থাগারের কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রন্থাগারের সামনে মাঠটিতে আবর্জনার স্তুপ থেকে প্রচন্ড দুগন্ধ বের হয়। লাইব্রেরীতে যারা পড়তে আসে এ জন্য তারা উঠে চলে যায়। সরেজমিনে দেখা যায়। খোলা আবর্জনায় পুশ পাখি এ থেকে বিষাক্ত খাবার গ্রহণ করেছে। পরিবেশের জন্যও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আবর্জনার সমস্যা শহরের প্রায় সবখানে কম বেশী দেখা যাচ্ছে। পাবনা শহরের ১৫টি ওয়ার্ডে প্রায় ২ লক্ষের বেশী মানুষ বসবাস করে। ২ লক্ষ মানুষের বর্জ অপ্রসারণের প্রতিনিয়ত হিমশিম ক্ষেত্রে হচ্ছে বলে জানান পৌর কর্তৃপক্ষ। শহরের ১ নং ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ সুজা জানান প্রতিদিন আবর্জনা নিজে উপস্থিত থেকে কখনও নিজেই পরিস্কার করি। কিন্তু কষ্ঠের কথা হলো জন্যসাধরণ নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা না ফেলে ড্রেনে ফেলে এতে পানি নিঃস্কাষণ ব্যবস্থার ত্রুটি হয় এবং আবর্জনা অপাসারণ করতে ডাবল কষ্ট হয়। আবর্জনার সমস্যার আর একটি অন্যতম কারণ হলো পর্যাপ্ত জনবল না থাকা বলে স্বিকার করেন তিনি। দুই ধরনের আবর্জনার মধ্যে ক্ষতিকার বিপদজনক হলো হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের সংক্রামক বর্জ্য যেটা মানুষ, পশু-পাখির জন্য চরম হুমকির এ বিষয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ আবুল বাশার জানান এ আবর্জনাগুলো সংক্রামক ও বিপদজনক। আবর্জনা যেখানে সেখানে পড়ে থাকলে বৃষ্টি পানির সঙ্গে তা সর্বত্র ছড়িয়ে যায়। এতে করে শিশুদের পানি বাহিত রোগ ডাইরিয়া, আময়াশা, পেটে পীড়াদায়ক অসুখ সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া এ বিষাক্ত আবর্জনার মধ্যে থাকা ব্যাবহৃত হওয়া সিরিঞ্জ এর সুচ যদি মানব দেহে ঢোকে তাহলে সেখানে মাংস পচন, হিপাটাটিস বি ভাইরাস, এইচআইভির মত মারাত্মক অসুখে সংক্রামিত হতে পারে। এগুলো মাঝে মধ্যে সাধারণ আবর্জনার সাথে মিশে থাকতে দেখা যায়। পাবনার একটি জেনারেল হাসপাতাল, একটি বক্ষব্যাধি, একটি মা ও শিশু প্রসুতি হাসপাতালসহ প্রায় ৫০টি ক্লিনিক আছে। এছাড়া ১১টি কাঁচা বাজার ও শিল্প প্রতিষ্ঠান হোটেল, বাসা বাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানের এই বৃহৎ পরিমান বর্জ অপসারনের জন্য পাবনা পৌর কর্তৃপক্ষকে আরও যথাযর্থ পদক্ষেপ নেওয়া জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন শহরবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!