ভারতের লোকসভা নির্বাচনঃ একটি পর্য্যালোচনা

ভারতের লোকসভা নির্বাচনঃ একটি পর্য্যালোচনা
রণেশ মৈত্র (একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক)
সভাপতিম-লীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ

আবশেষে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্তভাবে জানা গেল। সকল জল্পনা কল্পনারও অবসান হলো। বহু ভাষী, বহু জাতিক, বহু আদর্শিক, বহু ধর্মে বিশ্বাসী কোটি কোটি মানুষের দেশ হলো বিশাল ভারত যে দেশে ১৯৪৭ এর ১৫ আগষ্ট থেকে শুরু করে আজ ২০১৯ এই দীর্ঘ ৭২টি বছর ধরে আজ এবং বহদলীয় গণতন্ত্র মোটামুটি অব্যাহতভাবে লালিত হয়ে এসেছে যার নজীর পৃথিবীতে বিরল। আর সে কারণেই আজ অন্তত: দুটি মাস ধরে গণতান্ত্রিক বিশ্বেও শত শত কোটি মানুষের দৃষ্টি নিবন্ধ ছিল ভারতের নির্বাচনের প্রতি।
ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালের বিশ্বস্ততম বন্ধু। তাই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ আরও গভীরভাবে নজরে রেখেছেন সে দেশের রাজনীতির গড়তি প্রকৃতির দিকে, লোকসভার ভোটের দিকে নির্বাচনী ফলাফলের দিকে। এই ভঅবে আর কোন দেশের নির্বাচনের প্রতি বাঙালি জাতির নজর রাখতে কোন দিনই দেখা যায় নি। দেখা যায় নি পাপকিস্তান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার বা অপরাপর প্রতিবেশী দেশের নির্বাচন কালে।

ইতোমধ্যে টেলিভিশনের কল্যাণে জানা গেল, ভারতের পেরুয়া নেতৃত্ব দ্বিতীয় বারের মত দিল্লীতে গদ্দিশিন হতে চলেছেন যদিও এই নিবন্ধটি যখন লিখছি তখনও পর্য্যন্ত কাজ চূড়ান্তভাবে শেষ হয় নি।
বিশ্ময়কর হলেও জানা গেছে যে অতীতের ঐতিহ্যবাহী ঘাঁটি উত্তর প্রদেশ এবারও কংগ্রেসের হাতে ধরা দিল না। সেখানে এবার রাহুল গান্ধীর মত কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাজিও পরাজয় বরণ করতেন। সেখানেও বিজেপি’র প্রাধান্য বজায় থাকছে অবিশ্বাস্য ভাবেই। রাহুল অবশ্য কেরালার একটি আসন থেকে জয় লাভ করেছেন।
গুজরাটও আবার বিস্ময়ের সৃষ্টি করলো। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঐ প্রদেশে প্রায় সব কটি আসনে বিপুল ভোটাধিক্যে বিজয়ী হলেও ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস আশাতীতসংখ্যক আসনে বিজয় ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হলেও, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে আজ দেখা যাচ্ছে আবারও ২০১৪ সালের মত চিত্রই। গত বছর ভাবা গিয়েছিল গুজরাটি সহ কয়েকটি বিধান সভার নির্বাচনী ফলাফল কংগ্রেসের অনুকূলে যাওয়ায় তা রীতিমত প্রভাব ফেলবে এবারের লোকসভা নির্বাচনেও। কিন্তু যে ধারণা শেষ পর্য্যন্ত ভ্রান্ত প্রমাণিত হলো বিজয় আবার অর্জন করলো বিজেপিই।

পশ্চিম বঙ্গে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকে প্রায় অস্তিত্বহীন করে ফেলেছে এবারের নির্বাচনী ফলাফল। সেখানেও উত্থান ঘটে গেল বিজেপি’র দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস যে উগ্র বাম-বিরোধিতা করে কয়েকবছর আগে ক্ষমতা দখল করে পশ্চিম বাংলায় দক্ষিণ পন্থীদের উত্থানের সুযোগ করে দিয়েছিলেন, বিজেপি তার যথার্থ সদ্ব্যাবহার করে পশ্চিম বঙ্গে দ্বিতীয় বৃহত্তম দলে পরিণত হতে পেরেছে। আগামী নির্বাচনে যদি পশ্চিম বঙ্গ বিধান সভায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসকে পরজিত করে বিপুল সংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়ে পশ্চিবঙ্গেও বিজেপি সরকার গঠন করেন, তাতে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। রাজনীতির গতি প্রকৃতি তেমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গও কি তবে উগ্র হিন্দু সাম্প্রদায়িক দলের খপ্পড়ে পড়বে? ভারতে দক্ষিণপন্থীদের উত্থান কি এতটাই প্রবল?

এক চরম আত্মঘাতি পথে যাত্রা শুরু করেছে ভারতবর্ষ। তার সকল গর্ব, সকল অহংকার, সকল অর্জন ধূলিস্যাত হতে চলেছে। বিভেদকামী শক্তি ক্ষমতায় এসেছে আবারও। পরিণতি যে মারাত্মক হতে পাওে তেমন আশংকা একেবারেই বাস্তব।

কী আশ্চার্য্য! ২৩ মে ২৪ মে ফলাফল গণনা ও ঘোষণার আগ পর্য্যন্ত যখন সমস্ত এক্সিট পোল জানালো মোদিও দল পুনরায় ক্ষমতায় আসছেন তবে তাঁদের আসন সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস পাবে। বি.জি.পি’র আসন সংখ্যা হ্রাস পাবে এ প্রশ্নে কারও দ্বিমত ছিল না। যদিও সবাই মোদি কোন ক্রমে টিকে যেতে পারেন এমনটি ভবছিলেন সবাই। বুথ ফেরত জরিপে পশ্চিম বাংলায় গেরুয়া বসন ধারীরা তাদের পূর্বেকার দুটি আসনের জায়াগায়ে এবার বড়জোর ১০/১২ টি আসন পেতে পারে এই রূপই ধারণা দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তারা ২২ টি আসনে জিতেছে। এবার কোন রকমে কংগ্রেস দুটি আসন ধরে রাখতে পারলেও বামফ্রন্ট সকলকে হতাশ করেছে একটিও আসন না পেয়ে। বিজেপি’র যেমন ভূমিধস বিজয় অর্জিত হলো তেমনই করুনতম পরাজয় ঘটলো টানা ৩০/৩৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা লাল ঝঞ্চার গৌরবম-িত বামফ্রন্ট। পরিণতিতে পশ্চিমবঙ্গেও মানুষের সেখানকার সমাজে এক গভীর বিপর্য্যয় যে নেমে আসার আশংক অনেকেই তা স্বীকার করেন। শুধুই বা পশ্চিমবাংলার মানুষ কেন সমগ্র ভারতের মানুষকেই যে ভুগতে হবে অনেকের ভাবনাতেই তার প্রকাশ ঘটেছে। ফেসবুক একটি পোষ্টে জানা গেল উত্তর প্রদেশের একটি অঞ্চল থেকে আতংকে মুসলিমরা পালাচ্ছেন।

ভারতের নবেল বিজয়ী প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অসত্য সেন এই ফলাফল দেখে এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন যে তা তিনি অত্যন্ত তিক্ত ভাষায় প্রকাশ করেছেন। অসর্ত্য সেন বলেছেন “ভারতের মানুষ বোকা ও মূর্খ তাই তারা বিজেপির মত দলকে বিজয়ী করেছে। স্বনামের খ্যাত আন্তর্জাতিক মর্য্যাদা সম্পন্ন বেচশ কয়েকটি বিদেশী পত্রিকাও, যেমন ওয়াসিংটন পোষ্ট নিউইয়র্ক টাইমস সহ বেশ কয়েকটি বহুল পঠিত সংবাদপত্র“ভারতে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিজয়” ও “ভারতে বিভেদ পন্থী হিন্দুত্ববাদী মোদিও দল বিজয় অর্জন করলো” জাতীয় শিরোনামে খবর প্রকাশ করে তাদের অভিমতের প্রকাশ ঘটিয়েছে।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ পৃথিবীর সকল দেশে সরকার প্রধানরা প্রথা মাফিক রাষ্ট্রীয় শুভেচ্ছা অবিনন্দন জানিয়েছেন। পাকিস্তান ভাবছে, সর্বাগ্রে শুভেচ্ছা জানাই নতুবা যদি আক্রান্ত হই: শ্রীলংকা ও অনুরুপ জঙ্গী ও বিদ্রোহী প্রশিক্ষণের আশংকায় মন্ত্রস্ত। বাংলাদেশ ভাবে পুরাতন ছিটমহল সমস্যার সমাধান যেহেতু সম্ভব হয়েছে তদ্রুপ হয়তো তিস্তা নদীর জল সংকটেরও সমাধান হবে। এ ব্যাপারে বিদ্বজ্জনেরা ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করে বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালে আন্তরিকভাবেই ছিট মহল সমস্যার সমাধান করতে চাইলেও সংবিধান সংশোধনের মত সংখ্যাধিক্য না থাকায় এবং তৎকালীন বি.জে.পি ও সাম্প্রদায়িক গলগুলি তাতে সমর্থন না দেওয়ায় সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব না হওয়াতে কংগ্রেস সরকার তা করতে পারেন নি।

তিস্তা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রেও কংগ্রেস সরকার যথেষ্ট চেষ্টা করলেও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গোঁয়ার্তুমিয় ফলে তা সম্ভব হয় নি। এখন যদি মমতা রাজী হতেন তখন বিজেপি নেতা মোদী কি করেন তার পরীক্ষাটা ভালভাবে করা যেত। তবে গোঁয়ার্তুমিতে ভরা মমতা ব্যানার্জিও এবারকার লোকসভার ফলাফলের পর তিস্তা সমস্যার সমাধান যে আরও দুরূহ হয়ে গেল সে কথাটি মনে রাখা প্রয়েঅজন। তবে নির্বাচিত প্রতিবেশী দেশের সরকারকে রাষ্ট্রীয় ভাবে অভিনন্দন জানিয়ে পারস্পারিক সম্পর্ক দৃড়তর করা এবং আন্ত: রাষ্ট্রীয় বিরোধগুলি মিটিয়ে ফেলার কথা না বলার কোন কারণ নেই। তবে তা সবই সৌজন্যমূলক এ কথাও মনে রাখা প্রয়োজন।
অভিযোগ উঠেছে যে, পশ্চিম বাংলায় বামেরা ‘রামে’ ভোট দিয়েছে বলেই ঐ রাজ্যে বিজেপি এত বড় বিজয় অর্জন করতে পেরেছে। প্রচারটি চালিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান স্বয়ং মমতা বন্দোপধ্যায়। বিকৃত মস্তিস্কেও মত তিনি এক এক বক্তৃতায় এক এক কথা বলছেন যা অনেক সময় স্ব-বিরোধীও হয়ে পড়ছে। মমতা বলেছেন, তাঁরা রাজ্যে লোকসভার যে ৪২ টি আসনে জোট অনুষ্ঠিত হলো তার ৪২টিতেই তৃণমূল বিজয়ী হবে। কিন্তু কার্য্যত বিজয়ী হলো তার প্রায় অর্ধেক এবং বিজেপি সেখানে তৃণমূলের প্রায় সমশক্তি সম্পন্ন হয়ে উঠেছে তলে তলে ঘৃনাক্ষরেই তিনি তা টের পান নি। দাবীটি যখন মিথ্যা প্রমাণিত হলো তখন “যত দোষ নন্দ ঘোষ” এর মত তিনি বামদের ঘাড়ে দোষটি চাপালেন।

তবে এ কথাও ঠিক যে অনেকে বিশ্বাসও করেন যে বহু বাম কর্মী বিজেপিকে ভোট দিয়েছে পশ্চিম বাংলায়। বামফ্রন্টের পোড় খাওয়া নেতৃত্ব কদাপি এমন সিদ্ধান্ত নেবেন না এ প্রশ্নে আমি নিশ্চিত। তবে এমনটা হতেই পারে যে নেতৃত্বেও নির্দেশ অমান্য কওে কিছু কিছু নির্য্যতীত (তৃণমূলের গু-াদের দ্বারা) কর্মী হয়তো বিজেপি কে ভোট দিয়ে থাকবে। তৃণমূল নেত্রী কট্টর কমিউনিষ্ট বা বামফ্রন্ট বিরোধী। সি.পি.এম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য মূখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কিছু ভুল ভ্রাপন্তি হয়েছিল। নন্দীগ্রামে পুলিশদের উপর গুলি চালিয়েছিল যার জন্য মূখ্যৗমন্ত্রী ভুল স্বীকার করে দু:খও প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে পুলিশ প্রচ- বাড়াবাড়ি করেছিল আর সেটাকে পুঁজি করেই মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় এলেন বিপুল শক্তি নিয়ে। এবার তঁর দ্বিতীয় দফা শাসন চলছে (এবং সম্ভবত: এটাই তাঁর শেষ দফা)।

কিন্তু ২০১৯ এর ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভারতবাসী কেন এমন আত্মঘাতি রায় দিলেন তা নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে। ভাবতে হবে বামপন্থীরা (যেমন সি.পি.আই., সি.পি.এম প্রভৃতি) এবং উদার অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যবাহী দল ভারতীয় জাতয়ি কংগ্রেসকে সেখানকার জনগণ কেন এমন করুনভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন।
এ বিষয়য়ে ভাববেন ভারতের জনগণই বিশেষ করে ভারতের ক্ষতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। আমার দৃষ্টিতে

এই দু’টি শক্তির পরাজয়ের কারণগুলি নিরূপ:
এক. কংগ্রেসের উপর ঐতিহাসিক দয়িত্ব বর্তেছিল তাদের জনপ্রিয়তা এবং সাংগঠনিক দুর্বলতা ভারতে কত নীচে নেমে গেছে সেটা গভীর ভাবে উপলব্ধি করার। সঙ্গে সঙ্গে কথাও বুঝা উচিত ছিল ভারতের সমাজদেহে ধীরে ধীরে কি পরিমাণহীন সাম্প্রদায়িকতা স্থান করে নিয়েছে। এই বিষয় দুটি গভীর ভাবে পর্য্যালোচনা করে ভারতের সকল অসাম্প্রদায়িকশক্তিকে একটি মোর্চায় সংগঠিত করে সবগুলি কেন্দ্রে ্টকেটি করে “কমন” প্রার্থী দাঁড় করিয়েসম্মিলিতভাবে লড়াই করা;
দুই. এ ব্যাপারে অপর সকল অসাম্প্রদায়িক দল, বিশেষ করে সকল বামপন্থী শক্তিরও উচিত ছিল একই উদ্দেশ্যে সময় থাকতে ঐক্যদ্ধ হওয়া।
তিন. বামফ্রন্টের শ্লোগান ছিলো, “মোদি হঠাও, ভারত বাঁচাও” মমতা হঠাও, বাংলা বাঁচাও”। শ্রুতিমধুর যতই হোক, বাস্তব কথাটা হলো লোকসভার নির্বাচন দিয়ে তো মমতাকে হঠানো সম্ভব না। মোদিকে হটানোই প্রধান কাজ কারণ প্রগতিশীল ভারত গড়ার ক্ষেত্রে প্রধান শতুই হলো আর.এম.এস., জজরং দল প্রভৃতি উগ্র হিন্দু জঙ্গীবাদী সমর্থিত বি.জে.পি. এবং তার পাহারাদার নরেন্দ্র মোদি। তার জন্যে ঘনিষ্ঠতম মিত্র কংগ্রেসের সাথে যে কোন মূল্যে ঐক্য গড়ে তুলে আরও সকল অসাম্প্রদায়িক আঞ্চলিক দলগুলিকে ন্যূনতম কর্মসূচীর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনী লড়াইএ প্রবৃত্ত হওয়া।
চার. পদলোভী, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া স্বপ্নে বিভোর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মমতা বন্দোপাধ্যায় তাতে রাজী হতেন না হয়তো কিন্তু সামগ্রিক ভাবে অনেক লাভ হতো। স্মরণে রাখা দরকার প্রত্যক্ষভাবে মুসলিমদের পুড়িয়ে হত্যা করা এক বিজেপি নেতাকে গুজরাট থেকে জিতিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এটাও লক্ষ্যনীয় যে লোকসভা নির্বাচনে সর্বমোট ২৭ জন মুসলিম প্রার্থী বিজয়ী হলেও, বি.জে.পি এথকে কিন্তু একজন মুসলিম প্রার্থিকেও তারা বিজয়ী করে আনে নি।
পাঁচ. বিজেপি বা এন ডি এ জোটের নরেন্দ্র মোদিও বিকল্প প্রধান মন্ত্রী হিসেবে কাউকে ভারতবাসীর সামনে তুলে ধরতে ভারতরে বিরোধী দলগুলির শোচনীয় ব্যর্থতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!