রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক মৎস্যশিকার প্রতিযোগিতায় দুই বাংলাদেশি

স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা) বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

বাংলাদেশি দুই সৌখিন মৎস্য শিকারী ১ ও ২ আগষ্ট রাশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রসাটম ইন্সটলড ক্যাপাসিটি বিবেচনায় রাশিয়ার বৃহত্তম লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিকটবর্তী ফিনিশ উপ-সাগরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।

আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্ব ও সহযোগিতা উন্নয়নের পাশাপাশি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পার্শবর্তী জলাধারসহ সম্পুর্ন পরিবেশ যে উদ্ভিদ ও প্রানীর জন্য নিরাপদ তা তুলে ধরাই এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ, হাঙ্গেরী, মিশর, ভারত, তুরষ্ক এবং রাশিয়ার প্রায় ২০ জন মৎস্য শিকারী এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করছে। উল্লেখ্য, এই দেশগুলোতে রসাটম বর্তমানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিযোগিতাটি প্রো এংলারস লিগ (পল) ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতাকালীন শিকার করা প্রতিটি মাছ ওজন করার পর পানিতে ছেড়ে দেয়া হবে।

স্বনামধন্য রুশ ক্রিড়াবিদ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মৎস্য শিকার প্রতিযোগিয়ায় বিজয়ী এবং বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ত পালন করবেন। বাংলাদেশের সুপরিচিত মৎস্য শিকার সংগঠন এংলিং ইন বাংলাদেশ থেকে ওমর হায়দার এবং নাদিম হাসান প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

বাংলাদেশি প্রতিযোগীদের আমন্ত্রন জানানোর জন্য রসাটম ও সংশ্লিষ্ট রুশ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওমর হায়দার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এই জাতীয় একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা কেমন হওয়া উচিৎ তা আমি এখান থেকে শেখার সুযোগ পাবো। সারা বিশ্ব হতে মৎস্য শিকারীদের তাদের দেশে আকৃষ্ট করতে কী ভাবে স্থানীয় অপারেটর, মৎস্য শিকারী এবং ক্লাবগুলো যৌথভাবে কাজ করছে তা আমি আগ্রহের সঙ্গে পর্যবেক্ষন করেছি’।

নাদিম হাসান বলেন, ‘আমি দেখেছি কী ভাবে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো অবকাশমূলক মৎস্য শিকার থেকে উপকৃত হচ্ছে। আমার বিশ্বাস এই টুর্নামেন্ট থেকে আমি আন্তর্জাতিক মৎস্য শিকার ইভেন্ট সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাবো। অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা করে আমি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের মৎস্য শিকার টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে সর্বাধিক প্রচেষ্টা চালাবো’।

প্রতিযোগিতার পাশাপাশি অংশগ্রহনকারীরা ইতোধ্যই লেনিনগ্রাদ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। কেন্দ্রটিতে মোট ৩টি পাওয়ার ইউনিটের ১টি তে রয়েছে ৩+ প্রজন্মের সর্বাধুনিক ভিভিইআর- ১২০০ রিয়্যাক্টর।

রসাটম বাংলাদেশের রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারিগরি পরামর্শক এবং মূল যন্ত্রপাতি সরবরহকারী প্রতিষ্ঠান। রূপপুর প্রকল্পে সর্বাধুনিক ভিভিইআর- ১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক ২টি পাওয়ার ইউনিট স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় রসাটম বর্তমানে ১২টি দেশে ৩৬টি বিদ্যুৎ ইউনিট এবং খোদ রাশিয়ায় ৬টি বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মান করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!