একজন ভাষা সংগ্রামীর কথা

 

 

একজন ভাষা সংগ্রামীর কথা
সিডনীর কথামালা-৭১
রণেশ মৈত্র (সিডনী থেকে)
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ

বাংলাদেশের সমগ্র জনসংখ্যা তখন ছিল সাড়ে চার কোটি এ তথ্য ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান সৃষ্টি পরবর্তী পূর্ব বাংলার। যে পূর্ব বাংলাকে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠ পূর্ব পাকিস্তান বলে অভিহিত করতো। আর দ্বিখন্ডিত পাঞ্জাবের পশ্চিমাংশে সিন্ধু, বেলুচিস্তান , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ নিয়ে গঠিত অংশকে পশ্চিম পাকিস্তান নামে অভিহিত করা হতো। সেই পূর্ব পাকিস্তান যা আতীতে পূর্ববাংলা এবং পশ্চিম পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ যাকে সেখানকার অধিবাসীরা পানতুনিস্তান হিসেবে অভিহিত করেন। নানা ভাষাভাষির মানুষে সমৃদ্ধ ছিল। প্রতিটি প্রদেশের একটি করে প্রধান ভাষাও ছিল, ছিল ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিও।
পূর্ব বাংলার অধিবাসীদের মূলভাষা বাংলা, পাঞ্জাবের পাঞ্জাবী, সিন্ধুর সিন্ধী, বেলুচিস্তানের বালুচ বা বেলুচ এবং পানতুনিস্তানের (উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ) জনগণের ভাষা পুশতু।
তদুপরি, পাকিস্তানের এই দুই অংশ বিশাল দেশ ভারতের দুই প্রান্তে অবস্থিত ছিল। মাঝখানে ভারত, পূর্বে পূর্ববাংলা এবং পশ্চিমে পশ্চিম পাকিস্তান। দুটি পাকিস্তানের মধ্যে সর্বনি¤œ দূরত্ব ছিল এক হাজার থেকে বার শত মাইল। সরাসরি যাতায়াতের কোন নৌপথ , সড়কত পথ বা রেলপথ ছিল না। একমাত্র বিমানযোগে সরাসরি চলাফেরা করা সম্ভব ছিল এবং তাও শুধুমাত্র পি.আই.এ (পাকিস্তান ইন্টার ন্যাশনাল এয়ার লাইন্স) এর বিমানের মাধ্যমে। স্বাভাবত:ই দুই পাকিস্তানের যাতায়াত ছিল অত্যন্ত ব্যয় সাধ্য এবং তা ছিল সাধারণ মাসুষের নাগালের বাইরে। তাই একদিকে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক ব্যবস্থা ও ভিন্ন সংস্কৃতের অস্তিত্ব ও যাতায়াতের সহজলভ্য সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই পাকিস্তানের মধ্যে সকল ক্ষেত্রেই মাত্রাধিক ব্যবধান বিরাজ করতো।
শিক্ষাদীক্ষায় সর্বাধিক অগ্রসর ছিল পূর্ব বাংলা, অত:পর পশ্চিম পাঞ্জাব। এই অগ্রসরতাই হলো কাল। একারণেইপাকিস্তান মুসলিম লীগ এই দুটি প্রদেশকে বিভক্ত করেন ধর্মেও ভিত্তিতে। এই ষড়যন্ত্র সফল হওয়ায় বাঙালী ও পাঞ্জাবী এই দুই জাতিকে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সেখানেই এই শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র থেমে থাকে নি। তাদের মাথায় থাকলো পূর্ব বঙ্গকে সার্বিক শোষণের আওতায় নিয়ে যাওয়া। শিক্ষা-দীক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি অবকাঠামো, কৃষি-শিল্প প্রভৃতি তাবৎ ক্ষেত্রে এই অঞ্জলকে অবহেলিত করে রেখে তাকে দুর্বল করে দিয়ে অবাধে সার্বিক শোষণের লীলাক্ষেত্রে পরিণত করা। সেক্ষেত্রে পাঞ্জাব যেহেতু পশ্চিম পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত ও বিস্তর শিক্ষিত মানুষের ঐ প্রদেশে বাস, তাই তাদেরকে সরকারী বিভিন্ন উচ্চ প্রশাসনিক পদে ও নানা-বাহিনীতে নিয়োগ দিয়ে তাদেরকে পরিতুষ্ট রাখা হয়। এভাবে ঐ প্রদেশের উচ্চ বিত্ত, উচ্চ ও মধ্যবর্তী মধ্যবিত্ত পরিবার সমূহ যথেষ্ট উপকৃত হন। তাঁরা পাকিস্তানী ভাবাদর্শ সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত হন।
অপরপক্ষে সকল প্রকার শোষণের করালে বিক্ষিপ্ত হলো পূর্ব বাংলা, বেলুচিস্তান, সিন্ধু ও পাখতুনিস্তানের মানুষেরা। তার মধ্যে পূর্ব বাংলা ও বাঙালি জাতিই সর্বাধিক শোষণ ও নিপীড়নের শিকার হন। আর নিপীড়ন ও শোষণ চালানোর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় সাম্প্রদায়িকতা এবং ইসলাম ধর্মকে। কোমলমতি মুসলিম সমাজও প্রথম দিকে ঐ প্রচাপরণায় যথেষ্ট পরিমাণে প্রভাবিত হন।এই প্রভাবেই ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে বাঙালি মুসলিম সমাজ ভারত-বিভাগ ও ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার অনুকূলে ঢালাওভাবে ভোট দিয়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করেন।
বাঙালি জাতরি মূল¯্রােতের মাতৃভাষা বাংলা। এ ছাড়াও আদিবাসীদের অসংখ্য ভাষার অস্তিত্বও ছিল এবং আদিবাসীদের ভাষাগুলি ইংরেজ আমল থেকেই চরম ভাবে অবহেলিত থাকার ফলে সেগুলি বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অপমৃত্যুর শিকার হয়।
কিন্তু বাংলা ভাষা অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং রবীন্দ্রনাথের মুল অবদান সমৃদ্ধ এই ভাষা পৃথিবীতে এক বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই।
পাকিস্তানের শাসকচক্রের উপলব্ধিতে এলা, বাঙালি জাতিকে ধর্মের নামে শ্লোগান তুলে বিভ্রান্ত করে পাকিস্তানের অনুকূলে ভোট আদায় করা যেহেতু সম্ভব হয়েছে সেই হেতু বাঙালীর মুখের ভাষা বাংলাকে কেড়ে নিতে পারলে তাদেরকে শিক্ষার আলো থেকে দূরে সরিয়ে আনাও সম্ভব হবে এবং তার ফলে জাতিটি অসচেতন ও অশিক্ষিত হয়ে পড়লে স্থায়ী ভাবেই তাদের উপর শোষণ অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে।
এখন একটা হিসেব কষে তারা বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির উপর বড় ধরণের একটি আঘাত হানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সুযোগ পেল খন পাকিস্তানের গণপরিষদের করাচী অধিবেশনের শহীদ ধীরেন দত্ত প্রস্তাব উত্থাপন করে বললেন, “বাংলা ভাষা পাকিস্তানের অধিকাশ মানুষের মুখের ভাষা তাই বাংলাভাষাকে সংসদের অন্যতাম ভাষা ও পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্য্যাদা প্রদান করা হোক।”
তৎক্ষণাতৎ উঠে দাঁড়ালেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান। তিনি বলে বসলেন, “প্রস্তাবটি ইসলাম ও পাকিস্তান-বিরোধী। প্রস্তাবকে ধীরেন দত্ত ভারতের দালাল………। সুতরাং এ প্রস্তাব সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
ধীরেন দত্ত প্রতিবাদে অধিবেশন ত্যাগ করে সংসদ থেকে বেরিয়ে এসে দ্রুততম সময়ে পি, আই,এ যোগে ঢাকা টলে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকার ছাত্রবৃন্দ ঢাকা বিমান বন্দরে তাঁকে বীরোচিত সম্বর্ধনা দেন। ভাষা আন্দোলনের সুরু সেখান থেকেই হয়ে যায় এবং তার পরিণতিতে আমরা বহু দেশপ্রেমিক বাঙালি সন্তানকে অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিতে এবং অসংখ্য তরুণ তরুণীকে কারা নির্য্যাতন ভোগ করতে দেখেছি। কিন্তু শাসক গোষ্ঠীতে পরাজিত করে শেষ পর্য্যন্ত বাংলা ভাষার মর্য্যাদা ও বাঙালি সংস্কৃতির জয় যাত্রা সংরক্ষণ অভূতপূর্ব বিজয় অর্জিত হয়। পরিণতিতে বাঙালির জীবনে বহু পরিবর্তন ও নতুন নতুন সফল আন্দোলন সংগ্রামেরও সূচনা হয়।
পরিত্যক্ত হয় পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের, পুন:প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের চির অভ্যন্ত ধারার, জন্ম হয় বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের পর পরই পাকিস্তানের প্রথম অসাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের। অবশ্য, ১৯৪৮ সালেই গঠিত হয়েছিল অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল যুব সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগের। এবং এই সা¤্রজ্যবাদ বিরোধী যুবসংগঠনটি বিপুল অবদান রেখেছিল ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রে এবং ১৯৫৪ সালে মুসলিম লীগ-বিরোধী যুক্তফ্রন্ট গঠনেরও (যার নেতৃত্বে ছিলেন শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী)।
ভাষা আন্দোলনের মাত্র দু’বছর ব্যবধানে ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত পূর্ব বাংলার নির্বাচনে পাকিস্তান ¯্রষ্ঠা মুসলিম লীগের ভরাডুবি ঘটে এবং তার চির সমাধিও সূচিত হয়। দলটি আজতক আর মুহুর্তের জন্যেও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে নি।
অত:পর পূর্বপাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ তার নাম থেকে, “মুসলিম শব্দটি বর্জন করে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ”আওয়ামী মুসলিম লীগ ও তার নাম থেকে “মুসলিম” শব্দটি পরিত্যাগ করে হয়ে ওঠে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ এবং দলীয় গঠনতন্ত্র ও মেনিফেষ্টো আরও সংশোধিত করে “ধর্মনিরপেক্ষতা” প্রতিষ্ঠা করে।
ছাত্র সংগঠনগুলির আবেদনের প্রেক্ষিতে দোকান পাটগুলির সাইনবোর্ড সারা দেশে ইংরেজী-আরবীর পরিবর্তে বাংলায় লেখা হয়। ব্যাংক ও অন্যান্য সাইবোর্ড ও বাংলায় লেখা হতে শুরু করে। ব্যাপকভাবে সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে সকল স্তারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নারী শিক্ষার প্রসারও ঘটতে শুরু হতে থাকে।
মেয়েরা পুনরায় গান-বাজনা, নৃত্য পরিবেশন আবৃত্তি প্রভৃতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে এগিয়ে আসে। আঙালি পুনরায় রবীন্দ্রনাথ , ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর , নজরুল শরৎচন্দ্র সহ সকল বাঙালি কবি-সাহিত্যিক বিজ্ঞানী ও নানাস্তরের দিক পালকে উপযুক্ত মর্য্যাদায় শিক্ষা ও সমাজ জীবনে সম্মানজনক আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে থাকে।
একুশ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতির স্মারক জাতীয় উৎসব। আল্পনায় মেয়েরা সাজাতে থাকে দেশের হাজার হাজার শহীদ মিনার ও তার গন্তব্যপথ সমূহকে। রবীন্দ্র জয়ন্তী, নজরুল জয়ন্তী, একুশে ফেব্রুয়ারী বাঙালির চেতনা অগ্রসর করে নিতে থাকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার সহস্র ধারায় সমগ্রজাতি অবগাহ করে একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটিয়ে তুলে দেশের সকল অঙ্গনেই এক সুস্থ ধারা পুন:প্রতিষ্ঠিত কররেত থাকে। নতুন তরুণ-তরুণীদের বিবাহ অনুষ্ঠানেরও আল্পনা, গায়ে হলুদ, বিয়ে বাড়ীর প্রবেশ তোরণে কুলা-চালুন, মাটির হাঁড়ি ফুল প্রভৃতি দিয়ে ধর্ম-বিশ্বাস নির্বিশেষে সাজানোও শুরু হয়ে যায়। বাঙালী সংস্কৃতির এ এক নবযাত্রার অভিযান যেন।
আর এই সকল শ্রোত বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ করে এবং সূচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের অপ্রতিরোধ্য চেতনার যা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরনীয় সুষমামন্ডিত বাঙালী জাতি গঠন করে।
আর সেই ভাষা আন্দোলনের সূচনা করার গৌরবদীপ্ত সংগঠক ও আন্দোলনকারী তো আমি ও আমার মত আরও কয়েক হাজার আজও জীবিত এক বিপুল সংখ্যক আন্দোলনকারীকে ইতোমধ্যে আমরা হারিয়েছিও।
এখন ভাষা সংগ্রামীর গৌরব ও ঐতিহ্য ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়ে বাঙালী জাতি শুধু সামরিক বিজয় অর্জন করে নি-এক বিশাল অসাম্প্রদায়িক চেতনার ¯্রােতে অবগাহন করেছে সমগ্রজাতি।
তাদের সম্মিলিত আকাংখ্য ও এবারের দাবীঃ
এক. অবিলম্বে সকল ভাষা সংগ্রামীর তথ্য স”ংগ্রহ অভিযান সরকারীভাবে সুরু করা হোক;
দুই. সেগুলি তালিকাবদ্ধ করে তা এক বিশেষ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হোক;
তিন. পাঠ্যপুস্তক গুলিতে হেফাজত ইসলামের দাবী অনুযায়ী যে সকল কবি-সাহিত্যিকের রচনা বাদ দেওয়া হয়েছে-সেগুলি পুন:স্থাপনের ব্যবস্থা অবিলম্বে গ্রহণ করে সকল রচনা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হোক;
চার. সংবিধান অবিলম্বে সংশোধন করে “বিসমিল্লাহ্” ও “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” তুলে দেওয়া হোক;
পাঁচ. ধর্মীয় বিবেচনায় সংখ্যলঘু সম্প্রদায় সমূহকে নির্য্যাতনকারীদেরকে অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে (২০০১সাল থেকে) অপরাধীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিপ্রদান করা ও সেই লক্ষ্যে প্রতি জেলায় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হোক;
ছয়. নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক তাবৎ আইন বাতিল করে হিন্দু-মুসলিম উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে একটি সমন্বিত উত্তরাধিকার আইন প্রণয়ন করে পৈত্রিক সম্পত্তিতে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল সন্তানের ও বিধবা পতœীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হোক-নারী নির্য্যাতন বিরোধী তাবৎ আইন অর্থবহভাবে কার্য্যকর করা হোক;
সাত. শহীদ ধীরেন দত্ত, বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউর ও ভাষা আন্দোলনের নেতা যেমন মওলানা ভাষানী শেখ মুজিবর মওলানা আবদুল রশিদ, তর্ক বাগিশ, তাজউদ্দিন আবদুল মতিন, গাজীউল হক, মোঃ আহমেদ, তোয়াহা, ইমাদুল্লাহ, মোহাম্মদ সুলতান সহ আপর নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশের “জাতীয় বীর” হিসেবে ঘোষণা করে বিশেষ গেজেট প্রকাশ করা হোক।
নয়. অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন, ২০০১ অবিলম্বে পূরোপূরি বাস্তবায়ন করা হোক;

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!