রুদ্র ম আল-আমিন এর উপন্যাস একজন মুক্তিযোদ্ধা (পর্ব ০২)

রুদ্র ম আল-আমিন এর উপন্যাস
(পর্ব ০২)
একজন মুক্তিযোদ্ধা

বদর আলী বুঝতে পারে বাবার সাথে এখন কথা বলা যাবে না। বাবা ভিষন রেগে গেছে। বদর আলীর বাবা জনাব তাইজুদ্দিন, অল্প শিক্ষিত একজন মানুষ যেমন উদার ভরা মন তেমনি কঠোর একটা ব্যাক্তি।

প্রায় ৭ফুট উচচতার সুঠাম দেহের অধিকারী এই মানুষটার একটা পরিচয় আছে। তিনি একজন দস্যু সরদার, তার সামনে দাড়িয়ে কথা বলে এরকম মানূষ ১০ক্রোশ এর মধ্যে খুজে পাওয়া কঠিন।

আর সে কারনেই হিন্দু স্কুল কে কে উচচ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিটিবৃন্দ বদর আলী কে স্কুলে ভর্তি করানো যাবে না সে কথাটি পর্যন্ত বলার সাহস পায়নি।

গোরা হিন্দু সমাজের চাপে প্রধান শিক্ষক মহোদয়, প্রথমে কয়েক দিন পালিয়ে পালিয়ে বেরিয়েছেন। সমাজের নিম্ন আয়ের মানূষ গুলোও এই অবিচারের বিরুদ্ধে ফুসে ঊঠেছেন।
পনডিত মহোদয়ের মুখে কুলুপ সেটে বসে আছেন তার আর কি করার আছে।

স্কুল এ বদরেরর দুই দিন যাবত অনুপস্থিতি।
ছাত্র রা বলাবলি করছে বদর পালিয়েছে।
বিপিনের ক্লাস মেট জয়রাম বললঃ
বিপিন এই বিপিন শুনছা,, সালা কাউয়ার বাচচা পালাইছে।
হ শুনছি
জয়রামের কথা বিপিন অতটা গুরুতত দেয় না, বিপিন দশম শ্রেনীর ছাত্রর মধ্যে ক্যাপটেন। ছাত্রও ভালো, প্রধান শিক্ষক বিপিন কে নিজের ছেলের মতই মনে করে। ছাত্রদের কোন বিষয় জানার প্রয়োজন হলে বিপিনকেই জিগগাসা করে থাকে।
বদর কে নিয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষকবৃন্দ রা ও আলোচনায় জরিয়ে পরেছে।
অঃক মাষ্টার মশাই, জগৎ মিত্র বলেই বসলেন,,,
ঃআপনারা দেখবেন বদর স্কুলে আসবে না।
সুকুমার বাঃলা পড়ান এই সুবাধে তিনিও বললেন,,
ঃ আপোদটা বিদায় হলেই ভাল,
এবার পনডিত মশাই,,,,
ঃ জায়গীরদারের বাড়ি কিছু বলেনি, সকালে উঠেই বই খাতা ফেলে বাড়ি।
ভগমান যা করেন মঙ্গলই করেন।
(চলবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!