কারাগারে ডিআইজি মিজানের ভাগ্নে এসআই মাহমুদুল

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং মামলায় আলোচিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের ভাগ্নে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসানকেও কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত পহেলা জুলাই ডিআইজি মিজানের সঙ্গে ভাগনে মাহমুদুল হাসানও হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান। তবে হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ হিরু আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।

আসামিপক্ষের জামিন আবেদনে বলা হয়, আসামি মাহমুদুল হাসান দুই বছর ধরে পুলিশের এসআই পদে চাকরি করছেন। আগে তিনি ব্যবসা করতেন। চাকরি করে তিনি কোনো সম্পদ অর্জন করেননি। যা করেছেন চাকরির আগে ব্যবসা করে। তার ইনকাম ট্যাক্স ফাইল আছে। আর মামলার সম্পদগুলো আসামি মিজানের। তিনিই নামে-বেনামে ক্রয় করেছেন। এ সম্পর্কে এ আসামি কিছুই জানেন না। এ সময় বিচারক প্রশ্ন করেন, মামলায় অভিযোগে আসামির নামে ব্যাংকে এফডিআর করা আছে। যার নমিনি আসামি ডিআইজি মিজান কেন? জবাবে আইনজীবীরা বলেন, এ মামলার কোনো সম্পত্তি সম্পর্কে এ আসামি কিছু না জানেন না। তিনি ব্যাংকের কোনো কাগজে স্বাক্ষরও করেননি। এরপর দুদকের প্রসিকিউটর কাজল বলেন, আসামির বিরুদ্ধে মামলায় মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ডিআইজি মিজানকে অর্থ ও সম্পত্তি হস্তান্তর-রুপান্তরে সহায়তা করেছেন। এছাড়া এ আসামি হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করলে হাইকোর্ট তার জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে আত্মসর্মণের নির্দেশ দিয়েছেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৪ জুন দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ মামলাটি করেন। ডিআইডি মিজান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোটভাই মাহবুবুর রহমানকেও আসামি করা হয়। মামলার পর আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান গত পয়লা জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। মামলার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২৫ জুন ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!