গোপন খবর আদানপ্রদানের জন্য দূত মারফৎ চিরকুট পাঠানোর পুরনো রীতিই ভাল। ই-মেল একেবারেই ঠিক পদ্ধতি নয়। বক্তা আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার বিভিন্ন নির্বাচনী প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের কম্পিউটার থেকে গোপন তথ্য হাতিয়ে ট্রাম্পের জয় সহজতর করেছে রুশ হ্যাকাররা। এমন দাবি খোদ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র। সেই ট্রাম্পই বললেন, কোনও কম্পিউটারই নিরাপদ নয়। গোপন তথ্যের আদানপ্রদানের দরকার হলে তিনি কিছুতেই কম্পিউটার ব্যবহার করবেন না, এমনটাও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট।

বর্ষশেষের রাতে প্রতি বছরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মিডিয়ার সঙ্গে কথোপকথনে তিনি বলেন, ‘‘যদি সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়, তা হলে লিখে ফেলুন এবং কোনও পত্রবাহককে দিয়ে সেটা পাঠিয়ে দিন। আগেকার দিনে যে ভাবে হত।’’ ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন ইন্টারনেট ব্যবহার করে গোপন তথ্যের আদানপ্রদান মোটেই নিরাপদ নয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বলছি, কোনও কম্পিউটার নিরাপদ নয়। … অন্যেরা কী বলছে, আমার তাতে কিছু যায়-আসে না।’’

রাশিয়ার হ্যাকাররা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপন নথি হ্যাক করে ট্রাম্পকে জিততে সাহায্য করেছে বলে যে অভিযোগ সিআইএ করেছে, তা বার বার অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। জয়ের পর প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়া যখন সময়ের অপেক্ষা, তখন ট্রাম্পই বলছেন যে তিনি কোনও গোপন তথ্য ইন্টারনেট মারফৎ দেওয়া-নেওয়া করবেন না।

তা হলে কি ট্রাম্প মেনে নিচ্ছেন যে রুশ হ্যাকাররা তাঁর জন্য গোপন তথ্য হাতিয়েছিল? সে কথা কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট মানছেন না। তিনি বলছেন, ‘‘আমি চাই আমাদের গোয়েন্দা কর্তারা আরও নিশ্চিত হওয়ার পরই এই কথাগুলো বলুন, কারণ এটা অত্যন্ত গুরুতর একটি অভিযোগ।’’ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করতে যে তিনি একেবারেই রাজি নন, তাও আবার স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি হ্যাকিং-এর বিষয়ে অনেক কিছু জানি এবং এই অভিযোগ প্রমাণ করা অত্যন্ত কঠিন। তাই হতেই পারে এ সব অন্য কারও কাজ।’’