কোরআনের আলোয় আলোকিত যে সব ক্রিকেটার

মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেই প্রকৃত মুসলিম হওয়া যায় না। আবার মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ না করেও শুধুমাত্র কোরআন নিয়ে পড়ালেখা করে অথবা কোনো ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনেকে বদলে নিয়েছে নিজের জীবন। বিভিন্ন পেশার মানুষ নিজের অবস্থানে থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা পৃথিবীর মানুষের কাছে তুলে ধরতে। একইভাবে ক্রিকেট মাঠে থেকেও কিছু মানুষ কঠোরভাবে ইসলাম মেনে কোরআনের আলোয় নিজের জীবন বদলে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে ইসলামের আলো। তেমন কিছু ক্রিকেটারদের কথা জানাবো, যাদেরকে মানুষ এক নামে চেনে।

১. হাশিম আমলা :


বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। শুধুমাত্র ধর্মের নিষেধাজ্ঞার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের প্রধান স্পন্সর ‘ক্যাসেল’ কোম্পানির লোগো যুক্ত টি-শার্ট পরেন না, আর এই লোগো গায়ে না জোড়ানোর কারণে তিনি প্রতি মাসে ৫০০ ডলার করে ক্ষতিপূরণ দেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডকে ।

২. ইনজামাম-উল-হক :


পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যানের নাম ইনজামাম-উল-হক। তিনি বেশ ভালোভাবেই আফগানিস্তান ক্রিকেটের কোচ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালনের জন্য ফিরে এসেছেন নিজ দেশে। তিনি তাবলীগই জামাতের অন্যতম সদস্য হিসেবে ইসলাম প্রচার করে যাচ্ছেন এবং পাকিস্তান ক্রিকেটে একজন প্রভাবশালী বাক্তিত্ব।

৩. সাইদ আনোয়ার :


পাকিস্তানী সফল ব্যাটসম্যান ও বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানদের আদর্শ সাইদ আনোয়ার ক্যারিয়ার শেষে জীবনের সবচেয়ে বড় একটা ধাক্কা খেয়ে বসেন। তার মেয়ের মৃত্যুতে শোকাহত এই পাকিস্তানী ক্রিকেটার ইসলামের মধ্য শান্তি খুজে পান। আর বর্তমানে এই শান্তির ছোঁয়া তাবলীগই জামাতের মাধ্যমে তিনি সারা বিশ্বে পৌঁছে দিচ্ছেন।

৪. মইন আলী :


বর্তমান ইংলিশ দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মইন আলীর নৈপুন্য চোখে পরার মত। সম্প্রতি ইসলাম ধর্মের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি আমার দাড়িকে ইসলামের পরিচয় হিসেবে পড়েছি, আর ধর্ম আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।

৫. ইমরান তাহির :


পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে বেশ কিছুদিন অধিক্য বিস্তার করেন। এই ক্রিকেটার তার টেস্ট অধিনায়ক হাশিম আমলার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেকে ইসলাম ধর্মের দিকে সম্পূর্ণ সোপর্দ করেছেন, আর নিজেকে কঠোরভাবে ইসলাম ধর্মের দিকে মনোনিবেশ করার কারণে তার ক্যারিয়ারও বেশ উন্নতি দেখা যায়। এক কথায় বলতে গেলে, কঠোরভাবে ইসলাম ধর্মের দিকে মনোনিবেশ করার পর এই প্রোটিয়া বোলার ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ সময় পার করেছেন।

৬. মোহাম্মাদ ইউসুফ :


পাকিস্তানী ক্রিকেটের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান মোহাম্মাদ ইউসুফ ক্যারিয়ারের শুরুতে ছিলেন একজন খ্রিষ্টান, নাম ছিল ইউসুফ ইউহানা। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ সময় পার করেছেন তিনি। তাবলীগ জামাতের অন্যতম সদস্য হিসেবে নিয়মিত ধর্মপ্রচার করে যাচ্ছেন।

৭. মুশতাক আহমেদ :


পাকিস্তানের বর্তমান বোলিং কোচ এবং পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলার ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর পরবর্তী জীবনের কথা চিন্তা করে নিজেকে সম্পূর্ণ ইসলামিক ধ্যানধারণায় মনোনিবেশ করিয়েছেন। তার ধারণা, ইসলাম এবং ক্রিকেট তার জীবনকে বদলে দিয়েছে।

৮. সাকলাইন মুশতাক :


আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর পাকিস্তানী গ্রেট ও ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অফ স্পিনার নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ইসলামিক আইনকানুনে মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছেন।

৯. সোহরাওয়ার্দী শুভ:


বাংলাদেশ ক্রিকেটের অলরাউন্ডার সোহরাওয়ার্দী শুভ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করার পর দলের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন। সম্প্রতি দলের একাদশে সুযোগ না আসলেও নিজেকে একজন পরিপূর্ণ মুসলমান হিসেবে সচল রেখেছেন।

 মাহবুব এইচ শাহীন/প্রকাশক ও সম্পাদক/কাগজ২৪

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!