গোপালপুরে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে

মো. সেলিম হোসেন, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের নামে তিন বছর ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগে মন্টু মিয়া নামে এক শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সে ধোপাকান্দি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক। গত রবিবার এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষক তিন বছর আগে প্রাইভেট পড়ার ছলে তার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে টাঙ্গাইল শহরে এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে চাঁদ-সুরুজকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেন। এরপর গোপনে গড়ে তোলে শারীরিক সম্পর্ক।

গত শনিবার রাতে মন্টু মিয়া গোপনে ছাত্রীর বাড়িতে রাত যাপনকালে গ্রামবাসী তাকে আটক করে ও গণপিটুনি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে আহত অবস্থায় তাকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা শেখ সাদী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মন্টু মিয়াকে রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।

এদিকে শিক্ষক মন্টুকে সাসপেন্ড এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা মিছিল সমাবেশ করেন। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এডভোকেট আব্দুুল গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি খুব নিন্দনীয়। এমন শিক্ষকের স্কুলে চাকরি করার অধিকার নেই। কমিটির মিটিং ডেকে তার বিরুদ্ধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি হাসান আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘শিক্ষক মন্টু মিয়া দুই সন্তানের জনক। বিয়ের নামে প্রতারণা করে নাবলিকা ওই স্কুল ছাত্রীকে তিনি দীর্ঘ তিন বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। রবিবার টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!