ঘাটাইলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী গনধর্ষনের শিকার : গ্রেফতার ২

মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ, ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদরসা ছাত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দশআনি বকশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২৪ জুন) দুপুরের দিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার দশআনি বকশিয়া গ্রামের সোহরাব তালুকদারের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) এবং আমির আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ আলপিন (৪০)।

এ ঘটনায় সোমবার (২৪ জুন) সকালে ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পরে পুলিশ তাদেরকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়। বিকেলে আদালতের বিচারক তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী উপজেলার দশআনি বকশিয়া দাখিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী পড়ে। মোবাইলে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত (২১ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপালপুর উপজেলার বড়শিলা গ্রামের বন্ধু শাওনের সাথে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হয় সে। এরপর হোসেন আলীর বাড়ির পাশের ইটের সলিং এর রাস্তায় পৌঁছালে আলমগীর হোসেন ও আব্দুল হামিদ ছাত্রীকে শাওনের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়িতে উঠায়। তারা তাকে কৌশলে একই গ্রামের হোসেন আলীর বসত ভিটার ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। পরে তারা দু’জনেই তার মুখ বেঁধে ভ্যান গাড়িতেই পালাক্রমে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

ধর্ষিত ছাত্রীর মা জানান, গণধর্ষণের কারণে তার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আলমগীর ও আব্দুল হামিদ আলপিন তাকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে সে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। পরে গ্রামবাসী বিষয়টির মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় সোমবার (২৪ জুন) ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে ঘাটাইল থানায় গণধর্ষণের মামলা করেন।

এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার ওসি (তদন্ত) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করে সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের বিচারক শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নারায়ন চন্দ্র সাহা জানান, ধর্ষণের শিকার মাদরাসা ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!