চলে গেলেন প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী বারী সিদ্দিকী

অনলাইন ডেস্ক  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

`শুয়া চান পাখি’,‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’,‘সাড়ে তিন হাত কবর’, ‘তুমি থাকো কারাগারে’, ‘রজনী’ প্রভৃতি গানের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া বারী সিদ্দিকী গভীর রাতে সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন।
 
১৯৯৫ সালে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘রঙের বাড়ই’ নামের একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে প্রথম সংগীত পরিবেশন করেন তিনি। এর ঠিক চার বছর পর, ১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে ৭টি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন বারী সিদ্দিকী। এর মধ্যে নেত্রকোনার বাউল সাধক রশিদ উদ্দিনের লেখা ‘শুয়া চান পাখি’ গানটির জন্য তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
 
হুমায়ূন আহমেদের প্রতি আছে তাঁর অসম্ভব শ্রদ্ধা, যতবার হুমায়ূন আহমেদের কথা তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে; বিনম্র হয়ে ততবারই তিনি জানিয়েছেন- হুমায়ূন আহমেদকে ব্যাখ্যা করার মতো এত বিদ্যা-বুদ্ধি তাঁর নেই। হুমায়ূন আহমেদই তাকে প্রথম মানুষের সামনে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন। সুদীর্ঘ বিশ বছর নিভৃতে ঘরোয়া পরিবেশে আধ্যাত্মিক ও লোকসংগীত গাইলেও, দেশের বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজাতেন বারী সিদ্দিকী। গানের চেয়ে বেশি বংশীবাদক বারী সিদ্দিকীকেই লোকে আগে চিনেছিল। এত দরদী এক কণ্ঠের অধিকারী, নিজ দেশে লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে গিয়েছিলেন বহু বছর।
 
প্রখ্যাত এ সংগীতশিল্পীর জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনায়। জন্মেছিলেন এক সংগীতপ্রাণ পরিবারে, ফলে শৈশব থেকেই গানের শিক্ষা পেয়েছেন পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেই। ক্লাসিক্যাল সংগীতে আগ্রহ থাকায় এ বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। সংগীতে উচ্চতর তালিম গ্রহণের জন্য নব্বই দশকে ভারতবর্ষেও পাড়ি জমান। ভারতের পুনে শহরে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে শিক্ষা নিয়ে দেশে ফিরে মনোযোগী হয়ে ওঠেন আধ্যাত্মিক ও লোকসংগীতে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!