সিলেটে ঢাকার প্রাক্তন ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নানের সহযোগী দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার লিখিত আবেদন করেছে। জঙ্গি সংগঠন হরকত উল জিহাদ আল ইসলামি বাংলাদেশের (হুজি-বি) এই জঙ্গিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল থাকায় রাষ্ট্রপতির ‘কৃপা’ই তার প্রাণ বাঁচানোর শেষ সুযোগ।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. ছগির মিয়া বলেন, ‘‘সোমবার বেলা ১২ নাগাদ রিপন প্রাণভিক্ষার লিখিত আবেদন করেছে। আমরা তা পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ ছগির আরও জানান, আবেদনে রিপন উল্লেখ করেছে, ওই হামলার ঘটনার সঙ্গে সে কোনও ভাবেই জড়িত ছিল না। আপিল বিভাগে রিভিউ খারিজের ৫ পাতার রায়টি গত ২২ মার্চ মুফতি হান্নান ও বিপুলকে কাশিমপুর কারাগারে ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে সিলেট কারাগারে পড়ে শোনানো হয়। রিপন প্রাণভিক্ষা চাইবে বলে বৃহস্পতিবারই কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল। অবশেষে সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে রিপন প্রাণভিক্ষার আবেদন করল।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রা.)-এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলা চালালে তিন জন নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৮-এর ২৩ ডিসেম্বর বিচারক ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং জঙ্গি মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। এর পর তারা উচ্চ আদালতে আপিল করে। শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর তাদের আপিল খারিজ হয়ে যায়। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি রায় প্রকাশের পর আসামিরা ওই রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। ১৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ মুফতি হান্নান-সহ তিন জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রিভিউ খারিজ করে দেন।