শরীয়তপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট।

 

 

সৈয়দ মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে শরীয়তপুরের ডামুড্যা, পালং,জাজিরা,গোসাইরহাট,ভেদরগঞ্জে ঈদ বাজার। মার্কেট-বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতা আকর্ষণে নান্দনিক ডিজাইন আর বাহারি রংয়ের পণ্যের পসরা বসেছে পোশাক, হস্তশিল্পের দোকান, টেইলার্স, কসমেটিকস ও জুতার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়।
ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের। পছন্দের পণ্য ও সাধ্যের মধ্যে দাম মিলে যাওয়ায় দু’হাত ভর্তি ব্যাগ নিয়ে খুশি মনে মার্কেট থেকে বের হচ্ছেন ক্রেতারা। আবার অনেকেই তুলছেন গলাকাটা দামের অভিযোগ।

ডামুড্যার মুন্সি মার্কেট, সিনথিয়া প্লাজা, সরদার মার্কেটে রয়েছে ভিড়।

নড়িয়ার রহমান প্লাজা, মাঝি প্লাজা, শেখ প্লাজা, ঢালী মার্কেটসহ নড়িয়ার সব বিপণী বিতানগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। কেনাকাটার ক্ষেত্রে ডিস্কাউন্ট ও দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া জাজিরা, পালং, ভেদরগঞ্জ এর মার্কেট গুলোতে চলছে ঈদের উপচে পড়ে ভিড়। তবে বিক্রেতা বলছে ভিন্ন কথা।

02

বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্স ও মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে ছেলেদের কালার ফুল শার্ট, চেক শার্ট, এক কালার শার্ট, জিন্স ও গ্যাবাডিং প্যান্টের পাশাপাশি বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবি পছন্দের তালিকায় রয়েছে।

ঈদের বাজারে শাড়ির প্রতি আকর্ষণ কম। বিভিন্ন শাড়ির দোকানে টাঙ্গাইল শাড়ি, জর্জেট শাড়ি, সিল্ক শাড়ি ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
সুতি পাঞ্জাবি, জর্জেট পাঞ্জাবি তিনশ টাকা থেকে শুরুকরে সাড়ে তিন হাজার টাকা পযন্ত রয়েছে।

ফুটপাতের ঈদ উপলক্ষে শার্টের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। যা দেড়শ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এখানকার শার্টগুলোর রং ও ডিজাইন ভাল হওয়ার কারণে ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে।
দামে কম ও পছন্দ হওয়ায় অনেকে ফুটপাত থেকেও ঈদের ড্রেস কিনেছে।

জুতার বাজারও চাঙ্গা রয়েছে। ছোটদের জুতা স্যান্ডেল ৩শত টাকা থেকে ১২শত টাকা, বড়দের জুতা, স্যান্ডেল ৬শত টাকাথেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।

জেলার দোকানের বিক্রেতারা বলেন, রোজার মাসের শেষ দিকে এসে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা, দামে একটু বেশী হলেও সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়াও বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতা উপস্থিতি আর বেচা-বিক্রিতে সন্তোষ প্রকাশ করার মত।

নড়িয়ার রহমান প্লাজার ইরা শারি’জ এর বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন ঈদের সময় তাই ক্রেতা সমাগম অনেক বেশি। বেচাকেনা ভালোই হয়েছে। এবার কিছু ইন্ডিয়ান ও বাংলাদেশী থ্রী-পিছ বেশি বিক্রি হয়েছে। ইরা শারি’জ এর তাক গুলো সাজানো হয়েছে দেশি-বিদেশী নানার রকমের ড্রেসে।

01

জাজিরায় ঈদের কেনাকাটা করতে আসা এক তরুনি বলেন, এবার ঈদে শুধু ২টা থ্রি-পিছ কিনলাম। দাম টা গতবারের চেয়ে একটু বেশি। তবে পছন্দের কাছে দাম কিছুই না।
মায়ের সাথে আসা ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী রিয়া মনি কে শপিং এর কথা জিজ্ঞাসা করলে সে বলে অনেক কিছু কিনেছি, আরো কিনবো।
তবে শেষ সময়ে কসমেটিক্স ও পার্লারের দোকানে ভীর লক্ষ করা গেছে।

মার্কেট ও শপিং মল গুলোতে পুরুষের চেয়ে মহিলাদের ভীর বেশি দেখা যাচ্ছে।

শিশুদের পোশাকের দোকানগুলোতেও উপচেপড়া ভিড়। তরুণী ও নারীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন কসমেটিকসের দোকানে। জুতার দোকানগুলোতে নেই পা ফেলার জায়গা।
ক্রেতা সামলাতে প্রতিটি দোকানে ঈদ বাজার চুক্তিতে উচ্চমূল্যে বাড়তি কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আসছেন সুঁচি শিল্পের নান্দনিক পোশাক কিনতে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ঈদ বাজারের কেনাকাটা।


কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!