জ্ঞান সাধনায় মানুষঃ অজ্ঞান অকারণে

জ্ঞান সাধনায় মানুষঃ অজ্ঞান অকারণে
(জীবনের খন্ড চিত্র)
-আওলাদ হোসেন

[যে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার ও অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত, সন্তানের জন্য পিতা মাতার দেহাবসানে যেরূপ সহস্র উন্মত্ততায় ও অজানা আশংকায় হতে পারে মিথ্যা বা অনাকাঙ্খিত ঘোর অমানিশায় বিষাদিত, দেখা যায় তাকেও হার মানায়]

এই লেখাটি মুলতঃ বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের জ্ঞাতার্থে উপহাসমূলক লেখা। তাদেরকে এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না, তারা হারিয়ে গেছে সম্ভবত কোন এক কবি এ জন্যেই লিখেছেন বকের সারি কোথায় রে, লুকিয়ে গেছে কোন বনে। বুদ্ধিজীবী বলতে কি বুঝায় তা পরে লিখছি। কিছুদিন বিভিন্ন সংগঠণের নামে মাঠ গরম করেছিলেন পলিটিক্যাল পার্টির অন্তর্ধানের পর। তারা ভেবেছিল মাঠতো আমাদের কিন্তু ঠ্যাঙ্গানী খাওয়ার হৃদয়ঙ্গম করতে পারলেন কোথায় যেন কিছু একটা ঘটে গেছে। যারা above 70 তারা নিশিথ রাত্রে সূর্যোদয়ের দেশ হিসাবে ভূগোল বিখ্যাত কথাটির বাস্তব প্রমাণ ৩০/১২/১৮ তারিখে পেয়ে গেলেন তারা পরবর্তী নাটক কি হতে পারে তা কল্পনা করার আগেই এইচ, এম এরশাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতীয় বীর অথবা অন্যকিছু দ্বারা বৃহৎ প্রতিবেশীর প্রশংসাভাজন হবেন কিনা তাও অনুমান করা যাচ্ছে না, কারণ বুদ্ধিজীবীরা এই সময় একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেছে চামচাগিরি চালিয়ে যাবে না সঠিক পথটি বেছে নেবে। একটি টাকা পয়সা প্রাপ্তিযোগ ব্রিটিশ আমলের ট্রেডিশন অপরটি দেশভক্ত ক্ষুদিরাম। বুদ্ধিজীবীরা প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই এই সন্ধিক্ষণে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন, দেশ ডুবলো কি ভাসলো তা নিয়ে তাদের মাথাব্যাথা নেই।

চালিয়ে যাও আমি আছি অর্থাৎ মাসলম্যান যা সর্বত্র সর্বক্ষেত্রে বিরাজিত। এখন নিজেরাই খুন, ধর্ষণ, মারামারি, লুট, অর্থের পাহাড় ইত্যাদি খুবই সহজ হয়ে গেছে এটা কি ভাল লক্ষণ মন্দ লক্ষণ তা আমাদের গর্বের ধন বুদ্ধিজীবীরা ভাল বলতে পারবেন। ৫০% অবশ্য স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছেন, তারা হাল ছেড়ে দিয়েছেন, অনেকেই ছ্যাঁকা থিওরির কারণে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। আমি টাংগাইলের মানুষ, টাংগাইলকে দিয়েই সবকিছু বিচার করে থাকি। কিছুদিন আগে কিছু সময়ের জন্য এক ব্যারিষ্টার সেলাম দিয়ে আসলেন সম্ভবত সামান্য কারণে আর তার পিতা দেশ কে স্বাধীন করাত অর্ধেক পত্রিকার মাধ্যমে করে গেছেন। সিদ্দীকী পরিবার স্বাধীনতার জন্য সে সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করে বর্তমানে যে অবস্থায় আছেন টাংগাইলের মানুষও এখন আর কোন রায় দিতে পারবে বলে মনে হয় না। নারায়নগঞ্জ ও তাই। শাজাহান সিরাজ বেঁচে আছেন। মৃত্যুর আগে কিছু একটা করবেন, মৃত্যুর পর তিনি যে সম্মান পাবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারও অবস্থা পক্ষে বিপক্ষে বিরাজিত। দেশ স্বাধীন করার প্রাথমিক অবস্থানেও যদি তাদের স্থান না হয়, ছ্যাঁকা খাওয়ার দলে পড়ে যান তাহলে কি নিয়ে দেশবাসী গর্ব করবে। মৃত্যুর পর দেশ এতিম হবে কিন্তু ভ্যান্যা গাছের কাঠ দিয়ে শক্ত মজবুত টেকসই বাঁধের মুখে অবরোধ করার মত তক্তা পাওয়া যাবে না। এখনই এদের ইতিহাস সংগ্রহ করে ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য রেখে দিতে হবে অন্যথায় কাকের মাংস কাকে খাবে। জয় বুদ্ধিজীবীদের জয়। বাংলার ১৬কোটি মুসলমান অশিক্ষিত ও দরিদ্র তবে তারা বিভ্রান্ত না তারা অনেক সুখে আছে। প্রতিটি সৃষ্টিরই সুন্দর ব্যাখ্যা আছে যা আমরা জানি না। পৃথিবী সৃষ্টিতে মানুষের কোন হাত ছিল না এখনও নেই ভবিষ্যতেও থাকবে না। অথচ মানুষ প্রথম থেকেই নিজেকে মহাপণ্ডিত বলে প্রচার করে আসছে।কিভাবে মহাপণ্ডিত হলো এবং মতবাদ ও মতভেদ সৃষ্টি করলো তা নিজেই জানে না। এক পণ্ডিত অপর পণ্ডিতকে জাতমূর্খ্য বলে প্রচার করে।এক দেশ অপর দেশকে শত্র“ বলে মনে করে। অথচ পৃথিবীটা হচ্ছে global village. বিখণ্ডিত দেশ একজন অপর জনের উপর নির্ভরশীল। গ্রাম্য মোড়ল যখন গ্রাম্য টাউটে পরিণত হয় তখন সুন্দরী মহিলাদের বিপদ বেশী ঘনিয়ে আসে।ইদানীং যতটি খুন ও ধর্ষণ হয়েছে তার মূলেই সুন্দরী নারী প্রেম ঘটিত এবং অশিক্ষিত মাসলম্যান এবং শ্রেণী সংগ্রামরত। অসহায়দের রক্ষা করার কেউ নেই। সর্বশেষ সংযোজন মাদ্রাসার লম্পট শিক্ষক কারণ sex is the root of all evils একটি সরকার যখন গদি রক্ষায় ব্যস্ত থাকে, বিভিন্ন বৈদেশিক শক্তি ত্যাক্ত বিরক্ত করতে থাকে, কে রাজাকার আর কে মীরজাফর অথবা কে কার দালাল, প্রেমের কারণে জীবন বিসর্জন ইত্যাদি নিয়েই আমাদের ব্যস্ত থাকতে হয় পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায়, মাসলম্যানদের মহোৎসব এই সঙ্গে গাজা, ভাং, ঔষধ ইত্যাদি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে বলে মহিলা পুরুষ সমানে sex এর কারণে ব্যবহৃত হচ্ছে। global village এর কারণে এক দেশ অন্য দেশের উপর নির্ভশীল, আর যদি বন্ধু রাষ্ট্র যদি প্রচার করে আমরা তাদের পরম হিতৈষী তাহলে তো কথাই নেই। আনন্দে গদগদ উজান থেকে পানি ভাটিতে গড়ায়। এখানে উজানে বাঁধের কারণে যদি ভাটিতে পানি না থাকে তাহলে নদীপথ বন্ধ হবে, মাছপাওয়া যাবে না, দেশ মরু ভূমিতে পরিণত হবে, এটাই স্বাভাবিক। স্রষ্টাকে আমরা কোন কিছু কল্পনা করতে পারি না। সৃষ্টি কর্মে মানুষ সহ বুঝতে পারি তিনি মহাবিজ্ঞানী। যার সামান্য পরিমাণ জ্ঞান থেকে আমরা মহাবিজ্ঞানী। কিন্তু তার সৃষ্টি কর্ম কল্পনা করলে আমাদের অবস্থান শূন্য এবং গাণিতিক পরিমণ্ডলে অনির্ণেয় অথচ আমাদের ধর্ম নিরপেষ্টক্ষ মূলত স্রষ্টা সে মহাবিজ্ঞানী তা থেকে বিরত রাখে। কুরআনের জ্ঞান নেই যা অবধারিত তা অস্বীকার করে এখন বিপরীত স্রোতে ভাসান দিয়ে যেই হারিয়ে গণতন্ত্র ও হারিয়ে ফেলেছি। এখন শব্দটি বাদ দিয়ে Selection কথাটি আসবে কারণ আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্গা দেয়া হয়েছে। চমৎকার ব্যবস্থা। রাষ্ট্র এখন সব ক্ষমতার অধিকারী। কাউকে কোন কাজ করতে হবে না। এটা হচ্ছে কাটা মুরগীর শেষ দাফরানো। এরপর তাও থাকবে না। মসজিদে নামাজীদের ভাল হওয়ার জন্য জুম্মার দিন নসিহত করা হচ্ছে অথচ কেউ বলতে পারছেনা যে হুজুর গত রাত্রের নির্বাচনে আমরা নাগরিক অধিকার পাই নাই বা হরণ করা হয়েছে। সব কাজই মধ্যযুগীয় না হয়ে mythology এর যুগের মত হচ্ছে। আমরা ইতিহাসের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। পাপে গযব নাযিল হচ্ছে, ভূমিকম্পও হবে। স্রষ্টার সৃষ্টি মানুষ তার কোন অবকাশ নেই। জন্ম নেয় মৃত্যু বরণ করে এই পর্যন্তই। সোনার সংসার গড়ে দিয়ে মৃত্যুবরণ করলে সে সংসারের উপর কর্তৃত্ব থাকে না। মহাপুরুষেরা কষ্ট করে পথ দেখিয়ে যান স্রষ্টা সহায় থাকেন অকারণে যদি জলাঞ্জলি দেয়া হয়, অশিক্ষা কুশিক্ষার কারণে যদি ফেল করেন তার দায়ভার কেউ নেবে না। সৃষ্টি মানুষের স্রষ্টার দোষ নেই। স্রষ্টা রক্ষা করেন নাম হয় মানুষের। সুখে খেতে ভুতে কিলায়। সর্বশেষ দেশ জয়ীরা এখন গণতন্ত্রের নামে যা চালিয়ে যাচ্ছে নিস্তেজ, বলহীন সুপুরুষেরা এখন Sex এর tablet খেয়ে মেয়ে পুরুষ সমভাবে নিবীর্ঘ হয়ে Steri lized মৃত্যু পথযাত্রীরা আর গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে না। কারণ যে নেশা ব্রিটিশরা ধরাতে পারে নাই আমর নিজেরা নিজেরাই তা পারছি। দারুণ উন্নতি। কোন এক গল্পে বলেছে কইছেরে, আর যায় কোথায়। ভাল করা তিক্ত এবং শত্রুও বুঝতে পারে। কিন্তু চীন কিভাবে ঢুকে পড়লো? এক বনে দুই বাঘ। বনের কাম সারা বাঙালি জেগেছে। এটাই আল্লাহর খেলা। যেখানে যে বস্তু যতটা থাকা দরকার ততটাই দেয়া আছে। accurate measurement সূক্ষ মাপ জ্ঞান। পৃথিবীর কোন জ্ঞানই এটাকে ধরতে পারছেনা, অস্বীকার করতে পারছে না কিন্তু আল্লাহকে মৌলভী ভেবে ধরতেও পারছেনা। মিশর বিখ্যাত ফিরাউনের জন্য কিন্তু ফিরাউন জলে ডুবে মারা যায় তা ভুলে গেছে। অনুরুপ আরও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা আছে আগেই উল্লেখ করেছি কিন্তু আমার মন পড়ে আছে গণতন্ত্রের জন্য, ভুলতে পারি না, সবাই ভুলে গেছে, নিরাশ হয়েছে আশা ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু সুন্দরী ললনা গণতন্ত্র ভুলতে পারি না। বাঙালি দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা জানে না মুসলমানের ১ নম্বর কাজ হচ্ছে নতুন মুসলমান বানানো এবং তা জোর করে না, চরিত্রের গুণে। এখন মুসলমানরা মুসলমানকে ধর্ম শেখায় কারণ এটাই নিরাপদ পানি। যদি অমুসলমানকে ধর্ম শেখাতে যায় তাহলে সে ফুলের মত পবিত্র চরিত্র দাঁত ভেঙ্গে ফেলবে। তারপর ও জিহাদ করতে হবে জঙ্গী না। কারণ আল্লাহর বাণী পৌছানোই জিহাদ যা ঈমানের অঙ্গ এবং এ জন্যে আল্লাহ পরকালে অনন্ত জীবন ও হুর দিবেন সম্ভব এ কারণে এ পৃথিবী যেখান থেকে এসেছে পরকালে তাও সেখান থেকেই আসবে। ঘরে বসে গুতা খাওয়ার জন্য মুসলমান সুদূর মিয়ানমারে বৌদ্ধদের হীণতায় বা দয়ায় বেঁচে থাকার জন্য মক্কা মদিনা ছাড়ে নাই। এ পাপ মুসলমানের সৃষ্টি, রাজনীতিবিদদের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান না থাকায় রাস্তায় গরু আর ছাগল চিনলেই হবে তত্ত্বটি বেরিয়ে আসে। ভাগ্য ভাল আমাদের সদাশয় সরকার অনেককে ব্যর্থতায় বিদায় দিয়েছেন। ভয় হয় ওপার বাংলার বাঙালিরা আমাদের চাইতে অনেক সরস অথচ আমরা স্বাধীন শুধু পলাশীর প্রান্তের গণতন্ত্র হারিয়েছি। বাঙালি ভুল করতে পারে, ক্ষমা চাইতে পারে, রাজরোষ ব্যক্তির ব্যাপার, নদীর স্রোত থেমে থাকে না যুদ্ধে নিহত খোকাও বাড়ী ফিরবে না কিন্তু গন্ত্র ফিরবেই, রাতের অন্ধকার যেমন থাকবে না গণতন্ত্র ও তেমনই আবদ্ধ থাকবেনা রাজপথে নেমে আসবে কিন্তু কবে। আবার কবে ক্ষুদিরাম জন্ম নিবে। রাজনীতি অত্যন্ত হিংসাপরায়ণ। এখানে ক্ষমা নেই। সামান্য জমিদারেরা ক্ষমা করে নাই। প্রতি পক্ষকে নির্বাশ করা হয়েছে। গণতন্ত্র ছাড়াই আমরা ভাল আছি। পদ্মার ঢেউ থেমে গেছে। বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ নেই, সুন্দর বনের বাঘের গর্জন শোনা যায় না, সব শান্ত, পরিশ্রান্ত, স্তবদ্ধ। ছোট বেলায় কাজই ছিল এক বই দশবার করে দেখা। ছাত্ররা মৌলভী মাস্টার কে জিজ্ঞেস করতো সিনেমা দেখা জায়েজ কিনা? শিল্পী সিনেমায় বন্ধুরে তুমি বিহণে বন্ধু দৃশ্যটি ভুলতে পারি না, নায়ক মারা যায় এখন হলে নায়িকার বাবাই মারা যেত অথবা নায়িকা অপহৃত হত। হেড মাস্টার বইটি আর আগের মতো লাগলো না। ২টি ইংরেজী বই একটিতে নায়িকা খলনায়ক কে গুলি করে আর অপরটিতে নায়িকা খল নায়িকাকে CID এর কাছে ধরিয়ে দেয় অবশ্য নায়ক মারা যায়। ভাল কিছু যদি Sex বিবর্জিত হয়। তা হবার নয় মোবাইল সর্বগ্রাসী রুপ ধারণ করেছে। পৃথিবী একটি অন্ধকার গহবরের দিকে বিজ্ঞানের বদৌলতে এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা কিভাবে ভাল মন্দ বেছে নেব যৌবনতো কিছুই মানে না। যখন হুশ হয় তখন সবই হাত ছাড়া। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার চাইতেও ভয়াবহ। আমাদের কালতো গেল আগামী প্রজন্ম যাবে কোন পথে। আমরা রক্ষা করতে পারি নি, তবে মাদকের থাবায় চরিত্র বিসর্জন দিতে হয় নি। বিজ্ঞান যে কোথায় নিয়ে ঠেকাবে গজব ওতো পিছু ছাড়ছে না। এক, পাঁচ, দশ হাজার বৎসর পরে কি হবে আল্লাই ভাল জানেন। এ যাত্রায় কলামিষ্টরা যথেষ্ট পরিশ্রমে ইন্টারনেটের বদৌলতে দেশকে সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে বাচিয়ে দিল। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!