ঝুমা হত্যা মামলাঃ এমপি’র ভাই, ভাবী ও ভাতিজার বিরুদ্ধে।

 

অনলাইন ডেস্ক  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বড় ভাই এবারত হোসেনের সিংগাইর উপজেলার বাসা থেকে ঝুমার (১২) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অবশেষে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল দুপুরে নিহতের বাবা রিয়াজুল ইসলাম বাদি হয়ে মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৪ শাকিল আহমদের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় এবারত হোসেন, ফরিদা পারভীন ও ভাতিজা ফিরোজসহ অজ্ঞাত দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়।

আদালত শুনানি শেষে বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে সিংগাইর থানার ওসিকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, আসামিরা সংসদ সদস্যের পরিবারের লোক হওয়ায় আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এলাকায় মাদক ও দেহব্যবসাসহ উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাদের বাড়িতে বিভিন্ন সময় মদসহ নাচ-গানের আসর বসত।

বাদির মেয়ে ঝুমা আক্তার আসামিদের বাড়িতে তিন বছর ধরে গান শেখার পাশাপাশি ভাকুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। সেই সাথে সংসারের যাবতীয় কাজকর্মও করত। নিহত ঝুমা আক্তার নাবালিকা হলেও সে শারীরিকভাবে বড় হয়ে ওঠে। আসামিরা ঝুমাকে বিভিন্ন সময় তাদের অপকর্মে অংশগ্রহণ করার জন্য চাপ দিলে সে অস্বীকৃতি জানায়। এতে তারা ঝুমার ওপর নিযার্তনের চেষ্টা করত।

একপর্যায়ে গত ৮ ডিসেম্বর সকালে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশের গলায় কাপড় পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আসামিরা গা-ঢাকা দেয়। থানা পুলিশ ঝুমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। অভিযুক্ত এবারত হোসেন বলেন, ঝুমা আত্মহত্যা করেছে। কী কারণে আত্মহত্যা করেছে সেটা আমি জানি না।

মামলার বাদি নিহত ঝুমা আক্তারের বাবা রিয়াজুল হোসেন বলেন, আসামিরা আমার মেয়েকে হত্যা করে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়। আমি আমার মেয়ে হত্যার যথাযথ বিচার চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!