টাঙ্গাইলের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন উদাসীন, যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা॥

 

মোঃ রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ অফিসের তত্তাবধায়ক, প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও পৌরসভা বরাবর ভূক্তভোগী এলাকাবাসীর স্বাক্ষর সহ ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যা সমাধানে বারবার আবেদন করে ও সরাসরি যোগাযোগ করেও সমস্যার কোন সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
টাঙ্গাইল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের এনায়েতপুর দক্ষিণপাড়া পুলিশ লাইন সংলগ্ন হাজরাঘাট স্ল্যুইচ গেট জামে মসজিদের নিকট থেকে প্রায় ৬০ গজ পশ্চিম দিকে রয়েছে একটি ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি। যা থেকে আবাসিক ঘর-বাড়ির উপর দিয়ে ১১ হাজার কেভি হাই ভোল্টের তার ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উত্তর দিকে বিপদজনকভাবে প্রবাহিত হয়েছে। আবাসিক এলাকাটিতে বেশ কয়েক বছর আগে যখন বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার স্থাপন করা হয়, তখন সেখানে তেমন কোন স্থাপনা কিংবা ঘর-বাড়ি ছিল না। ফলে তৎকালীন সময়ে যত্রতত্র এলোমেলোভাবে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার স্থাপন করা হয়েছিল।
বর্তমানে অত্র এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই এলাকায় সরবরাহকৃত বৈদ্যুতিক লাইনের তারের নিচের প্লটগুলোতে অনেক ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। পৌরসভা থেকে গৃহ নির্মাণের নক্শা পাশ করণের মাধ্যমে বেশ কিছু ঘরবাড়ি (ইমারত) বিল্ডিং নির্মাণের কাজ হইতেছে।

ঘর বাড়ি এবং স্থাপনা সমূহের সরাসরি উপর দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন নিচু হয়ে চলে যাওয়ায় নির্মাণাধীন স্থাপনা সমূহের কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শহরাঞ্চলে জায়গার দাম অত্যাধিক হওয়ার কারনে কেউ ৩ শতাংশ, কেউ ৪ শতাংশ, কেউবা ৫ শতাংশ জায়গা কিনে ঘর বাড়ি বানাচ্ছে। জায়গা কম হওয়ায় অনেকেই আবার বহুতল ভবন তৈরী করছে। একদিকে কম জায়গা অন্যদিকে ঘর বা ছাদের উপর হাই ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের ঝামেলা। নির্মানাধীন পাকা স্থাপনা বা ছাদের উপর দিয়ে প্রবাহিত মাত্রাতিরিক্ত ভোল্টেজের তার যাওয়াতে এলাকাবাসী এখন মহা বিপদের সম্মুক্ষীন। এভাবে লাইনটি অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা।

Tangail-Biddut-er-News-(R.K.Menon)-with-pic--06.05-(2)
টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন সংলগ্ন (হাজরাঘাট, স্লুইস গেট ) আবাসিক এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক লাইনের একাংশ।

আবাসিক এ এলাকায় কোন বাসার বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা দেখা দিলে তা ঠিক করার জন্য সেখানে বিদ্যুতের লাইনম্যান কিংবা মিস্ত্রি কাজ করার জন্য আসলে সেখানে মই ফেলতে পারেনা। কখনও কারও বাসার চালের উপর, ছাদে নয়তো কোন গাছে উঠে বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যার সমাধান করতে হয়। এ অবস্থার কারণে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কারও লাইন মেরামত করার জন্য আসতে চায় না। আসলেও মাত্রাতিরিক্ত টাকা পারিশ্রমিক দাবী করে। বলা বাহুল্য বর্তমানে উক্ত লাইনের প্রায় ২৫-৩০ গজ পশ্চিম দিক থেকে দশফুট প্রশস্ত রাস্তা উত্তর দিকে চলে গেছে। বৈদ্যুতিক লাইনটি উক্ত সড়কে স্থানান্তর করলে এলাকাবাসী আকস্মিক দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবে। সেই সাথে রাতের অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তায় রোড লাইটের সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে।
এলাকাবাসীর আরো অভিযোগ রয়েছে যে, সময়মত পৌরট্যাক্স পরিশোধ করলেও রাতে পৌরসভা কতৃক রোড লাইটের সুবিধা এমনকি ড্রেনেজ ও ভাল রাস্তার সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। বাসাবাড়ির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ও হালকা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে এলাকাবাসীকে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়।

বিদ্যুৎ লাইনটি স্থানান্তর করতে টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ অফিসের তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও পৌরসভা বরাবর ভূক্তভোগী এলাকাবাসীর স্বাক্ষর সহ ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বারবার আবেদন করেও সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। ইতিপূর্বে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ছবিসহ নিউজ ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অনতিবিলম্বে পুলিশলাইন ¯¬্যুইচ গেট এলাকার মসজিদের পশ্চিমের ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি ও হাই ভোল্টের লাইন স্থানান্তর করা প্রয়োজন। উলে¬খ্য বর্তমান লাইনটি স্থানান্তর করতে হলে ৩/ ৪ টি খুঁটি প্রায় ২৫-৩০ গজ পশ্চিম দিকে ১০ ফুট প্রশস্ত রাস্তায় স্থানান্তর করা ও ২ টি নতুন খুঁটি প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ লাইনের উক্ত সমস্যার অতিদ্রুত সমাধান করে আকষ্মিক দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পৌর কতৃপক্ষ ও বিদ্যুতের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!