টাঙ্গাইলে তাঁতঘরে শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু

বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী, টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম

টাঙ্গাইলের “তাঁতপল্লী” দেলদুয়ার উপজেলার চন্ডী গ্রামের নিতাই বসাকের বাড়ির তাঁতঘর থেতে সকুমার (৪৮) নামের এক তাঁত শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে তাঁত ঘরের ভেতরে বিছানা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত সুকুমারের বাড়ি উপজেলার দুল্যা গ্রামে। মৃত্যু, অপমৃত্যু নাকি হত্যা এ নিয়ে পুলিশ ও জনমনে নানা প্রশ্ন উঠে আসছে। মনে-মন্টুর শাড়ী নামে পরিচিত এই শাড়ী কারখানায় শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকায় নানা আলোচনায় সৃষ্টি হচ্ছে।
মনে-মন্টু ও পলান বসাকের বাবা নিতাই বসাক বলেন, গত ২৫ বছর যাবত সুকুমার তাদের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে আসছে। রবিবার সকালে সুকমারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় প্রতিবেশী দুর্গা । দূর্গা জানান, ভোরে সুকুমারের ভাই রনজিৎ দুর্গাকে সুকুমারের মৃতের খবর দেন। প্রতিবেশী অন্যান্যরা বলেন, শুনেছি রাতে অসুস্থ হয় সুকুমার। তাকে মাথায় পানি দেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকও ডাকা হয়।

এদিকে, স্থানীয়রা বলছেন, থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে অতিরিক্ত মদ পানের কারনে সুকমারের মৃত্যু হতে পারে। শোবার ঘর খোলা, শরীরে মাটি থাকা, পড়নের কাপড় ভেজাসহ বেশ কয়েকটি কারন দেখিয়ে স্থানীয়দের অনেকেই বলছে, তাকে কেও পরিকল্পিতভাবে মেরে শোবার ঘরে রেখে গেছে।

সকুমারের ভাই রনজিৎ জানান, মনে-মন্টুর বাড়ির ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন তার ভাই সুকুমার মারা গেছেন।

পুলিশও সুকুমারের মৃত্যুকে প্রাথমিকভাবে রহস্যজনক বলে মনে করছেন। স্থানীয়রা বিষয়টি থানায় না জানিয়ে ধামাচাপা দিয়ে মিমাংশা করার চেষ্টা করলেও পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিছে।

দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এব্যাপারে কেউ থানায় মামলা করেননি। প্রাথমিকভাবে সকুমারের মৃত্যু রহস্যজনক মনে করে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কিভাবে মারা গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!