টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত

মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় টাঙ্গাইলের পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়েও স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহন চলে। সরেজমিনে পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাড়িয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ২ জন নির্বাচন কমিশনার, ১০ জন প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২০ জন পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। নির্ধারিত সময়ে ভোট গ্রহন শেষে দুপুরে ফলাফল ঘোষনা করা হয়। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়োজিত ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেই ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এছাড়া নির্বাচন দেশ ও বিদেশে সকলের কাছে স্বচ্ছ করতে বিদেশী নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যম কর্মীর সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মত। আর এই সকল দায়িত্বও পালন করেছে শিক্ষার্থীরাই। বিদেশী পর্যবেক্ষকরা জানান, “এবছর নির্বাচনের পরিবেশ ছিল খুব ভালো। অত্যন্ত শৃঙ্খলার সহিত শিক্ষার্থীরা উৎসাহ নিয়ে ভোট দিয়েছে। ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দিতে এ ধরনের নির্বাচন আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” শিক্ষার্থীরা জানান, ‘‘এ ধরনের নির্বাচন আমাদের প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যে প্রার্থী আমাদের শিক্ষার্থীদের ভাল-মন্দ দেখবে আমরা তাকেই ভোট দিয়েছি।” বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রত্যেক শিক্ষার্থীই ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত। শিক্ষার্থীদের স্বত:ফূর্তভাবে অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে এ নিবার্চন সম্পন্ন হয়েছে। ছেলে ১১ জন ও মেয়ে ১২ জনসহ মোট প্রার্থী ২৩ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্য থেকে ৮ জন প্রার্থীকে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল কাদের জানান, “সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে ভোট গ্রহন চলে। জাতীয় নির্বাচনের আদৌলে প্রতিষ্ঠানে এ নির্বাচন করার চেষ্টা করেছি। শিক্ষার্থীরাই নির্বাচনের সকল দায়িত্ব পালন করেছে। শিক্ষকরা শুধু তাদেরকে সহযোগিতা করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের নির্বাচন খুব কার্যকরী হবে বলে আমি মনে করি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!