টাঙ্গাইল-৫ আসনে মহাজোটের প্রার্থী শফিউল্লাহ আল মুনির

অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

জল্পনা-কল্পনা শেষে টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শফিউল্লাহ আল মুনিরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(২৭ ডিসেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী ও মহাজোটনেত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোষণা দেন।

এরআগে প্রতীক বরাদ্দের সময় মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শফিউল্লাহ আল মুনিরকে লাঙ্গল প্রতীকের চিঠি দেয়া হয়।

বর্তমান সংসদের এমপি জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মো. ছানোয়ার হোসেন দলের হাইকমান্ডে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন। পরে নির্বাচন কমিশনের প্রতীক বরাদ্দের একেবারে শেষ মুহুর্তে জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মো. ছানোয়ার হোসেন নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার দলীয় চিঠি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে মহাজোটের উভয় প্রার্থীই পৃথকভাবে স্ব স্ব দলীয় প্রতীত নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেয়। প্রচারণা চালাতে গিয়ে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির কর্মী-সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগও দাখিল করে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণার শেষ দিনে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় কয়েকটি জেলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির শফিউল্লাহ আল মুনিরের নাম ঘোষণা করেন। তিনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরকে বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে মহাজোটের প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।

এ ঘোষণার পর থেকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল হলেও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে এক প্রকার হতাশা লক্ষ করা গেছে। আওয়ামীলীগের নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহুর্তে দলীয় এমন ঘোষণায় তারা অনেকটা বিব্রত।

যেহেতু মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় নেই তাই এ আসনে ভোটের ব্যালট পেপারে ‘নৌকা’ প্রতীক থাকবে। তাছাড়া ভোটের মাত্র ৫৫ ঘণ্টা আগে এমন ঘোষণার খবর তৃণমূলে পৌঁছানো খুবই কঠিন। ফলে সাধারণ ভোটারদের একটা অংশ ‘নৌকা’ প্রতীকে সিল দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হচ্ছেন, বিএনপির প্রার্থী মাহমুদুল হাসান (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী (মাথাল), আবুল কাশেম (সিংহ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আবু তাহের (আম), বিএনএফ প্রার্থী শামীম আল মামুন (টেলিভিশন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী খন্দকার ছানোয়ার হোসেন (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের প্রার্থী সৈয়দ খালেকুজ্জামান মোস্তফা (বটগাছ)।

আগামি ৩০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের তিন লাখ ৮০ হাজার ২৩৫জন ভোটার ১২৭কেন্দ্রের ৭৬৩টি কক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!