টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনে প্রার্থীতা ঘোষনা করলেন- খন্দকার আহসান হাবিব ।

অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

আজ ০৩ নভেম্বর ২০১৮ রোজ শনিবার ভিক্টোরিয়া ফুড জোনে সাংবাদিক সম্মেলন এর মাধ্যমে টাংগাইল সদর আসনে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ এর মনোনয়ন এর জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজের নাম ঘোষনা করলেন-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য , টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও সুপ্রিমকোর্ট এর স্বনামধন্য আইনজীবী খন্দকার আহসান হাবিব ।

আহসান হাবিব বলেন, ‘দলের প্রতি আমার আনুগত্য ও কর্মের প্রতিদানস্বরূপ আগামী নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশা করছি। আর মনোনয়ন পেলে এ আসনটি অবশ্যই পুনরুদ্ধার করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। দল আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কাউকে দিলেও আমি দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।’

মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান দুলাল, হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমান লিটন, সরকারি সা’দত কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস নুপুর ও সৈয়দ আব্দুল মান্নান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তারিকুল ইসলাম ঝলক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রৌফ, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আহমেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু না হলেও বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে চান- মেজর জেনারেল(অব:) মাহমুদুল হাসান, বিএপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।

এ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ ছানোয়ার হোসেন ছাড়াও মনোনয়নের দাবিদার পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরণ, প্রয়াত ফারুক আহমদের স্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নাহার আহমেদ এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট খোরশেদ আলম।

শফিউল্লাহ আল মুনীর জেলা জাপার আহ্বায়ক হলেও অধিকাংশ কর্মী তা মেনে নিতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে শফিউল্লাহ আল মুনীর বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন যা দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন- জাতীয় পার্টির তিনিই প্রার্থী।

মুরাদ সিদ্দিকী এই আসন থেকে তিনবার নির্বাচন করে উল্লেযোগ্য ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। দু’বার ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী। একবার স্বতন্ত্র। মুরাদ সিদ্দিকীর রয়েছে নিজস্ব কর্মিবাহিনী এবং সমর্থক।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন সৈয়দ খালেদ মোস্তফা। এর আগেও তিনি নির্বাচন করেছেন। তাকে নিয়ে রয়েছে শহরবাসীর ভিন্ন আগ্রহ। তার সাথে কেউ না থাকলেও তার একাকী প্রচার এলাকাবাসী উপভোগ করেন।

১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আবদুল মান্নান জয়লাভ করেছিলেন। এরপর যথাক্রমে বিএনপি’র আবদুর রহমান (১৯৭৯), জাতীয় পার্টির মীর মাজেদুর রহমান (১৯৮৬), জাতীয় পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান (১৯৮৮), জাতীয় পার্টি, পরবর্তীতে বিএনপি’র মে.জে. মাহমুদুল হাসান (১৯৯১), বিএনপি’র মে.জে. মাহমুদুল হাসান (১৯৯৬, ১৫ই ফেব্রুয়ারি), আওয়ামী লীগের আবদুল মান্নান (১৯৯৬, ১২ই জুন), বিএনপি’র মাহমুদুল হাসান (২০০১), জাতীয় পার্টির আলহাজ আবুল কাশেম (২০০৮) এবং আওয়ামী লীগের আলহাজ ছানোয়ার হোসেন (২০১৪) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!