ডিভোর্স চান স্ত্রী, সংসার করতে চান অভিনেতা সিদ্দিক

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

সংসার নিয়ে ঝামেলায় আছেন ছোটপর্দার পরিচিত অভিনেতা সিদ্দিক। স্ত্রী মারিয়া মিমের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছে না। সে কারণে সিদ্দিকের স্ত্রী মিম তাকে ডিভোর্স দিতে চাইছেন। তবে সিদ্দিক চাইছেন, সংসার করতে।

সিদ্দিক বলেন, আমি চাইনা আমার স্ত্রী মিডিয়াতে কাজ করুক। সে আমার সংসার দেখাশুনা করুক। আমাদের একমাত্র ছেলে লেখাপড়া করছে। তার ঠিকমত যত্ন নিক। কিন্তু সে (মারিয়া মিম) কোনোভাবেই আমার কথা শুনতে রাজি না।

এদিকে, সিদ্দিকের স্ত্রী মারিয়া মিমের দাবি, সিদ্দিক চায় না মিডিয়াতে আমি ক্যারিয়ার গড়ি, প্রতিষ্ঠা পাই। সিদ্দিকের কারণে অনেকদিন কাজ থেকে দূরে ছিলাম। সম্প্রতি আবারও কাজে ফেরার চেষ্টা করছি। কিন্তু এখন সিদ্দিক আমার প্রতিটা কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাকে কোনো কাজ করতে দিচ্ছে না। আমি যেখানেই কাজ করতে যাই, সেটা জানার পর সেখানে সে না করে দিচ্ছে। দুদিন আগে এফডিসিতে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং ছিল। সেখানেও সিদ্দিক বাঁধা দিয়ে কাজ করতে দেয়নি।

মারিয়া মিম বলেন, লম্বা সময় সিদ্দিকের সঙ্গে কাটিয়েছি, আর সম্ভব হচ্ছে না। অনেক চেষ্টা করেও তার কাছ থেকে মিডিয়াতে কাজের অনুমতি পাইনি। গত জুলাই মাস থেকে আমরা আলাদা থাকছি। আট বছরের সংসারের ইতি টেনে সিদ্দিককে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগির তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠাবো।

এ প্রসঙ্গে সিদ্দিক বলেন, আমার আর্থিক অবস্থা এতোটা খারাপ না যে, আমার বউকে মিডিয়াতে কাজ করে রোজগার করতে হবে। আমি তাকে শতবার বুঝিয়েছি মিডিয়াতে কাজ করা লাগবে না। সংসার, সন্তান দেখাশুনা করুক। আমার ঘরের রানী হয়েই থাকুক। সে নাছোড়বান্দা! সংসারের চেয়ে তার কাছে মিডিয়াই বড় হলো।

নিজে মিডিয়াতে কাজ করছেন, স্ত্রী করলে সমস্যা কোথায়? এমন প্রশ্নে সিদ্দিক বলেন: আমাদের একমাত্র সন্তানের বয়স ৬ বছর, সে নার্সারিতে পড়ছে। আমি চাইনা আমার বাচ্চা বুয়ার কাছে বড় হোক। ছেলেটা বর্তমানে আমার কাছে। মিম জুলাই মাসের ২৬ তারিখ আমার বাসা থেকে রাগ করে চলে যায় তার ভাইয়ের বাসায়। শুনলাম সে নাকি আমাকে ডিভোর্স দেবে। সে যদি আমাকে ডিভোর্স দেয় তবে তার ব্যাপার। ডিভোর্স দিয়ে কাজ করুক। তার আগে কোনোভাবেই কাজ করতে পারবে না। তবে আমি চাই, তার সঙ্গে সংসার করতে। কিন্তু মিডিয়াতে কাজ করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ মে মারিয়া মিমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সিদ্দিক। ছোটপর্দার তুমুল জনপ্রিয় এ অভিনেতা  রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয়। গেল জাতীয় নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা) থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।

সূত্র-চ্যানেল আই অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!