ধারাবাহিক/ Organon of Medicine

ধারাবাহিক/ Organon of Medicine
by Dr. S. Hahnemann
সূত্রের ইংরেজি বাক্য ও বাংলা (ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য)
ডা. আওলাদ হোসেন

Organon of  Medicine বইটির সহজবোধ্য বাংলা অনুবাদ করেছেন ডা. রেজাউল করিম। বইটি বাংলায় পড়া হয় বা পড়ানো হয়। তবে ইংরেজিতে পড়তে পারলে জ্ঞানের পরিধি বাড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু ইংরেজির বাংলা জানলে পড়তে সহজ হয়। কিন্তু ইংরেজী পড়ার দরকার নেই অথবা অর্গানন পড়ার দরকার নেই Materia medica পড়লেই চলবে অথবা কোন রোগে কোন ওষুধ দিতে হবে তার একটি তালিকা মুখস্ত করলেই হবে। যেমনঃ- আকস্মিকতায়-একোন, সবিরাম বেদনায়, রক্তিম আভা, গরমবোধ বেল, অতৃপ্ত মলত্যাগ-নাক্সভোম, আঘাতে আর্নিক, স্যাতসেতে আবহাওয়া-রাসটক্্র, নড়াচড়ায় বৃদ্ধি- ব্রায়ো, মহিলাদের অসুখ-পালস/অজীর্ণ-নাক্্র ভোম, কার্বোভেজ, চায়না, লাইকো, বেলিস, সেফাইটিস, হিপার, হাইড্রাসটিস, ক্রিয়োজোট, কেলি বাইক, স্যাকেসিস, সালফ, ন্যাট সালফ ইত্যাদি একটু পরিবর্তন বুঝেই ওষুধ দিবেন, আর যদি একটু কষ্ট করে রেপাটরির সংশ্লিষ্ট চ্যাপটার দেখে নেন অর্থাৎ কোন সময় ৫ তম থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় শুধু সময়ের পরিবর্তনের সংগে সংগে ওষুধও পরিবর্তন হয়ে যাবে তাহলে তো কথাই নেই। আর যদি অর্গানন ভিত্তিক ওষুধ দিতে চান তাহলে অর্গানন বইটি পড়–ন অর্থাৎ সমুদ্রে ঝাপ দেন। শুরু হবে সূত্র-১-মূল কথা-sick-পীড়িত। Physician-চিকিৎসক। Mission-একমাত্র কাজ।

সূত্র-২-Ideal of cure-আদর্শ আরোগ্য, Rapid-দ্রুত, gentle-মৃদু, Permanent-স্থায়ী, Restoration-পুনরুদ্ধার, Harmless-নির্দোষ, Comprehensive-সহজবোধ্য। এখন প্রশ্ন করতে পারেন ইংরেজি শব্দ খুব সুন্দর কিন্তু কঠিন। ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে সব রকমই থাকে। ভাল ছাত্র ইংরেজি খুব সহজেই বুঝতে পারবে এবং সুযোগ তাকে করে দিতে হবে। ডিগ্রি লাভ হলো কিন্তু এক বিদ্যায় ২ ফল আপনি শিক্ষক পারেন না, যে পারে তাকে পথ করে দেন। আপনি ফাইভ পাশ টেন পাশকে ছেড়ে দেন, ভবিষৎ ভাল হবে। যাকে সাহায্য করলেন সে আপনাকে সাহায্য করবে। কিছুই জানেন না বিরাট পদবী নিয়ে বসে আছেন, শ্রমিক সংগঠণের মত মাসলম্যান, আপনার সংগে পারে কে? ডা. রেজাউল করিমের অর্গানন বইটি বাংলায় পড়ে দেখুন ওষুধ নির্বাচন কত কঠিন কাজ- বাঙালি অত্যন্ত সহনশীল জাত। সবই বুঝে কিন্তু প্রতিবাদ করতে জানে না। কি বই পড়ান? নোট বই-আবু হোসেন সরকার, সাভারী না অন্য কেউ? শুধু রাস্তার গরু, ছাগল, বাছুর চিনলেই হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই সম্প্রদায় দেশের যে ক্ষতি করেছে ট্রেনের ব্যবস্থা বাড়ানো হলে রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন কম করলেই হতো অবশ্য টাকাটা যদি জনগণের না হয়ে ভিক্ষার হয়ে থাকে (Foreign aid). এককালে আমরা গর্ববোধ করতাম কিন্তু স্বাধীনতার কাছে এ সাহায্য মূল্যহীন।

পরবর্তী সূত্র-৩, খুবই সুন্দর শব্দ-
(১) What is to be cured- কি আরোগ্য করতে হবে।
(২) Knowledge of disease, indication- রোগ সম্পর্কে জ্ঞান, লক্ষণ।
(৩) What is curative in medicine- ঔষধে কি আরোগ্য হয়।
(৪) Knowledge of medicinal Power- ঔষধের আরোগ্য ক্ষমতা সর্ম্পকে জ্ঞান।
(৫) Medicine most appropriate- সর্বাধিক উপযুক্ত ঔষধ।
(৬) Choice of the remedy, The medicine is dictated- ঔষধ নির্বাচন, ঠিক নির্দিষ্ট ঔষধটি।
(৭) Preparation and quantity- প্রস্তুতপ্রণালী এবং পরিমাণ।
(৮) Proper dose- যথার্থ মাত্রা।
(৯) Proper period for repeating the dose- মাত্রা পুনঃ
প্রয়োগের যথার্থ সময়।
(১০) He knows the obstacles to recovery- আরোগ্যের বাঁধাগুলো সে জানে।
(১১) How to remove Them- কিভাবে তা অপসারণ করে।
(১২) How to treat judicionsly and rationally- কিভাবে ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গতভাবে চিকিৎসা করতে হয়।
(১৩) True practitioner of healing art- আরোগ্য কলার সত্যনিষ্ঠ ব্যবহারবিদ।

*রোগীর অবস্থাভেদে মাত্রা পুনঃ প্রয়োগের বিষয়টি নির্ণয় করতে হয় কারণ বিষয়টি আপেক্ষিক। প্রথম মাত্রা ওষুধ সেবনের কত ঘন্টা বা কত দিন পর দ্বিতীয় মাত্রা প্রয়োগ করতে হবে। বর্তমানে ঝাঁকি দিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম চালু আছে কারণ একই শক্তির ওষুধ জীবনীশক্তি দ্বিতীয় বার গ্রহণ করে না। বিষয়টি জটিল এবং ব্যক্তির দক্ষতা ও পারদর্শিতার উপর নির্ভরশীল।

সূত্র-৫-১. Most probable exciting cause- সম্ভাব্য উ্েত্তজক কারণ।
২. Whole history of the chronic disease- চিররোগের পুরা ইতিহাস।
৩. Fundamental cause miasm- মৌলিক কারণ, মায়াজম।
৪. Ascertainable physical constitution- নিরুপনযোগ্য দৈহিক ধাত।
* বিশেষত্বজ্ঞাপন লক্ষণ বলতে মায়াজম এবং (সোরা-সিফিলিস, সাইকোসিস) পুরা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত্ব এবং চরিত্রগত রোগলক্ষণ (সূত্র-১৫৩) বুঝায় । রোগীর সাধারণ লক্ষণ হলো তার ব্যক্তিসত্তাগত রোগলক্ষণ সাধারণ লক্ষণ নামান্তরে চরিত্রগত লক্ষণ। চরিত্রগত লক্ষণ ব্যতীত রোগ স্বতন্ত্রকরণ সম্ভব নয়। বৈশিষ্ট্যপূর্ণ চরিত্রের পরিচয়বাহী নিদর্শন এবং রোগলক্ষণ সমূহ সবার উপরে এবং সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়। ৪র্থ নম্বরের ব্যাখ্যা।

আকর্ষণীয়, অসাধারণ, বিরল অপর ৩টি বিষয়।
সূত্র-৬-১. Unprejudiced observer- সংস্কার মুক্ত পর্যবেক্ষক।
২. Transcendental speculations- অবাস্তব কল্পনা
৩. Powers of penetration ever so great- অনুধাবনের ক্ষমতা যার খুব বেশি।
৪. Changes in the health of the body and of the mind- দেহ এবং মনের স্বাস্থ্যগত পরিবর্তন।
৫. Deviations fron the former healthy state of the now diseased individual- সাবেক সুস্থ অবস্থা থেকে রুগ্ন ব্যক্তির বর্তমান বিচ্যুতিসমূহ।
৬. Perceptible signs represent the disease in its whole extent- বোধগম্য চিত্র সামগ্রিক পরিসরে ব্যাধিকে প্রকাশ করে।

* ডা. হ্যানিম্যানের হোমিওপ্যাথিকে এইখানে কোয়াক বা প্রঁতুড়ে এবং হাফ- হোমিওপ্যাথগণ এই বিদ্যাকে সর্বনিু স্তরে এবং তলানিতে নিয়ে ঠেকিয়েছে এবং কল্পকথায় আরব্য উপন্যাস অথবা ঠাকুর মার ঝুলিকে হার মানিয়েছে এবং তার সময় থেকেই এই অবস্থা চলে এসেছে। এমনকি ওষুধ পরের রোগটি যদি আগে সেরে যায় তবে ধহষরফড়ঃব করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটাই হয়তো কেরামতি।

সূত্র-৭-১. No manifest exciting or maintaining cause has to be removed- প্রকাশ্য কোন উত্তেজক অথবা রোগ বজায় থাকার কারণ অপসারণ করতে হয় না।
২. Attention paid to the accessory circumstances- সহায়ক ঘটনার প্রতি মনোযোগ দেয়া।
৩. Where by the disease can make known what remedy it requires- যার মাধ্যমে এমন একটি ওষুধ নির্দেশ করে যা ব্যাধি প্রশমিত করার জন্য উপযুক্ত।
৪. Choice of the most appropriate remedy- সর্বাধিক উপযুক্ত ঔষধের নির্বাচন নির্ণয় করতে পারে।
৫. The totality of the symptoms- লক্ষণ সমষ্টি।
৬. The physician has to take note of in every case of disease- প্রত্যেক রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের যা অনুসন্ধান করতে হয়।
৭. By means of his art- তার আরোগ্য কলা দ্বারা।
৮. In order that the disease shall be cured and transformed into health-যাতে রোগ আরোগ্য হয় এবং সুস্থতায় রুপান্তরিত হয়।

পাদটীকা-৩, এ- পাদটীকায় তিনি বলেছেন যে, কারণই যেখানে ব্যাধি সেখানে এক লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা প্রযোজ্য। যেমন- উগ্রগন্ধযুক্ত ফুল যদি কারো মূর্ছা এবং হিস্টিরিয়া সৃষ্টি করে তাহলে তার কক্ষ থেকে এগুলো অপসারণ করতে হবে। চক্ষে ময়লা ঢুকে প্রদাহ সৃষ্টি করলে তা বের করে দিতে হবে। আহত বাহুর অতি কষা বন্ধনী পঁচন সৃষ্টি করতে পারে বিধায় তা ঢিলা করে দিতে হবে, যা তার জন্য উপযোগী আহত ধমনীতে বন্ধনী দিলে যদি তা মূর্ছা সৃষ্টি করে তাহলে সময় সময় তা খুলে দিতে হবে। বেলেডোনা ফল বা ক্ষতিকারক দ্রব্য সেবন করে থাকলে বমনের মাধ্যমে তা বের করতে হবে। (নাক, কান, অন্ননালী, মূত্রনালী, গুহ্যদ্বার, যোনিপথ ইত্যাদি) ছিদ্র পথে কোন বস্তু প্রবেশ করে থাকলে তা খুলে ফেলতে হবে। মূত্রথলিতে পাথর হয়ে থাকলে তা চূর্ণ করে দিতে হবে। সদ্য প্রসূত কোন শিশুর গুহ্যদ্বার খোলা না থাকলে তা খুলে দিতে হবে ইত্যাদি। এখানে বলা আবশ্যক, হ্যানিম্যান যে সময় এ-সূত্রটি লিখেছেন সে সময় হোমিওপ্যাথিক ঔষধের ভান্ডার আজকের মতো সমৃদ্ধ ছিল না। কিন্তু তার পরবর্তী যুগে ঔষধের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এরুপ এক লক্ষণবিশিষ্ট রোগের সাথে আমরা ঔষধের মাধ্যমে যুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। যেমন-গায়ে কাঁটা ফুটলে ঔষধ সেবনে তা বের হয়ে থাকে, অন্ত্রে দূষিত পদার্থ থাকলে ঔষধের সাহায্যে বমন উদ্রেক করা যায়। কিছুই অনুধাবন করতে পারি না। (মায়াজমের সম্ভাবনা এবং সহায়ক ঘটনার প্রতি মনোযোগ সাপেক্ষে) লক্ষণসমূহই একমাত্র অবলম্বণ যার মাধ্যমে ব্যাধি এমন একটি ঔষধ করে যা ব্যাধি প্রশমিত করার জন্য উপযুক্ত- এবং অধিকন্তু এগুলোর সমষ্টিই এর লক্ষণসমূহ, ব্যাধির আভ্যন্তরীণ সত্তার বাহ্যিকভাবে প্রতিফলিত এ চিত্র, অর্থাৎ জীবনীশক্তির পীড়ার চিত্র। এ-চিত্রটিই প্রধান অথবা একমাত্র মাধ্যম, যা দ্বারা ব্যাধি অবগত করতে পারে তার জন্য কোন ঔষধটি দরকার-লক্ষণসমষ্টিই একমাত্র বিষয় যা সর্বাধিক উপযুক্ত ঔষধের নির্বাচন নির্ণয় করতে পারে-এবং এ-ভাবে এক কথায়, লক্ষণসমষ্টি অবশ্যই প্রধান, বস্তুত একমাত্র বিষয় প্রত্যেক রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎ
সকের যা অনুসন্ধান করতে হয় এবং যা তার আরোগ্যকলা দিয়ে অপসারণ করতে হয় যাতে রোগ আরোগ্য হয় এবং সুস্থতায় রুপান্তরিত হয়।

পাদটীকা-৪, পুরাতনপন্থী এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকগণ রোগ কিভাবে আরোগ্য করতে হয় তা না জেনে সকল ক্ষেত্রেই একটি লক্ষণের সাথে যুদ্ধ করে এবং যদি সম্ভব হয়, চিকিৎসক যত্রতত্র রোগের অনেক লক্ষণের মধ্যে একটি মাত্র লক্ষণ ঔষধ দ্বারা দমন করতে চায়-এরুপ ’এক লক্ষণ চিকিৎসা প্রণালী’ লাক্ষণিক চিকিৎসা নামে কলঙ্ক। এর দ্বারা কোন লাভ হয় না বরং ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, একটি পা যেমন পুরো মানুষ নয় তেমনি উপস্থিত লক্ষণসমূহের একটি মাত্র লক্ষণ পুরো রোগচিত্র নয়। এ- পদ্ধতি আরো ক্ষতিকর ছিল এজন্য যে একটি মাত্র লক্ষণ চিকিৎসা করা হতো অসম ঔষধের সাহায্যে। যেমন- ডায়রিয়ার জন্য কোষ্ঠরোধক ঔষধ, কোষ্ঠকাঠিন্যতায় জোলাপকারক ঔষধ , জ্বরে ঘর্মকারক ঔষধ ইত্যাদি। ফলে সাময়িক উপশম হলেও পরে আরো খারাপ হতো।
.রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের উচিত রোগীর সামগ্রিক অসুস্থতা সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা নেয়া এবং রোগের উত্তেজক কারণসহ সকল লক্ষণ লিপিবদ্ধ করে তা থেকে প্রকৃত লক্ষণসমষ্টি নির্ণয় করা।

লক্ষণসমষ্টি বলতে রোগের এমন একটি চিত্রকে বুঝায় যা দ্বারা রোগের পূর্ণাঙ্গরুপ প্রকাশিত হয়। অতঃপর তাদৃশ লক্ষণচিত্র উৎপাদনকারী ঔষধ দ্বারাই উক্ত ব্যাধি সমূলে আরোগ্য হয় এবং রোগের স্বাস্থ্যের পূনরুদ্ধার হয়।
*পাদটীক ২টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা হয়তো ছাত্র/ছাত্রীরা পড়ার সুযোগ পায় না অথবা Practical demons tration করার সুযোগ পায় না যা allopathy ছাত্র/ছাত্রীরা পূর্ণ সুযোগ পেয়ে থাকে।

এটাই পার্থক্য নির্ণয় করে। Dr. Haniman নিজেই এলোপ্যাথ ডাক্তার ছিলেন। হোমিওতে সহজেই ডাক্তার হওয়া যায় কিন্তু organon না পড়ার কারনে নিজেকে পঙ্গুঁত্ব বরণ করে নিতে হয়।
কথাটির সত্যতা প্রকৃত হোমিওপ্যাথকে পেলে নিজেকে প্রতারক/ধোঁকাবাজ মনে হবে।

*৭নং সূত্রে লক্ষণ ও লক্ষণ সমষ্টি, প্রকৃতলক্ষণ অদ্ভূত, বিরল, আকর্ষক, বৈশিষ্ট্যমন্ডিত বা চরিত্রগত লক্ষণ অনুসারে রোগ নির্ণয় ও ওষুধ নির্বাচন যদি কঠিন না হতো সকলেই ডাক্তার হয়ে যেতেন এবং ক্লিনিকের শরনাপন্ন হতেন না। তবুও ২/৪ জন এলোপ্যাথের চাইতে ভাল। গর্ববোধ করে থাকেন এবং ক্যান্সার ভাল করে থাকেন। তাদের মতে অযথা বিদেশে চিকিৎসার জন্যে যান এবং অযথা কষ্ট পান। তবে সার্জারি পৃথক বিদ্যা। (চলবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!