নির্বাচন শেষ হলোঃ অত:পর ?

নির্বাচন শেষ হলোঃ অত:পর ?
রণেশ মৈত্র
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ

অত:পর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নির্বাচন শেষ হলো। সমাপ্তি ঘটলো বহুজনের নির্ঘুম দিবারাত্রির। ভোটের দু’দিন আগে থেকে মানুষ তিনদিনের ছুটিতে আবার অনেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার মানসে গ্রামে চলে গিয়েছিলেন। ফলে ঢাকা শহর হয়ে পড়েছিল প্রায় জনমানবশূণ্য। আর গ্রামগুলি হয়ে উঠেছিল দিন কয়েকের জন্য প্রাণ চঞ্চল। ৩১ ডিসেম্বর যেমন বছরটি শেষ হলো-তেমনি গ্রামের সাময়িক জৌলুসেরও অবসান ঘটলো। তবে চিন্তিত কিছু লোকের হাতে নাকি দিব্যি পয়সা-কড়ি জুটে গেছে নির্বাচনের সুবাদে। তা ধীরে ধীরে ব্যবসায়ীদের হাতেও পৌঁছাবে। ফলে সাময়িক হলেও আর্থিক বিকেন্দ্রীকরণ ও ঘটছে। দলবাজ ছেলে-ছোকড়ারা দিব্যি নতুন পোষাক-মোবাইল কেনা এবং কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য ও সুরু করার পাঁয়তারা ভাঁজছে বলে শুনা যায়।

ঢাকা শহর ৩১ ডিসেম্বর সকাল থেকেই জেগে উঠেছে। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন আগের রাত ১২টা থেকে পরবর্তী রাত ১২টা পর্য্যন্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে যান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল। দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিল শুধুমাত্র রিক্সা সাধারণ মানুষদের বা ভোটারদের জন্যে আর চলেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলির সরকারি যানবাহন। অতিরিক্ত ছিল নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের গাড়ী। জানি না, এহেন পরিস্থিতিতে সাধারণ ভোটাররা কিসে চড়ে ভোট দিতে গেলেন। অনেকে যে ইচ্ছে থাকা সত্বেও যেতে পারেন নি-তাতো স্বচক্ষে দেখা।

সদ্য হাসপাতাল ছেড়ে ঢাকায় মেয়ের বাসায় ডাক্তারের নির্দেশে বিশ্রামে থাকায় আমি ও আমার সহধর্মিনী পাবনাতে যেতে পারিনি। এ কারণে আমরা আমাদের ভোটাধিকারও প্রয়োগ করতে পারি নি। পত্র-পত্রিকার খবর পড়ে যা সন্দেহ মনে জাগে, কোন প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট বা হয়তো নির্বাচনী বুথ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভোট দুটি দিয়েও থাকতে পারেন। জানি না এগুলি যাচাই করা যায় কিনা।

সকাল থেকে ৩০ ডিসেম্বর টেলিভিশন নিয়েই বসে থাকলাম। আর সঙ্গী ছিল দুটি সংবাদপত্র এবং একটি ল্যাপটপ। কাটলো সারাটা দিন এ ভাবেই ¯œান-খাওয়ার সময়টুকু বাদ দিয়ে। নানাভাবে টেলিভিশন চ্যানেলগুলি তাদের নিয়মিত কর্মসূচির সাথে ২৪ ঘন্টাই নির্বাচনী খবর সারা দেশ থেকে সংগ্রহ করে দেখিয়েছে। কিন্তু আমার যেন মনে হলো ঢাকা মহানগরীর কোন কেন্দ্রের ছবি দেখানো হয় নি শুধুমাত্র যে কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোট দিয়েছিলেন আর যে কেন্দ্রে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন ভোট দিলেন এই দুটি কেন্দ্রে শুধুমাত্র তাঁদের ভোট প্রদান দেখানো হল। ব্যস, ওখানেই শুরু-ওখানেই শেষ। ঢাকা মহানগরীর আর কোন কেন্দ্রের ছবি কোন চ্যানেলেই দেখানো হলো না। কেন ? তা বুঝলাম না। তবে দুষ্ট লোকেরা নানা কথা বলে। তাদের কথা কষ্ট করে টাকা পয়সা খরচ করে ভোট দেওয়ার দরকার হয় নি। সে কাজের জন্য কিছু লোক নিয়োজিতই ছিল যাতে বাক্স কোনটাই ফাঁকা না যায়। কিন্তু এতটাই কি সত্যি ? বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।

হঠাৎ করে টেলিফোনে খবর পেলাম পাবনায় ঈশ্বরদী থানার এক গ্রামের বাসিন্দা মিসেল বেইলী খাতুন (কৃষিতে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত)। তাঁর স্বামী ও প্রতিবেশী কয়েকজন নিকটস্থ ভোটকেন্দ্রে সকালে যাওয়ার পথে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী কর্মীদের হাতে নিগৃহীত আহত হন। বেইলী খাতুন পাবনা জেলা ঐক্য ন্যাপের কৃষি বিভাগীয় সম্পাদিকা। খবরটি পেয়ে ফোনে তাঁর কাছে ঘটনাটি জেনে গিয়ে তৎক্ষণাৎ পাবনার জনা কয়েক সাংবাদিককে জানাই যাতে খবরটি ভালভাবে প্রচারিত হয়। ঐ এলাকার প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। তিনি খবর পেয়েছেন কিনা এবং পেয়ে থাকলে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা তা এখনও জানি না। পুলিশের ভূমিকাও জানিনা।

এর আগে হঠাৎ ফেসবুকে একটা পোষ্ট দেখলাম। তাতে লেখা আগে থেকেই নৌকার সিল মারা ১৬৩টি বাক্স দেখা গেছে ব্যালটভর্তি। এই খবর প্রচার করার পর মুহুর্ত থেকেই যমুনা টিভি উধাও। ফেসবুকে বহু গুজব ছাড়ানো হচ্ছিল বলে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছিল। তাই বিশ্বাস হলো না প্রথমে। তবে ঘন্টা দুয়েক পরে কৌতুহল হলো, দেখি তো যমুন টিভি চ্যানেলটা চালু আছে কিনা। কয়েকবার টেলিভিশনের রিমোট দিয়ে সবগুলি চ্যানেল দেখলাম। বিষ্ময়ের সাথে হলেও দেখলাম ঐ চ্যানেলটি নেই। আবার অন্য কোন চ্যানেলে বা অনলাইন পত্রিকায়ও এ ব্যাপারে কোন খবর নেই। ঢাকা এবং দু’তিনটি জেলায় পরিচিত জনদের কাছে খবর নিয়ে বানলাম যমুনা চ্যানেলটি তাঁরাও পাচ্ছেন না। কি দিয়ে কি হলো বুঝলাম না। আবার অন্য কোন চ্যানেল থেকে বা পরদিনের কোন সংবাদপত্রেও খবরটি ছাপা হতে না দেখে আতংকিত বোধ করছি। আবার নানা প্রশ্নও মনে জাগছে।

এবারে বেলা প্রায় ৪টা অর্থাৎ ভোট গ্রহণের সময় প্রায় শেষ হয়ে এলো। তার আগে থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে সরাসরি ভোট কেন্দ্র সমূহের ভোটারদের ভীড়ের ছবি দেখানো হলো। সকালেও জেলা উপজেলাগুলি থেকে ভোটদাতা নারী পুরুষের ভীড়ের ছবি দেখানো হয়েছিল।

যা হোক, সন্ধ্যে ছয়টার আগে থেকেই কিছু কিছু কেন্দ্র থেকে ভোট গণনা ও প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দেখানো শুরু হয়ে যায়। রাত ১০টাতেই মোটামুটি স্পষ্ট হয় আওয়ামীলীগ ভূমিধস বিজয়ের পথে এবং শেখ হাসিনার রেকর্ড তৃতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন একনাগাড়ে।

ইতোমধ্যে সিপিবি নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোট নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করার কথা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান দিয়েছে।

সম্ভবত: সন্ধ্যে ৭টার দিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ফ্রন্টের আহবায়ক, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ফ্রন্টের পক্ষ থেকেও এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবী জানালেন নির্বাচনটিকে বাতিল করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের নেতৃত্বে জাতীয় সংসদের নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

প্রকাশিত ফলাফলে ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৭টি যার মধ্যে বিএনপি ৫টি এবং গণফোরাম দু’টি আসন পেয়েছে।
সে যাই হোক, জানা গেল ফেনীর এক বিশিষ্ট প্রার্থী জিতেছেন শুধু তাই নয়, একটি কেন্দ্রে তিনি ঐ কেন্দ্রের সব কটি ভোটই পেয়েছেন। অপরাপর প্রার্থীরা ঐ কেন্দ্রে একটি করে ভোট পাননি।

খুলনা-১ এর প্রার্থীর ক্ষেত্রেও অনুরূপ, না তার চাইতেও বেশী খবর পেলাম। তিনি তাঁর এলাকার মোট ভোটের চাইতে কয়েক হাজার ভোট বেশী পেয়ে বিজয়ী ঘোষিত হয়েছেন। রিটানিং অফিসারকে কি বলে সম্মানিত করা যায় তাই ভাবছি। জানি না এ জাতীয় খবর আরও কত আসবে।

বিবিসি বাংলায় এক প্রতিনিধি এক কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন ভোট শুরু হওয়ার আগেই সেখানে সব ভোটই দেওয়া হয়ে গেছে। খুবই ভাগ্যবান ঐ কেন্দ্রের ভোটাররা। খাটুনি করে তাঁদেরকে আর বুথে ঢুকে ব্যালট পেপারে সিল ছাপ্পড় সম্ভবত: মারতে হয় নি। হলেও সেগুলি ডামি এবং বাড়তি ভোট বলে বিবেচিত হবে হয়ত অথবা গণনার সময় কিছু একটা ঘটানো হয়েছে।
সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা গেছে প্রায় ৫০ জন বিএনপি প্রার্থী ভোট চলাকালেই ভোট বর্জন করেছেন। সংখ্যাটা নজির বিহীন।

ভোটের দিনই টেলিভিশন মারফত জানা গেল দুইজন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ও রফিকুল ইসলাম দুটি পৃথক কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদেরকে বলেন, তাঁরা তাঁদের কেন্দ্রে কোন বিরোধী দলীয় প্রার্থীর কোন পোলিং এজেন্ট পাননি । অত:পর বুঝেনিন, ভোট কেমন হচ্ছে।

শুধুই ভাবি, এ খবরগুলি সত্যি হলে সমগ্র নির্বাচনকে সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে কি আদৌ মনে করা যাবে ? বিদেশী/দেশী কূটনীতিক বা পর্য্যবেক্ষরা যে সার্টিফিকেটই দিন না কেন ?

তার মানে এই না যে সুষ্ঠভাবে ভোট হলে আওয়ামীলীগ হেরে যেত। কখনই তা ঠিক না। বড় জোর তাঁরা ৩০ থেকে ৫০টি আসন কম পেতেন। সরকার বা মন্ত্রীসভা আওয়ামীলীই গঠন করতো। সর্বাধিক আনন্দের বিষয়, জামায়াতে ইসলামী এবার একটি আসনও পায় নি। আমরা পাচ্ছি জামায়াত মুক্ত একটি পার্লামেন্ট। একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে পার্লামেন্টটা মুখর হতে পারতো যা বহুদিন আমাদের ভাগ্যে জোটেনি। অথচ জবাব দিহিতো, অন্যায়ের বিরোধীতা করার জন্য তার খুবই প্রয়োজন।

এবারে এই নির্বাচন সংক্রান্ত উপরোক্ত এবং আরও অজানা তথ্যের ভিত্তিতে যা ভাবছি তা হলো যত সত্বর সম্ভব, একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন একটি নির্বাচন দেওয়া হোক। ২০১৪ সালে সৃষ্ট শংকা ও বিতর্ক এ বারেও দুর করা গেল না। তা দুর করেই জনগণকে সংশয়মুক্ত করা সম্ভব ঐভাবে একটি নতুন নির্বাচন সকলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে।
আর সকল দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসীদের পক্ষ থেকে দাবী জানাই

এক. প্রস্তাবিত নতুন নির্বাচনের আগেই জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামীসহ সকল ধর্মাশ্রয়ী দলকে সংবিধান সংশোধনীয় মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক;

দুই. পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে জিয়ার কীর্তি “বিসমিল্লাহ” ও এরশাদ সৃষ্ট “রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম” তুলে দেওয়া হোক;

তিন. অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের অভিযোগে স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা অবিলম্বে দায়ের করা হোক এবং এ কারণে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা অবিলম্বে করা হোক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী;

চার. হেফাজতের দাবীতে “জাষ্টিমিয়া” নামক শিল্পকর্মটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে স্থানাস্তর করা হয়েছিল। ঐ শিল্প কর্ম পুনরায় যথাস্থানে পুন:স্থাপনের ব্যবস্থা করা হোক;

পাঁচ. হেফাজতের ইচ্ছা অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তকে আনা পরিবর্তনগুলি প্রত্যাহার করে নতুন পাঠ্যপুস্তুক সাবেক পাঠ্যবিষয় সংযুক্ত করে প্রকাশ ও বিতরণ করা হোক; এবং আলিয়া মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীর সমতুল্য গণ্য করে চালু করা আইন বাতিল করে পূর্বতন অবস্থা ফিরিয়ে আন হোক;

ছয়. ২০০১ ও পরবর্তীকালে অনুষ্ঠিত সকল সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক;

সাত: যে সকল মেগা প্রকল্প নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলি সম্পন্ন করা এবং উৎপাদনশীল খাতকে শক্তিশালীও সম্প্রসারণ করা হোক যাতে বেকার তরুণ-তরুণীদের অধিক সংখ্যায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়।

আট. অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন, ২০০১ অবিলম্বে (ক’ তফশীল) প্রত্যর্পণ সম্পন্ন করা হোক ঐ আইনের বিধান অনুযায়ী।

নয়: ভাষা আন্দোলনের শহীদ, নেতা, কর্মীও সংগঠকদেরকে আমরা হারাতে বসেছি। তাই অবিলম্বে তাঁদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও তা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হোক;

দশ: প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৬৫ বছরের বেশী বয়স্কদের সকল সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করার ব্যবস্থা করা হোক;

এগার: সকল নাগরিকের জন্য সরকারি ব্যয়ে হেলথ ইন্সিওরেন্স ও বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা ২০১৯-২০ অর্থ বছর থেকেই চালু করা হোক;

বার: অবিলম্বে দেশের সকল শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শুকিয়ে যাওয়া নদী ও পুকুর গুলি সি.এস খতিয়ান অনুযায়ী খনন করে সাংবৎসরিক প্রবহমান রেখে পরিবেশের উন্নতি, কৃষকের জমিতে সেচ, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা হোক;

তের: অত:পর দেশের ছোট –বড় নদ-নদী, খাল-বিল খনন, পুন:খনন করে দেশব্যাপী সার্বিক উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হোক;

চৌদ্দ: সকল পৌর এলাকায় আধুনিক ড্রেইনেজ ও প্রয়োপ্রণালী ব্যবস্থার উন্নতি, আধুনিককায়ন ও উন্নত করার ব্যবস্থা করা হোক;

পনের: প্রতি জেলায় নানাবিধ শিল্প স্থাপন করে জেলা ভিত্তিক সম্ভবত: বছর ১০০০০ বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে গ্রামকে শহরে পরিণত করার প্রাথমিক ভিত্তি রচনা করা হোক।


  • প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!