পবিত্র রমজান ও ঈদ: বাংলাদেশ সমাচার

পবিত্র রমজান ও ঈদ: বাংলাদেশ সমাচার
সিডনীর কথকতা-২২
রণেশ মৈত্র (সিডনী থেকে)
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ

পবিত্র রমজান মাস ও ঈদের দিন ̧লি সিডনীতেই এবারও কাটছে। সংখ্যালঘুতার কারণে (মুসলিম জনসংখ্যার) কবে যে রমজান শুরু হলো, কবে যে শেষ হবে তা সহজে বুঝবার এখানে কোন পথ নেই। যদি পত্রিকায় না দেখতে পেতাম কোন দেশে কবে রমজান শুরু হচ্ছে তবে তা জানবার কোনো সুযোগ থাকতো না। তবে হ্যাঁ জানা যেতো খুব সহজেই যদি সিডনীর ওয়েস্টমিড এলাকায় না থেকে লাকেম্বা এলাকায় থাকতাম। ঐ এলাকায় মুসলিম বসতি বেশি থাকার ফলে রমজানেরই নয় শুধু সকল মুসলিম উৎসবেরই হদিস সহজে পাওয়া যায়। এখন তো শুনি সেখানে লোভনীয় ইফতারির রীতিমত বাজার বসে গেছে।

যাহোক, যা জানা গেল তাতে দেখলাম গোটা অষ্ট্রেলিয়া জুড়েই রমজান শুরু হয়েছে ১৭ মে বৃহস্পতিবার আর বাংলাদেশে তা শুরু হলো পরদিন অর্থাৎ ১৮ মে শুক্রবার। অষ্ট্রেলিয়ায় ও সৌদি আরবে একই দিনে রমজান শুরু হয়েছে। কিন্তু একই দিনে একই সময়ে কী করে অষ্ট্রেলিয়া ও সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেল এবং রমজান শুরু হলো তা আমার কাছে গভীর এক বিস্ময়। কারণ এই দুই দেশে যদি একই দিনে একই সময়ের চাঁদ দেখা গিয়ে থাকে তাহলে তো বাংলাদেশেও তা দেখা যাওয়ার কথা কারণ বাংলাদেশ অষ্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে আর বাংলাদেশের বহু পূর্বে হওয়ার ফলে অষ্ট্রেলিয়াতে সূর্যোদয় হয় বাংলাদেশের চাইতে চার ঘন্টা আগে। অর্থাৎ বাংলাদেশে রাত্রি দুইটার দিকে অষ্ট্রেলিয়া সূর্যোদয় হয়। সৌদি আরব বাংলাদেশেরও পশ্চিমে। তাই অষ্ট্রেলিয়া থেকে সৌদি আরব আরও বেশি পশ্চিমে। সুতরাং সৌদি আরব ও অষ্ট্রেলিয়ায় একই সময়ে চাঁদ দেখা যদি সম্ভব হয় ( আমার বিবেচনায় তা অসম্ভব) তবে মাঝখানে ভারত, বাংলাদেশে কেন ঐ সময়ে দেখা যাবে না। সে অংকটি আমার মাথায় ঢুকছে না। সম্ভবতঃ সৌদি আরবকেই এ ব্যাপারে অষ্ট্রেলিয়া অনুসরণ করে থাকে।

আবার এটাও মনে হয় ঘটবে সৌদি আরবে ও অষ্ট্রেলিয়ায় মুসলিম সম্প্রদায় এবার ত্রিশ দিন রোজা রাখতে পারবেন কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ঊনত্রিশ দিন রোজা রাখার সুযোগ পাবেন, সম্ভবত। আবার বাংলাদেশে তো কদাপি একদিনে সর্বত্র ঈদ পালিত হয় না। সুতরাং এবারও তা দুইদিন পালিত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়ে গেল।

যাক আলোচনার মূল বিষয় এগুলো নয়। কথা প্রসঙ্গে এসে গেল এই যা। মূল বিষয় হলো রমজান মাসে পণ্যমূ্ল্যে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তো চ্যাম্পিয়ন। অষ্ট্রেলিয়া কি এক্ষেত্রে রানার্স আপ হতে পারবে? না, পারবে না, কারণ মাসব্যাপী রমজান পালন উপলক্ষে সিডনী বা অষ্ট্রেলিয়ার কোথাও তেল, পেয়াজ, মাছ, মাংস, ফলমুল বা কোনকিছুরই দাম এক পয়সাও বাড়ে না, বাড়েনি। বরং কমার কথা । কমেছে কি না সে খবর পাইনি। তবে আমার ধারণা মুসলিম ক্রেতা-বিক্রেতা বা রোজা পালনকারীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার তুলনায় অনেক কম হওয়ায় বাজারে, রমজান-ঈদের কোন প্রতিক্রিয়াই পড়তে দেখা যাবে না। যেমন যায় না হিন্দুদের দূর্গোৎসবে বা বৌদ্ধদের বুদ্ধ পূর্ণিমায়। কারণ হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা অষ্ট্রেলিয়ায় মুসলিমদের তুলনায় অনেক কম। খৃষ্টানদের সংখ্যা অত্যাধিক বেশি। স্বভাবতই তাদের বড়দিন-নববর্ষ প্রভৃতি অত্যন্ত দর্শনীয়ভাবে এখানে পালিত হয়। সকল প্রকার পণ্যের দামও লক্ষ্যণীয় ভাবে কমানো হয়।

কিন্তু এখানেও একটি অংক মেলাতে পারি না। বাংলাদেশের চাইতেও কমপক্ষে পঞ্চাশগুণ বেশি হবে অষ্ট্রেলিয়ার আয়তন। তবু এখানে জনসংখ্যা মাত্র দুই কোটি পঁচিশ লক্ষ্য। ধরে নিলাম তার মধ্যে দুই কোটিই খৃষ্টান। এটা তো বেশি কিছু না কারণ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ষোল কোটিরও বেশি। যার মধ্যে পনের কোটিই মুসলিম।

এর অর্থ হলো দুই কোটি মানুষের জন্য যত বেশিই কেনাকাটা হোক না কেন তেল, পেয়াজ, মাছ, মাংস, চাল, আটা, ডাল, মসলা, সেমাই এগুলো তো এরা পরিমাণে আমাদের চেয়ে বেশি খায় না বরং অধিকতর স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে আমাদের চাইতে এদের এগুলির consumption অনেক কম।

মাথাপিছুও কম, সামগ্রিকভাবে তো আরও কম। তাহলে এখানে বড় বড় খৃষ্টীয় উৎসবে দাম এত কমিয়ে পোষায় কি করে? তদুপরি এদের দেশের দোকান পাটের establishment cost অনেক বেশি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের চাইতে। যেমন দোকানপাটের সাজ-সজ্জা, ভাড়া, কর্মচারী, বিদ্যুৎ বিল প্রভৃতি বাবদ বাংলাদেশের ব্যাবসায়ীদের চাইতে অষ্ট্রেলিয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেক বেশি খরচ করতে হয় । কর্মচারীরাও তো এখানে ঘন্টায় ন্যুনতম বিশ ডলারের কমে কেউ কাজ করে না । আর বাংলাদেশে দোকান কর্মচারীদের সকাল দশটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা করে প্রতিদিন খেটে সর্বোচ্চ মাসে ১০,০০০ টাকার বেশি বেতন কাউকেই দেন না। সাধারণত দেওয়া হয়ে থাকে ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা মাসে। তবুও কেন পণ্যমূল্য রমজান-ঈদ
উপলক্ষে এত বাড়ানো হয়? রমজানে তো দাম কমানোর কথা কারণ বিক্রি হয় অনেক বেশি।
বাংলাদেশে এখন নামাজ পড়া নারী-পুরুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বেড়েছে মাদ্রাসার সংখ্যা হুহু করে। একই সাথে বেড়েছে হজ্ব পালনকারীর সংখ্যাও। আনুপাতিক হার ধরলে ব্যবসায়ীরাই সম্ভবত হজ্ব পালন করে থাকেন অনেকেই। নিয়মিত নামাজ পড়ার ব্যাপারেও তাঁদের সংখ্যায় সম্ভবত অগ্রণী। তাহলে সততা কমলো কেন তাদের মধ্যে? রমজানের আগে থেকেই রমজানে বেশি ব্যবহৃত পণ্যগুলি ̧দামজাত করা, তার মূ্ল্য বাড়িয়ে দেওয়া এগুলিই তো ব্যবসায়ীরা করছেন প্রতি বছর। ধর্ম আর ব্যবসায়ে মুনাফাখোর। …. বা মজুদদারী একসাথে চলে কী করে?
একই সাথে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ধর্মাশ্রয়ী দলগুলি মানুষ যাতে রোজা রাখে, রোজাদারদের সম্মানে খাবার দোকান, হোটেল, রেষ্টুরেন্ট প্রভৃতি যাতে একমাস বন্ধ থাকে বা খাদ্য দ্রব্যগুলি যেন বাহির বা রাস্তা থেকে মানুষের চোখে না পড়ে সেইভাবে আড়াল করে রাখার পক্ষে বাংলাদেশে দিব্যি প্রচার- প্রচারণা চালান। কিন্তু একবারের জন্য ও কি ঐ প্রচারকারী ধর্মান্ধদের মনে হয় না যে বাংলাদেশে শুধুমাত্র মুসলমানই নন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টানরাও বসবাস করেন এবং তাদের অসুবিধা সৃষ্টি করা নিশ্চয়ই অপর ধর্ম বা ধর্মাবলম্বীদের প্রতি অবমাননা স্বরুপ এবং তা কখনই কোন ধর্মই উৎসাহিত করে না।

গভীররাতে মাইকে আযান দিয়ে সেহরীর জন্য তৈরি হতে বলাও যে রোগী ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য বিপদ ডেকে আনে তা কি এতই দূর্বোধ্য? আবার শতকরা কতভাগ মুসলিমই বা রোজা রাখেন সেটাও ভেবে দেখা প্রয়োজন। কাউকে তো জোর করে রোজা রাখতে, সেহরী খেতে বা নামাজ পড়তে ইসলাম শেখায়নি। যেসব অঞ্চলে মসজিদে মাইক নেই সেসব অঞ্চলে রোজাদাররা কি রোজা রাখেন না বা ঘড়িতে এলার্ম দিয়ে রাখলে কি একই কাজ হয় না?

কিন্তু ঐ ধর্মাশ্রয়ী দলগুলিকে বা ধর্মান্ধমহল গুলিকে একবারও মুনাফাখোর , মজুদদার, দুর্নীতিবাজ, অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ফতোয়া দিতে শুনি না। পণ্য মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধেও কথা বলতে শুনি না। তবে কি এ গুলি ধর্মসমাজ? ধর্মহীনতা?

আবার ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতির নৈতিকতা ভারতের রাজনীতিতেও অতি সম্প্রতি নতুন করে লক্ষ্য করা গেল। ভারতের কর্ণাটক প্রদেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী ধর্মাশ্রয়ী বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসেবে বেরিয়ে এলেও তা সরকার গঠনের মতো উপযোগী সংখ্যাক ছিল না। কংগ্রেস দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভুত হলেও তাদের পক্ষেও সরকার গঠন এককভাবে সম্ভব না হওয়ার কারণে তারা ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবে গৌড়ার দল আর. জে. ডি-র সাথে মোর্চা করে প্রয়োজনীয় সংখ্যা গরিষ্ঠতার চাইতে বেশি পেয়ে জোটের নেতাকে মন্ত্রীসভা গঠনের আবেদন জানালে দ্রুততার সাথে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে তাদেরকে মন্ত্রীসভা গঠনের জন্য আহ্বান জানাতে রাষ্ট্রপালের কাছে আবেদন জানান। রাজ্যপাল কংগ্রেসী জোট তাদের সকল সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন জমা দিলেও তাকে উপেক্ষা করে বিজেপি-কে মন্ত্রীসভা গঠনের আহ্বান জানালে বিজেপি সংসদীয় দলনেতা তড়িঘড়ি করে শপথ নেন। তবে তাকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অধিবেশন ডেকে অধিকাংশ সদস্যে আস্থা ভোট নিতে উচ্চ আদালত আদেশ দেন। সে অনুযায়ী সংসদ অধিবেশন আহুত হয় কিন্তু নাটকীয়ভাবে অধিবেশন শুরুর সামান্য আগে বিজেপি-র নির্ধারিত মুখ্যমন্ত্রী রণে ভঙ্গ দিয়ে পদত্যাগ করেন।

অর্থাৎ বিরোধী মহলের অনেক সদস্যকে জনপ্রতি শত কোটি টাকার অফার দিয়েও যখন কিনতে ব্যর্থ হন তখনই তিনি পদত্যাগ করে সরে পড়েন। এই যে সাংসদ কেনা বেচার চেষ্টা ক্ষমতার জন্যে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি ধর্মাশ্রয়ী দল হয়েও কিভাবে করতে সচেষ্ট হলো? বস্তত ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি পৃথিবীর কোথাও সততা ও গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষায় যে কাজ করে না তা উপমহাদেশের এই দুটি প্রতিবেশী রাষ্টেধর ঘটনাসমূহই প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট।

কিন্তু ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতিকেরা পৃথিবীর সর্বত্রই অসৎ, রাজনীতি মানুষকে বিভ্রান্ত করে, নিজেদের বে-আইনী স্বার্থ সংরক্ষণ প্রভৃতিতে ধর্মের নামে ব্যস্তু এত সারাজীবনের অভিজ্ঞতা। পাকিস্তানের জন্মও তো সেভাবেই হয়েছিল।

যাহোক, এবারে আসি রমজান শেষে আসন্ন ঈদ প্রসঙ্গে। এই নিবন্ধটি লিখতে লিখতে হঠাৎ বাংলাদেশের একটি টিভির দিকে তাকাতেই কর্দমাক্ত, ভাঙ্গাচোরা জলে ডোবা সড়ক ও চলন্ত বাস, টধাক রিক্সা প্রভৃতির দৃ্শ্য চোখে পড়ল। ক’দিন আগেই পড়েছি নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরকে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্দেশ দিয়েছেন ১০ জুনের মধ্যে সকল সড়ক মেরামতের কাজ শেষ করতে। কারল তার ২/১ দিন পর থেকেই শুরু হবে ঈদ উপলক্ষে হাজারে হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধদের বাড়ি ফেরার জন্য ব্যাপক সংখ্যক যাত্রীবাহী যানবাহনের চলাচল। আবার রমজান-ঈদ উপলক্ষে বাড়তি পণ্য পরিবহণের জন্য ও পণ্যবাহী যানবাহনের বাড়তি চলাচলও। তাই মন্ত্রী মহোদয়ের এই নির্দেশ।

এমন নির্দেশ ঐ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি প্রতিবছরই দেন কিন্তু অধীনস্থ কর্মকর্তা ও ঠিকাদাররা ঐ রুটিনমাফিক দেওয়া নির্দেশ মানার থোড়াই পরোয়া করেন। কিছু ইট, সুড়কি অবশ্য রাস্তাগুলোতে পড়বে এই সময়ে কিন্তু তাতে রাস্তা আদৌ ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য নিরাপদ হবে না-অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেই একথা দিব্যি বলে দেওয়া যায় সুদূর অষ্ট্রেলিয়া থেকেও।

প্রশ্ন অতীতেও করেছি, আবারও করছি মানুষের হয়রানী বন্ধ করতে কেন স্বাভাবিক সময়ে রাস্তাগুলি ভালভাবে মজবুত করে মেরামত, সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন করা হয় না? রাস্তাঘাট ভাল থাকা তো সারাবছরই প্রয়োজন। অন্য সময় অবহেলা করে শুধু রমজান ঈদের আগে তাড়াহুড়ার মেরামত কেন?

ফলে যে খরচ বাড়ে তা উপলব্ধি করে এখন থেকে উপযু৩ ব্যবস্থা নেবেন কি সারাবছর রাস্তাগুলো যানবাহন ও মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার সার্থে?

মানুষের প্রাণ যাচ্ছে সড়ক পথে, অঙ্গহানি ঘটছে গাড়িতে গাড়িতে চলমান অবস্থায় ধাক্কা লাগায়। এর পেছনে মূলতঃ চালকদের বেপরোয়া ও চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন গাড়ি চালনায় দায়ী। আবার ঐ চালকদের ক্ষুদধাংশই যে উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, সৎভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত তা তো বহুল আলোচিত ব্যাপার।

কিন্তু এগুলি দূর করা, ট্রাফিক নিয়ম মানানোর দায়িত্বে যারাই অবহেলা করুক তাদের প্রতি নির্দেশনামা না হুশিয়ারী উচ্চারণই যে যথেষ্ট নয় তাও প্রমাণিত। তবু ব্যবস্থা নেই কেন?

ট্রেন সার্ভিস আজও সারাদেশে নিম্ন পর্যায়ে। নতুন নতুন রেলপথ নির্মাণ, সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, বেশি সংখ্যক বগি সংযোজন, ভাল ইঞ্জিন প্রয়োজন আমদানী করা, ষ্টেশনগুলির আলো ও টেলিফোন ব্যবস্থা অধিকতর উন্নয়ন, বিনা টিকিটে ভ্রমণ নিরোধ করলেও সড়ক পরিবহণের উপর চাপ কমতে পারে।

অপরপক্ষে ঈদ উপলক্ষে বাসের যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি লক্কড় মার্কা ফিটনেসবিহীন যানবাহন নামানো বন্ধ করাও জরুরি। এগুলি বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না।


প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।


কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!