পাবনার বিপর্য্যস্ত নাগরিক জীবন ও একটি বৃষ্টিঝড়া রাত

পাবনার বিপর্য্যস্ত নাগরিক জীবন ও একটি বৃষ্টিঝড়া রাত
রণেশ মৈত্র (সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত)
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্যন্যাপ

দেশের প্রাচীনতম পৌরসভাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো পাবনা পৌরসভা। প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পেরিয়েছে অনেকদিন। তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা থেকে একলাফে এই পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন সবার মনে উদয় হয় অনেক রঙিন স্বপ্নের পাবনার নাগরিক জীবন সম্পর্কে।

এই পৌরসভায় অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তি চেয়ারম্যান পদে অতীতে বিভিন্ন সময়ে আসীন হয়ে তাঁদের শততাপূর্ণ ও নিষ্ঠাশীল জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করে গেছেন। আজও পাবনার মানুষ অন্তত: প্রবীণেরা অসীম শ্রদ্ধায় তাঁদের স্মরণ করেন।

সেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় চেয়ারম্যানদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনের নাম আমার মনে পড়ে। প্রথমেই স্মরণে আসে খান বাহাদুর ওয়াসিম উদ্দিনের নাম। তাঁর পারিবারিক ঐতিহ্যও বিপুল।

দ্বিতীয় যাঁর নাম আমার মনেপড়ে তিনি হলেন প্রিন্সিপ্যাল আর বোস। তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় শিক্ষক পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের স্বনামধন্য অধ্যক্ষ। তিনি একটি টার্মের জন্যপাবনা পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বেশ কিছু উন্নয়নমূলক, জনকল্যাণমূলক কাজ এঁদের আমলে হয়েছিল বলে জানা যায়।এঁরা ছিলেন দেশ বিভাগের আগে ও পরের যুগের।

স্বাধীনোত্তর যুগের চেয়ারম্যানদের মধ্যে অতীতে যাঁরা জনপ্রিয় ছিলেন তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট আমিন উদ্দিন। ইনি কয়েক টার্ম পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এবংআইন পেশায় রত থাকাকালেই তিনি পাবনা পৌরসভার প্রথমে ভাইস চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে চেয়ারম্যান পদে আসীন হন। এঁরও জনপ্রিয়তা ছিল যথেষ্ট। ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ প্রতিরোধ যুদ্ধে বিপর্য্যয়ের সম্মুখীন হয়ে পাবনা থেকে পালায়নের প্রাক্কালে আরও কয়েজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির সাথে পাক-বাহিনী তাঁর প্রতি অমানুবিক নির্য্যাতনকরে এবং অবশেষে হত্যা করে। পৌরসভার মিটিং হলটির নাম দেওয়া হয় আমন উদ্দিন সভাকক্ষ। এছাড়াও পাবানয় প্রতিষ্ঠিত আইন কলেজের নামকরণ করা হয় আমিন উদ্দিন আইন কলেজ হিসাবে। অত:পর পাবনা ষ্টেডিয়ামটিরও নামকরণ করা হয় পাবনা শহীদ আমিন উদ্দিন ষ্টেডিয়াম হিসেবে।এগুলির দ্বারই বুঝা যায় তাঁরা জন প্রিয়তা কতটা ছিল।

অত:পর চেয়ারম্যানপদে নির্বাচিত হন বীরেশ মৈত্র। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি একটাম পৌরসভার একট ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিতহন এবং সদস্য ও চেয়ারম্যান উভয় পদেই তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়তার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পাবনা পৌর এলাকায় ড্রেন নির্মাণ তাঁরই আমলের কীর্তি। তবে অর্থের স্বল্পতার কারণে বেশীরভাগই কাঁচা ড্রেন। এ অন্তত: ৩০-৩৫ বছর আগের কথা। ইতিমধ্যে ড্রেনগুলি ভরাট হয়ে যায় কিন্তু ভরাট হয়ে যাওয়া নর্দমাগুলি পাকাকরণ তো দূরের কথা, সেগুলি নিয়মিত খনন করে সেগুলির গভীরতা ও জনা নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করতে পরর্তীতে তেমন একটা দেখা যায় নি। ফলে ড্রেন প্রায় অস্তিত্বহীনহয়ে পড়ায় রাস্তাগুলির দু’পাশের পৌরসভার বেশ কিছু জমি প্রায় সকল ওয়ার্ডেই বেদখল হয়ে পাকা দালানকোঠা গড়ে ওঠায় রাস্তাগুলি আরও সংকীর্ণ হয়ে ওঠে। অনেক রাস্তা এতটাই সংকীর্ণ হয়ে পড়ে যে দুটি রিকশাও পাশাপাশি চলতে পারে না।

বীরেশ মৈত্রের পরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসেন জহুরুল ইসলাম বিশু। তাঁর আমলটির একটি বড়অংশে পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকা বে-আইনী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিরাপদ এলাকায় পরিণত হয়-পুলিশ বাহিনীর নিষ্কৃয়তার ফলে। এ কারণে উন্নয়ন কাজ পরিচালনাও হয়ে পড়ে দুরূহ। এ জাতীয় প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বেশ কিছুউন্নয়ন কাজ করেছিলো জহুরুল ইসলাম বিশু।

জহুরুল ইসলাম বিশুর অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলেই পাবনা পৌরসভা তৃতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে উন্নীত হয়। বিপুল আশাবাদের সৃষ্টি হয় পাবনার পৌরসভার অধিবাসীদের মধ্যে।

অত:পর এক পর্য্যায়ে এসে পৌরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন সাবেক ছাত্রলীগনেতা কামরুল ইসলাম মিন্টু। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যথেষ্ট অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেন পাবনা পৌর এলাকার। উন্নয়ন কাজগুলি নিজে সরেজমিন পর্য্যবেক্ষণ করতেন-দেখতেন কাজগুলি মান সম্পন্ন হচ্ছে কিনা-সময়মত সেগুলি সম্পন্ন হচ্ছে কিনা ইত্যাদি। ফলে তাঁর জনপ্রিয়তা যথেষ্ট বাড়লো।তাই প্রথমবারের মতোই পরবর্তী নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগ, বি.এ.পি, জামায়তে ইসলামী মনোনীত প্রার্থীদেরকে পরাজিত করে বিজয়ী হন।

দ্বিতীয় দফায় এসে তাঁর মাঠ পর্য্যায়ের কাজ কর্ম সরেজমিন দেখাশুনা করতে আর দেখা গেল না। গতানুগতিক কাজকর্মের মাধ্যমেই সময়কাল অতিক্রম হলো এবং পরবর্তীতে তৃতীয় দফায়ও অনুরূপভাবে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতাসীন। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় বি.এন.পি কিন্তু মূল বিএনপি তাঁকে কদাপি স্বীকার করে না-মনোনয়নও দেয় না দলের অভ্যন্তরে চরম দলাদলি অব্যাহত থাকার কারণে। যা হোক, প্রথম শ্রেণির উন্নীত হওয়ার পর বহু বছর অতিক্রান্ত হলেও শহরবাসীর নাগরিক সুবিধাদি বিন্দুমাত্র বাড়ে নি বরং বহুলাংশে দৃশ্যমান অবনতি ঘটেছে।

বর্তমান পরিস্থিতির বিবরণ উল্লেখ করার আগে বাল্যকালে দেখা পৌর সভার দু’একটিকার্য্যকলাপের উল্লেখ করি। আমি ১৯৪৭ সালে আমাদের গ্রামের বাড়ী সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে পাবনা শহরে স্থায়ীভাবে চলে আসি। আমি তারও আগে, ইংরেজ আমলে, যখন মাঝে মধ্যে বাবার সাথে পাবনায় দু’এক দিনের জন্য বেড়াতে আসতাম তখন দেখতাম ভোরবেলায় পাবনা শহরের প্রধান রাস্তায় মোটা পাইপ দিয়ে জল দিয়ে পরিস্কার করতে। ফলে ঐ রাস্তায় ধূলাবালির উপদ্রব তেমন একটা থাকত না-রাস্তা বেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতো। কিন্তু তা আর হয় না-কদাপি রাস্তায় জল ঢালা হয় না। ধূলির শহরে পরিণত হয়েছে। রাস্তাগুলি, শুধু প্রধান সড়ক হামিদ রোড বাদে, ভেসে চরে হেঁটে চলারও অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মেরামতের বালাই নেই।

একটি ছাড়া সারা শহরে কোন শিশু পার্ক নেই। কোথাও কোন পাবলি টয়েলেট নেই।
পুলিশ মাঠ, ষ্টেডিয়াম ও এডওয়ার্ড কলেজ মাঠ ছাড়া কোন মাঠ নেই যেখানে মানুষ স্বাস্থ্যের কারণে সকাল-বিকেল হাঁটা চলা করতে। শহরের অর্ধেকের বেশী এলাকা (ইছামতির পূর্ব দিকে) ভয়ানকভাবে নিচু, রাস্তাঘাট ভেঙ্গে চূরমার, রিকসায় চলাচলও বিপজ্জনক, বহু রাস্তায় রিকসাওয়ালারা যেতেই চান না, অন্যান্য যানবাহনও অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। অলিগলি দিয়েও ভারী যানবাহন চলাচল করে প্রচ- ঝুঁকি নিয়ে তাও বে-আইনীভাবে কারণ সরু রাস্তাগুলি দিয়ে কোন ভারী যান বাহন যথা ট্রাক, বাস, কভার্ডভ্যান প্রভৃতি চলাচল করা নিষিদ্ধ। কিন্তু এই নিষিদ্ধ কাজটি চলেআসছে অবাধে। ফলে সরু এই রাস্তাগুলি দ্রুত ভেঙ্গে পড়ছে। ভুগছে নগরবাসী হাজার হাজার মানুষ।

আগে পৌরসভার নিজস্ব প্রাইমারী স্কুল ছিল অনেকগুলি। পৌর প্রাথমিক স্কুল। সেগুলিরসকলঅবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামতের দায়িত্ব পালন করতো পৌরসভা, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দিত পৌরসভা। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশের সকল প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করেন তখন পৌর এলাকার সকল প্রাইমারি স্কুলই সরকারি হয়ে যায়। এ ব্যাপারের বিপুল ব্যয়ভার থেকে মুক্ত হলো পৌরসভা। কিন্তু শিক্ষাপ্রসারে এর পর আর কোন উদ্যোগ পৌরসভা গ্রহণ করে নি। অন্তত: নতুন কিছু মানসম্পন্ন প্রাইমারি স্কুলও তৈরী করা হতো-নাগরিকেরা অনেক উপকৃত হতেন। সামান্য বৃষ্টি হলেও পথ ঘাটই নয় শুধু সমগ্র নীচু এলাকা প্লাবিতহয় জলমগ্ন হয় এবং সে জল সহসা বের হয় না। পাবনা শহরের নীচু এলাকা হলো মোট এলাকার প্রায় তিন চতুর্থাংশ এলাকাই জলমগ্ন হয় এবং সেই জুল অপসারণের কোন ব্যবস্থাই নেই। শুধুমাত্র পথ ঘাট মাঠই জলমগ্ন হয় না হয় পাবনার কাঁচাবাজার এলাকা, শালগাড়িয়া, ছোট শালগাড়িয়া,দিলালপুর, শিবরামপুর, গোপালপুর, দক্ষিণ রাঘবপুর এলাকার অধিকাংশ বাড়ীর প্রায় প্রতিটি ঘর ( শোবার ঘর, রান্নাঘর, ¯œানঘর সহ) হাঁটু পরিমাণ জলে নিমজ্জিত হয় সামান্য কিছু বৃষ্টি পাতের ফলেই।

ঐ জলে বাড়ীর আঙ্গিনাগুলি, সামনে, পেছনে ও পাশের রাস্তাগুলি প্রায় কোমর জলে নিমজ্জিত হয়। এইজলে গত ১ অক্টোবর বিকেলে আধা ঘন্টা বৃষ্টির পর ঐভাবে ডুবে যাওয়াতে পাবনার ফায়ার ব্রিগেডকে অনুরোধ জানালাম তাঁদের পাইপ এনে এই লাাকর জলপাম্প করে দূরে ফলে দিয়ে আমার এবং আশপাশের বাড়ীগুলিকে দুর্যোগমুক্ত করে দিতে। একই অনুরোধ জানালাম এসপি কে। এস পি সঙ্গে সঙ্গে সদর থানার ওসি কে নির্দেশ দিলেন ফায়ার ব্রিগেডের লোকজনকে আমার বাসায় এসে সমস্যাটার সমাধান করতে। সবাই দ্রুত চলে এলেন।

ডিসি কেও বলা হলো। তিনি কাজে আটকে পড়ায় তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠালেন সদর ইউ এনও কে। পরে এস.পিও স্বয়ং এলেন। সবাই পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে কিং কর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়েন। ফায়ার ব্রিগেডের বহু কর্মী-কর্মকর্তা এসেছেন পাইপ ও সরঞ্জামাদি সহ। কিন্তু চারদিকে ঘুরে ফিরে দেখে তাঁরা তাঁদের অসহায়তার কথা জানালেন। অসহায়তা হলো পাইপে জল পাম্প করে সেই জল ফেলার তো জায়গা নেই। নিকটেই একটি পুকুর থাকলেও সেটিও কানায় কানায় ভরা তাই পুকুরটির আর এক ফোঁটা জলও ধারণ করারক্ষমতা নেই।

ঘন্টা তিনেক সকল কর্মকর্তা কর্মচারী অপেক্ষা করার পর আস্তে ধীরে জল আপন মনেই নেমে গেল তখন ঘরগুলি থেকে অষ্ট্রেলিয়া থেকে দিন কয়েকের জন্য আসা আমার বড় ছেলেপ্রবীর, নাতনি জয়িতা, বাসার অধিবাসী মিতার মা, তাঁর ছেলে মন্টি ও ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা ও টাইপিষ্ট মনোহর বলতি, গামলা, মগ প্রভৃতি দফায় দফায় সবগুলি ঘর, বারান্দা এবং সামনের আঙিনার জল তুলে বাইরে ফেলে দিলে তবে ঘরে রাত্রিটা কাটানোর মত কিছুটা অনুকূল অবস্থা হয়। কিন্তু তাদেরকে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয় অত দীর্ঘ সময় ধরে।

রাতটা কাটলো বটে এবং শুধু আমার পরিবারের।শহরে অনুরূপ সমস্যায় আক্রান্তঅসংখ্য পরিবার কিভাবে রাতটি কাটালেন তা ভেবে শিউরে উঠতে হয়।

পরদিন দুপুর সদল বলে মেয়র এসে হাজির। সমস্যাগুলি এবং গত রাতের ঘটনাবলী তিনি ঐ এলাকার কাউন্সিলারের কাছে আগেই শুনেছেন।

কথা দিলেন, যত দ্রুত সম্ভব এবং যতটা সম্ভব দীর্ঘ দিনের এই সমস্যাটির সমাধানকরবেন। দেখা যাক, সমাধান হলে ভাল।
কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নজর দিতে হবে শহরের সকল অঞ্চলের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে। কারণ পৌর এলাকার সকলেই সমান নাগরিক সুবিধাদি পেতে অধিকারী।

আলাপ-আলোচনায় স্পষ্টই পাবনা শহর আবর্জনা ও জলাবদ্ধতা দূর করতে যেমন বহু পাকা ড্রেইন, কালভার্ট প্রভৃতির দরকার, তেমনি দরকার মজে যাওয়া নদী ইছামতীকে শ্রোতাস্বনী নদীতে পরিণত করার। তাই এই কাজগুলি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে এগুতে হলে একটি মাষ্টার প্ল্যান প্রণয়ন, ইছামতী নদী ডি.এস.খতিয়ান অনুযায়ী দখলমুক্ত করা প্রভৃতির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের যা পাবনা পৌরসভার আর্থিক সঙ্গতিতে কুলায় না।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জরুরী দৃষ্টি আকর্ষণ করি, আকর্ষণ করি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়েরও।
এই কাজগুলির উপর পাবনা শহরই শুধু নয়-পাবনা জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যও নির্ভরশীল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!