পাবলিক টয়লেটগুলো ফাইভ স্টার হোটেলের মতো: মেয়র আতিক

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তৃতাকালে এই মন্তব্য করেন মেয়র। আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা ওয়াটার এইড এবং দৈনিক ভোরের কাগজের উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

‘বাংলাদেশের পাবলিক টয়লেট: সংখ্যা বৃদ্ধি এবং স্থায়িত্ব’ শীর্ষক এই সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের শহরের অনেক জায়গায় অনেক সুন্দর সুন্দর পাবলিক টয়লেট হয়েছে। এসব পাবলিক টয়লেট দেখলে মনে হয় ফাইভ স্টার হোটেলের মতো। ফাইভ স্টার হোটেলের পাবলিক টয়লেটের সঙ্গে এগুলোর খুব একটা পার্থক্য নেই। পাবলিক টয়লেটগুলোর পরিবেশ সুন্দর, টিস্যু বক্স আছে, প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যবস্থা আছে। সবকিছু মিলিয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এসব টয়লেট।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম। একইসঙ্গে এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সবার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মেয়র বলেন, আমরা ৫৩টি আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণের কাজ শুরু করেছি, যার ১৮টির কাজ শেষ এবং নাগরিকেরা ব্যবহার করছেন। এসব স্থাপনা রক্ষার স্বার্থে এবং নতুন পাবলিক টয়লেট নির্মাণের জন্য আমাদের সবাইকে স্ব-উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যদিকে এই পাবলিক টয়লেটগুলোর সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। আমাদের এতো সুন্দর সুন্দর পাবলিক টয়লেট আছে, কিন্তু অনেকেই জানেন না। এখন একটি মোবাইল অ্যাপ আছে। এটির মাধ্যমে অনেকেই এখন এ বিষয়ে জানছেন। তবে এটিকে আরও ছড়িয়ে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নেতৃত্বে বিগত পাঁচ বছরে ওয়াটার এইডের সহায়তায় ‘সানরাইজ’ প্রকল্পের আওতায় আমরা ৩১টি আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে দিয়েছি। এগুলো প্রায় ৯০ লাখেরও বেশিবার ব্যবহৃত হয়েছে। দুই সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র এবং প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের আন্তরকিতায় কোথাও কোনো টয়লেট নির্মাণ করতে কোনো অসুবিধা হয়নি।

দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম মাহমুদ হাসান, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!