ভারতীয় যুবাদের আরও কঠোর শাস্তির দাবি আজহার-কপিলের

আন্তর্জাতিক ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

আইসিসির তরফ থেকে বেশ বড়সড় শাস্তিই দেয়া হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্ম দেয়া ক্রিকেটারদের। যেখানে বাংলাদেশ থেকে রাকিবুল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন এবং ভারত থেকে রবি বিষ্ণু ও আকাশ সিংকে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের দুই সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব ও মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের দাবী, আইসিসির বাইরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিসিআই) উচিৎ অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া। যাতে করে ভবিষ্যতে আর কেউ বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে এমন কিছু করতে না পারলে।

রোববারের ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন মাঠের মধ্যে স্লেজি বা কথা কাটাকাটি- যা হয়েছিল, সবই ছিলো স্পোর্টিং। পুরোপুরি ক্রিকেটীয়। মাঠের সেসব ঘটনা মাঠে রাখাই হতো যুক্তিযুক্ত কাজ। কিন্তু তা না করে ম্যাচ শেষে প্রায় হাতাহাতি লেগে যায় দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে।

যে কারণে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিন ক্রিকেটার তৌহিদ হৃদয় (১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ), শামীম হোসেন (৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ) এবং রকিবুল হাসান (৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ) এবং ভারতের দুই ক্রিকেটারের মধ্যে আকাশ সিং নিষিদ্ধ হয়েছেন ৬ ম্যাচ আর লেগস্পিনার রবি বিষ্ণুইকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫ ম্যাচ।

এ শাস্তির বাইরেও বিসিসিআইয়ের বাড়তি পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ জানিয়ে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব বলেন, ‘আমি চাই, অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে বিসিসিআই যেনো কঠোর শাস্তির ঘোষণা দেয়। যাতে করে এটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকে। প্রতিপক্ষকে গালিগালাজ করা ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডের মধ্যে পড়ে না। আমি মনে করি এসব যুবাদের বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে শাস্তি পাওয়াই উচিৎ।

কপিল আরও জানান, এগ্রেশন এবং অশোভন আচরণের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে ব্যাপক। তার মতে, ‘আমি আগ্রাসী মনোভাবকে স্বাগত জানাই। এর মধ্যে কোনো ভুল নেই। কিন্তু এই এগ্রেশনের একটা সীমা থাকতে হবে। আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতার নামে অভদ্রতা করতে পারেন না। আমি বলবো যে, ক্রিকেট মাঠে আমাদের যুবারা যা করেছে, তা মানার মতো নয়।’

একই সুরে আরেক সাবেক অধিনায়ক আজহারউদ্দিনের কণ্ঠেও, ‘আমি হলে এসব অনূর্ধ্ব-১৯ খেলোয়াড়দের বিপক্ষে পদক্ষেপ নিতাম। একইসঙ্গে আমি জানতে চাই, এসব যুবা খেলোয়াড়দের যথাযথ শিক্ষা দেয়ার জন্য দলের সাপোর্ট স্টাফের ভূমিকাটা কী? দেরি হয়ে যাওয়ার আগে এখনই কিছু করা উচিৎ। এসব ছেলেদের অবশ্যই শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!