ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি চূড়ান্ত

বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। যেকোনো দিন এ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে ঢাকা মহানগরকে উত্তর ও দক্ষিণ এই দুই ভাগে ভাগ করে ‘সুপার সেভেন’ কমিটি ঘোষণা করা হবে। দু’টি তালিকাও ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সোমবার বলেছেন, ‘শিগগিরই কমিটির পর্দা উত্তোলন করা হবে’।

বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্দেশে ঢাকা মহানগর কমিটি পুনর্গঠনে বেশ কিছু দিন ধরেই কাজ করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তারা উত্তর ও দক্ষিণে সম্ভাব্য নেতাদের পৃথক দু’টি তালিকা চেয়ারপারসনের কাছে জমা দিয়েছেন।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আলাপকালে  বলেছেন, কাউকে বাদ দিয়ে নয়, কমিটিতে পদ পেতে ইচ্ছুক সম্ভাব্য সব নেতার তালিকা করেই তারা কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন।

জানা গেছে, আগামী দিনে রাজপথের কর্মসূচির বিষয়টি মাথায় রেখে দ্রুত নগর কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথমে ছোট পরিসরে কমিটি ঘোষণা করা হবে। দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তরে সভাপতি পদে এম এ কাইয়ূম, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল আলীম নকী, সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, যুগ্ম সম্পাদক মুন্সী বজলুল বসিত আঞ্জু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য এ জি এম সামসুল হক, শহিনুর আলম মারফত ও সোহেল রহমান এই তিনজনকে তালিকায় রাখা হয়েছে। উত্তরের এ কমিটি প্রায় চূড়ান্ত। এতে রদবদলের সম্ভাবনাও খুব কম।
অন্য দিকে মহানগর দক্ষিণের তালিকায় সভাপতি পদে মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম অথবা বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল লতিফ খান, সাধারণ সম্পাদক ইউনুস মৃধা অথবা নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম সম্পাদক মকবুল হোসেন টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাব্বির হোসেন আরিফ ও আ ন ম সাইফুল ইসলামের নাম রয়েছে।

বিএনপি সূত্র মতে, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ইতিবাচক ভূমিকা পালনের জন্য দক্ষিণের সভাপতি তালিকায় নাম রাখা হয়েছে হাবিব উন নবী খান সোহেলের। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও সোহেলকে এ পদের জন্য চাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আর কিছুটা বিতর্কিত হলেও সর্বশেষ আন্দোলনে ভূমিকার জন্য তালিকায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে খোকাপন্থী হিসেবে পরিচিত নবী উল্লাহ নবীর নাম আছে। সংস্কার প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে অনেকে অবশ্য নবীর বিরোধিতা করছেন। সে ক্ষেত্রে ইউনুস মৃধাকে এই পদে আনার চেষ্টা চলছে। ইউনুস মৃধা বিগত আন্দোলনে সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে কেন্দ্রের নেক নজরে রয়েছেন।

অন্য দিকে এম এ কাইয়ূমের নাম উত্তরের সভাপতি তালিকায় থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে নগর রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তার হাতে কর্মী সংখ্যা অন্য নেতাদের চেয়ে বেশি। আর উত্তরে বিশেষ করে মিরপুর অঞ্চলের সংগঠন শক্তিশালী করতে আহসান উল্লাহ হাসানের ভূমিকা রয়েছে। সাবেক ডেপুটি মেয়র ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। সঙ্গত কারণে সাধারণ সম্পাদকের তালিকায় হাসানের নাম স্থান পেয়েছে।

দলের এক সিনিয়র নেতা জানান, সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং দেশের কেন্দ্রস্থলের এই গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটকে শক্তিশালী করার দিকটি মাথায় রেখেই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হচ্ছে। দু’টি কমিটির নেতৃত্বেই থাকবেন ঢাকার নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!