যুগের ধর্ম, ধর্মের যুগ-মুঘল আমল ও তেঁতুল হুজুরের প্রতিক্রিয়া

যুগের ধর্ম, ধর্মের যুগ-মুঘল আমল ও তেঁতুল হুজুরের প্রতিক্রিয়া
(সূরা-৭ ও ১৭)
আওলাদ হোসেন

তেঁতুল হুজুর সম্ভবত ইনুর দেয়া পদবী শাপলা চত্বরে ইতিহাস সৃষ্টি যা আর কোনদিন সম্ভব হবে না। বেশ কিছুদিন দুই পক্ষই নীরব থাকার পর সম্রাট বাবরের বাবরী মসজিদ নিয়ে বিচার বিভাগের বিরূদ্ধে যে মন্তব্য করেছেন তা আমি আশা করিনি কারণ ভারতের মুসলমান প্রেসিডেন্ট এবং শেখ আব্দুল্লা এর মত প্রবীন বিদ্যান বিদগ্ধ জনসম ভারতের বাবরী মসজিদ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় যা বলেছেন তাতে বাবু নগরীর আক্কেল গুরুম হয়েছে বটে কিন্তু ভাসানীর মত টাকা হজম হওয়া আমি আর দ্বিতীয় জনকে দেখতে পাচ্ছি না, যুগের ধর্মে মুসলমানেরা ভারতবর্ষে আগমন করে দেশ জয়ের নেশায়। রোমানদের পতন শুরু হয়ে গেছে, মুসলমানদের উত্থান যদি এটা রাসুলে পাক (দঃ) এর নির্দেশ এবং ভারত বিরাট দেশ হওয়ায় এবং সাম্রাজ্যের পতনে মুসলমানেরা নিজেদের ধর্ম ও রাজত্ব দুটোই হারিয়ে ইংরেজদের গোলামে পরিণত হওয়া ছাড়া বাঁচার কোন পথ ছিল না। লাভের মধ্যে কল্কিটা, অনেকটা যে পথে আগমন সেই পথে গমন। ইংরেজ রাজত্বকালে মুসলমানেরা সবই হারায়। তারপর ধর্ম অনুসারে ভাগ পায় অন্যথায় দাবী দাওয়া নিয়েই থাকতে হত ফারাক্কা বা তিস্তা নদীর পানি। আরব ইরাক ইরান আফগানিস্তান জয় করে ভারত জয় করেও ধরে রাখতে পারেনি কারণ ধর্মের যুগে প্রবেশ করতে পারেনি।

প্রতিবেশী দেশসহ পৃথিবীর উন্নত দেশ ধর্মের যুগে প্রবেশ করেছে বৃটিশ আমলে আর আমরা আরবি শেখাকে অনেক আগেই বর্জন করে সোপাকৃষ্টে পরিণত হয়েছি এবং পুরো বাঙালি হতে না পেরে অর্ধেক বৈশাখী মেলা আর অর্ধেক আধুনিক+কট্টর ধর্ম পালনকারী মুসলমানে পরিণত হয়েছি। তাতে আমরা তলেরটাও হারিয়েছি এবং উপরটার কাছেও যেতে পারিনি, ইচ্ছাও নেই। রাসুলে পাক (দঃ) ইচ্ছা ছিল মুসলমানেরা শ্রেষ্ঠ উম্মত হবে। সেই কাজটি করার পর পথভ্রষ্ট উন্মাদের মত সম্রাজ্য ও রাজত্ব কায়েম করে রাজা বাদশার জাত হয়ে আবির্ভাব ঘটলো আর ইসলামের শিক্ষাকে পারিবারিক সম্পত্তি হিসেবে গ্রহণ করলো, গোত্র কলহ পূর্বের জাহেলিয়াত যুগের সংগে মিশে গেল। Internet এর বদৌলতে অনেক কিছু জানা যায়। ফলে মানুষ গোপন জেনে যায়। একটি কলঙ্ক তিলক যদি ইসলামে গৌরব করার মত থাকতো তা হলে আর যায় কোথায় সবই উদ্ধার হয়ে যেত। ব্যক্তির জীবনে মাগীবাজী, মাতাল ভাং বা গাজাখোর, ইয়াবা ও ফেনসিডিল খোর থাকবেই আর গুনাহ না করলে আল্লাহর কাছে কি মাফ চায় তা বুঝতে অক্ষম। তবে কল্পনাকে প্রকাশ্যে আনা জায়েজ হোত, আমার মনে হয় ১০০তে ১০০ পূর্ণ হোত এবং কারো বিরূদ্ধে কেউ কোন কথা বলতো না অথচ তা হবার নয়, ঝাঝড় বলে সূঁচকে তোর পাছায় ছিদ্র Ñ খারাপ অর্থে ব্যবহত প্রবাদ বাক্যে। এবার ইসলাম তথা মুসলমানদের ধর্মের পরিচয় দেয়া যাকঃ- আল-কোরআন ৭:১১- আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার-অবয়ব, তৈরী করেছি। অতঃপর আমি ফেরেশতাদেরকে বলছি-আদমকে সেজদা কর তখন সবাই সেজদা করেছে, কিন্তু ইবলীস সে সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না।
৭:২৩- আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার-অবয়ব, তৈরী করেছি। অতঃপর আমি ফেরেশতাদেরকে বলছি-আদমকে সেজদা কঅতঃপর প্রতারণাপূর্বক তাদেরকে সম্মত করে ফেলল। অনন্তর যখন তারা বৃক্ষ আস্বাদন করল, তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের সামনে খুলে গেল এবং তারা নিজের উপর বেহেশতের পাতা জড়াতে লাগল। তাদের প্রতিপালক তাদেরকে ডেকে বললেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করিনি এবং বলিনি যে, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।র তখন সবাই সেজদা করেছে, কিন্তু ইবলীস সে সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না।
৭:৫৯-নিশ্চয় আমি নূহকে তার সম্প্রদায়ের প্রতি পাঠিয়েছি। সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। আমি তোমাদের জন্যে একটি মহাদিবসের শাস্তির আশঙ্কা করি।
৭:৬৫-আদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই হুদকে। সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতিত তোমাদের কোন উপাস্য নেই।
৭:৬৭-সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, আমি মোটেই নির্বোধ নই, বরং আমি বিশ্ব প্রতিপালকের প্রেরিত পয়গম্বর।
৭:৭৩-সামুদ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি তাদের ভাই সালেহকে। সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতিত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে একটি প্রমাণ এসে গেছে। এটি আল্লাহর উষ্টী তোমাদের জন্যে প্রমাণ। অতএব একে ছেড়ে দাও, আল্লাহর ভুমিতে চড়ে বেড়াবে। একে অসৎভাবে স্পর্শ করবে না। অন্যথায় তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পাকড়াও করবে।
৭:৮০-এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি ?
৭:৮৫-আমি মাদইয়ানের প্রতি তাদের ভাই শোয়ায়েবকে প্রেরণ করেছি। সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রমাণ এসে গেছে। অতএব তোমরা মাপ ও ওজন পূর্ন কর এবং মানুষকে তাদের দ্রব্যদি কম দিয়ো না এবং ভুপৃষ্টের সংস্কার সাধন করার পর তাতে অনর্থ সৃষ্টি করো না। এই হল তোমাদের জন্যে কল্যাণকর, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।
৭:১০৩-অতঃপর আমি তাদের পরে মূসাকে পাঠিয়েছি নিদর্শনাবলী দিয়ে ফেরাউন ও তার সভাসদদের নিকট। বস্তুতঃ ওরা তাঁর মোকাবেলায় কুফরী করেছে। সুতরাং চেয়ে দেখ, কি পরিণতি হয়েছে অনাচারীদের।
৭:১৪৩-তারপর মূসা যখন আমার প্রতিশ্রুত সময় অনুযায়ী এসে হাযির হলেন এবং তাঁর সাথে তার পরওয়ারদেগার কথা বললেন, তখন তিনি বললেন, হে আমার প্রভু, তোমার দীদার আমাকে দাও, যেন আমি তোমাকে দেখতে পাই। তিনি বললেন, তুমি আমাকে কস্মিনকালেও দেখতে পাবে না, তবে তুমি পাহাড়ের দিকে দেখতে থাক, সেটি যদি স্বস্থানে দঁড়িয়ে থাকে তবে তুমিও আমাকে দেখতে পাবে। তারপর যখন তার পরওয়ারদগার পাহাড়ের উপর আপন জ্যোতির বিকিরণ ঘটালেন, সেটিকে বিধ্বস্ত করে দিলেন এবং মূসা অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন। অতঃপর যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে এল; বললেন, হে প্রভু! তোমার সত্তা পবিত্র, তোমার দরবারে আমি তওবা করছি এবং আমিই সর্বপ্রথম বিশ্বাস স্থাপন করছি।

When Moses came to the place appointed by Us, and his Lord addressed him, He said: “O my Lord! show (Thyself) to me, that I may look upon thee.” Allah said: “By no means canst thou see Me (direct); But look upon the mount; if it abide in its place, then shalt thou see Me.” When his Lord manifested His glory on the Mount, He made it as dust. And Moses fell down in a swoon. When he recovered his senses he said: “Glory be to Thee! to Thee I turn in repentance, and I am the first to believe.”

৭:১৫৮-বলে দাও, হে মানব মন্ডলী। তোমাদের সবার প্রতি আমি আল্লাহ প্রেরিত রসূল, সমগ্র আসমান ও যমীনে তার রাজত্ব। একমাত্র তাঁকে ছাড়া আর কারো উপাসনা নয়। তিনি জীবন ও মৃত্যু দান করেন। সুতরাং তোমরা সবাই বিশ্বাস স্থাপন করো আল্লাহর উপর তাঁর প্রেরিত উম্মী নবীর উপর, যিনি বিশ্বাস রাখেন আল্লাহর এবং তাঁর সমস্ত কালামের উপর। তাঁর অনুসরণ কর যাতে সরল পথপ্রাপ্ত হতে পার।
৭:১৮৮-আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।
আল-কোরআন ১৭:১-পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।
১৭:১৫-যে কেউ সৎপথে চলে, তারা নিজের মঙ্গলের জন্যেই সৎ পথে চলে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়, তারা নিজের অমঙ্গলের জন্যেই পথ ভ্রষ্ট হয়। কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কোন রাসূল না পাঠানো পর্যন্ত আমি কাউকেই শাস্তি দান করি না।
১৭:৭৬-তারা তো আপনাকে এ ভুখন্ড থেকে উৎখাত করে দিতে চুড়ান্ত চেষ্টা করেছিল যাতে আপনাকে এখান থেকে বহিস্কার করে দেয়া যায়। তখন তারাও আপনার পর সেখানে অল্প কালই মাত্র টিকে থাকত।
১৭:৮১-বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।
১৭:৯৩-বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিঅথবা আপনার কোন সোনার তৈরী গৃহ হবে অথবা আপনি আকাশে আরোহণ করবেন এবং আমরা আপনার আকাশে আরোহণকে কখনও বিশ্বাস করবনা, যে পর্যন্ত না আপনি অবতীর্ণ করেন আমাদের প্রতি এক গ্রন্থ, যা আমরা পাঠ করব। বলুনঃ পবিত্র মহান আমার পালনকর্তা, একজন মানব, একজন রসূল বৈ আমি কে?লুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।
১৭:১০৫-আমি সত্যসহ এ কোরআন নাযিল করেছি এবং সত্য সহ এটা নাযিল হয়েছে। আমি তো আপনাকে শুধু সুসংবাদাতা ও ভয়প্রদর্শক করেই প্রেরণ করেছি।
১৭:১০৭-বলুনঃ তোমরা কোরআনকে মান্য কর অথবা অমান্য কর; যারা এর পূর্ব থেকে এলেম প্রাপ্ত হয়েছে, যখন তাদের কাছে এর তেলাওয়াত করা হয়, তখন তারা নতমস্তকে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে।
১৭:১০৯-তারা ক্রন্দন করতে করতে নতমস্তকে ভুমিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়ভাব আরো বৃদ্ধি পায়।
১৭:১১১-বলুনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি না কোন সন্তান রাখেন, না তাঁর সার্বভৌমত্বে কোন শরীক আছে এবং যিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তাঁর কোন সাহয্যকারীর প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং আপনি স-সম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ম বর্ণনা করতে থাকুন।

সত্য একটাই গণিতের মত, বিজ্ঞানের আলোকে সত্য মিথ্যার পার্থক্য বুঝা যায়। সত্য পৃথিবীতে আছে তবে তা মিথ্যার অধীনস্ত হয়ে বিরাজ করছে ফলে সাধুই চোর, চোরই সাধু। মনে হয় মুঘলেরা যদি মদ্যপ, মাগীবাজ এবং পরিবারতান্ত্রিক না হোত এবং ধর্মের লেবাস ব্যবহার না করতো তাহলে হয়তো মুসলমানদেরকে ভারত মহাসাগরে নিক্ষেপ না করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে পারত।

বঙ্গোপসাগর বাঙালির মোক্ষম স্থান যার কারণে চীন, ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া এখানেই ঘাঁটি করে নিতে চায় এবং বাঙালির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ভোট না দিলেও বলে সুন্দর ভোট হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার অনেকে অপেক্ষা করে যুদ্ধ করেছি আমরা আর টাকা পায় কে? অথচ বাংলাদেশের জন্য কত যে মায়াকান্না তা প্রয়োজনে বিপদে আপদে প্রমাণ পেয়েও বাঙালির আক্কেল হয় না বরং গর্ববোধ করে। প্রবাদে বলে আমাকে বলেছে আমি কি আর দেশে আছি। ভূস্বর্গ কাশ্মীর এখন আর বাংলাদেশের মত প্রশংসিত না যা শেখ আব্দুল্লাহর সময়ে ছিল (ইতিহাস হয়তো তাই বলে)। শাপলা চত্বর বাংলাদেশের ভীত কাঁপিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে তা প্রমাণ করেছে। অতএব হেফাজতে ইসলামকে চাই, যে কোনো মূল্যে আর যেন রাজপথে নামতে না পারে যে কোন প্রকারেই হোক সেই ব্যবস্থার মধ্যে মুঘোল আমলে তৈরী বাবরী মসজিদ নিয়ে শ্রদ্ধেয় হুজুর মুখ খুল্লেন এটা বিনা মেঘে বজ্রপাত। ভয় হয় ছোট ভোজে কাজ হয়নি ভেবে এবার বৃহৎ ভোজ যা হ্যানিম্যানিয়ান নয়। ছলে বলে কৌশলে কাজ করতে হবে কিন্তু আল্লাহ যে বলেছেন মাকারু ওয়া মাকারাল্লাহু। ভয় হয় আল্লাহর গজবকে। ভয় হয় তীক্ষ্ম ধর মুসল্লীদের যারা অল্পতেই মহিলাদের মত সহজেই বিভ্রান্ত হয়ে যায়। মুঘলদের পুরাকীর্তি ধীরে ধীরে মুছে যাবে এটাই ইতিহাসের অমোঘ নিয়ম বা হাতী যখন গাতায় পড়ে……..। অতএব আবরার হয়ে লাভ নেই। তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থেক, লোভী বা লাভের আশায় ধর্ষকের ক্রীড়ায় পরিণত হয়ো না, এখনও বাইটা জাগে। চাবির প্যাঁচতো আছেই করটিয়ার কেরানি সুলতান খান, বেগম ফজিলাতুন্নেছার জন্ম স্থান (সম্ভবত)। বটতলার ক্যানভাসার প্রথমে ভাল গান জোড়া দেয় এবং একটু পরেই ক্রিমির ওষুধ এবং ধাতুর পাতের ওষুধের এক ফাইল নিতে ভুলবেন না। আমিও যা কিছু লিখিনা কেন আমার উদ্দেশ্য সূরা ৭ ও সূরা ১৭ বাংলায় পড়তে ভুলবেন না কারণ আল্লাহকে চেনা ও জানা একান্ত ফরজ। আপনি মাথা বিক্রি করতে পারেন।

কিন্তু আপনার মাথা বিক্রি পরের প্রজন্ম তার ফল বিষবৃক্ষ দ্বারা নিষ্পেষিত ও নির্যাতিত হবে আর গোলামীর জিঞ্জির জন্যে কবি নজরুলের কবিতা ও গানে নিজেদের খুঁজে বেড়াবে। আমার গ্রাসের থিওরি এবং অযাচিত প্রশংসা বৃহৎ শক্তিদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং ভুল করে ভুল স্বীকারের কোন মূল্য নেই। শুনেছি অনেক এবাদতই আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছায় না আর আল্লাহর আরশ আকাশ ও ভূমন্ডল পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত। আমরা মুঘল নই, পাঠান নই, সুলতানী আমলের নই, ১৬ কোটি বাঙালি হজ্বের সময় প্রতিবৎসর পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তর থেকে মক্কা-মদীনায় জড়ো হওয়া সত্যের দিশারী শেকডের সন্ধানে যাদের উৎস এক এবং অভিন্ন – সূরা রূম-
এ যুগে সত্যকে সত্য বলা যাবে না, মিথ্যাকে সত্য বলতে হবে। অনেকেই কলাম লেখা বাদ দিয়েছেন অনেকেই আত্মরক্ষায় নিজেকে গা ঢাকা দিয়েছেন, অনেকে বাহবা পাওয়ার জন্য লিখে থাকেন, মফস্বলের কলামিস্টরা জানার সুযোগ না পেয়ে রাজধানীর লেখাই নিজের লেখা বলে চালিয়ে দিতে চায়। সত্যবাদিতা, দেশপ্রেম, নিরপেক্ষতা, পরধনের প্রতি লোভ না করাই হবে মানবধর্ম। ২টি আয়াত অবশ্যই মনে রাখতে হবে- ধৈর্যশীলদের সংগে আল্লাহ আছেন। আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়ো না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!