রাসেলকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিল গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ফ্লাইওভারের ওপর বাস চাপায় প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ। আদালতের মাধ্যমে তাকে ৫ লাখ টাকার চেক দেয় গ্রীন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ। আদালতের নির্দেশে আংশিক টাকা পরিশোধের পর আগামী একমাসের বাকি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছে।

এর আগে সকালে তাকে টাকা দেয়ার ব্যাপারে ওই পরিবহন কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, তা বিকেলের মধ্য জানাতে বলে হাইকোর্ট।

গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের বিষয়ে আদেশের জন্য হাইকোর্টে দিন ধার্য ছিল।

আদালতে গ্রিন লাইন পরিবহনের আইনজীবী ওয়াজিউল্লাহ রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে একমাস সময় চেয়ে আবেদন করেন।

রাসেল সরকার একজন চালক— তাকে তো কিছু দিলেন না। কিছু দিয়েছেন কি না, এর অগ্রগতি আজ বিকালেই জানাবেন বলে আইনজীবীকে আদালত জানায়।

রিট আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম বলেন, রাসেল আহমেদকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে কি না বিকেলে ৩টায় হাইকোর্টকে জানাতে বলেছেন বেঞ্চের বিচারপতিরা। এরপরে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করায় আদালত বাকি টাকা পরিশোধে এক মাস সময় দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, রাসেলের পা হারানোর ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনজীবী উম্মে কুলসুমের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট এক আদেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় আদালত। একই সঙ্গে প্রয়োজন হলে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার এবং কাটা পড়া বাঁ পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচ দিতে ওই পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর অগ্রগতি হলফনামা আকারে ৩১ মার্চের মধ্যে আদালতে দাখিল করতেও বলা হয়।

তবে হাইকোর্টের ১২ মার্চের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিন লাইন পরিবহন আপিল বিভাগ আবেদন করে, যা ৩১ মার্চ খারিজ হয়। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে। এরপর সেদিন হাইকোর্ট ইতিপূর্বে দেওয়া আদেশ ৩ এপ্রিলের মধ্যে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বাস্তবায়ন করতে বলে আদেশের জন্য ৪ এপ্রিল দিন রাখে।

গ্রিন লাইন পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আদালতে হাজির হয়ে জানান, গ্রিন লাইন পরিবহনের মালিক চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন, ৯ এপ্রিল ফিরবেন। এরপর হাইকোর্ট ১০ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন ধার্য করে। শুনানিকালে সেদিন গ্রিন লাইনের আইনজীবী ও মহাব্যবস্থাপকের উদ্দেশে আদালত বলেন, ১০ এপ্রিল আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে হলফনামা দেবেন। টাকা না দিতে পারলে ১১ তারিখের টিকিট বিক্রি করবেন না। অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!