শেখ হাসিনার মত যোগ্য কেউ নেই, দেশ পরিচালনার জন্য॥

মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

পবিত্র হজ্জ ও তাবলিগ জামায়ত সম্পর্কে কটুক্তি নিয়ে দেশ বিদেশে আলোচিত আওয়ামী লীগ ও মন্ত্রীপরিষদ থেকে বহিস্কৃত আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, মানুষ আমাকে প্রশ্ন করে আমি খোদাকে বিশ্বাস করি কিনা? আমি তাদের বলি আমি তো মানুষকে বিশ্বাস করি আর মানুষ যদি খোদাকে বিশ্বাস করে তবে আমিও খোদাকে বিশ্বাস করি। মানুষের যে ধর্ম আমারও সে ধর্ম। আমি মানুষকে ভালবাসি। আজকে মানুষ আমাকে লতিফ সিদ্দিকীতে রুপান্তরিত করেছে। তিনি বলেন, আমি কেন বিতারিত হয়েছি, কেন বহিস্কৃত হয়েছি, কেন কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছি, কেন পদত্যাগ করেছি। আমার থেকে কেউ ভাল করে জানে না। নেতার দ্বারা দীক্ষিত হই, উপেক্ষিত হই তখন দল থেকে বহিস্কার করা যায়। কিন্তু দল বাদ দেয়া যায় না। আমি আওয়ামী লীগ থেকে ৫ বার বহিস্কৃত হয়েছি। আমি আওয়ামী লীগকে ছাড়ি নাই। আওয়ামী লীগও আমাকে ছাড়ে নাই।

তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের ইছাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসমত আলীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত আনোয়ার উল আলম শহীদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য লায়লা সিদ্দিকী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ তোতা, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মোল্লা, এলেঙ্গা পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র নূর-এ-আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।

উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে তিনি পবিত্র হজ্জ ও তাবলিগ জামায়ত নিয়ে কটুউক্তি করেন। পরে দেশে বিভিন্ন থানায় তার নামে একাধিক মামলা হয়। পরে তিনি দেশে ফিরে আত্ম সর্মপন করেন। পরে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে প্রায় ৪ বছর জন সম্মুখে আসেননি। শনিবারই প্রথম তিনি কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাসমত আলীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। লতিফ সিদ্দিকীকে দেখার জন্য হাজার হাজার নারী পুরুষ সমবেত হয়। মাঠে গ্রামাঞ্চলের লাঠি খেলার দলসহ নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাস করে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান জনসভায় পরিনত হয়।

লতিফ সিদ্দিকী আরো বলেন, জনগন ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে তারা দেখিয়ে দেয় জনগন কি। শেখ হাসিনার মত যোগ্য কেউ এ দেশে নেই, দেশ পরিচালনার জন্য। ড. কামাল হোসেন, ড. ইউনুস আপনাদেরকে জনগন ভালবাসে না। আপনারা যত কথাই বলেন মানুষ আপনাদেরকে ও বিএনপিকে চায়না, বিএনপি আওয়ামীলীগের থেকে কোন অংশে সরষ। আওয়ামীলীগ থেকে আমাকে ৫ বার বহিষ্কার করা হয়েছে, তারপরও আমি আওয়ামীলীগ ছাড়িনি, আওয়ামীলীগও আমাকে ছাড়েনি। আমাকে আনুগত্যের পরীক্ষা দিতে হবেনা, আনুগত্যের পুরষ্কার আমি শেখ মুজিবের কাছ থেকেও পেয়েছি, শেখ হাসিনার কাছ থেকেও পেয়েছি। নেতা আর জনগনের উপর আমার আস্থা আছে, কালিহাতীর জনগন চাইলে নেতা শেখ হাসিনা আমাকে আবার কালিহাতীর জনগনের সেবা করার সুযোগ দেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!