শতবর্ষী আমগাছ কেটে বিক্রিঃ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেয়া হয় নি কোন পদক্ষেপ

নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

দুই সপ্তাহ হলেও কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি সেই শতবর্ষী পুরনো আম গাছ প্রধান শিক্ষক কর্তৃক কেটে বিক্রি করার অভিযোগ।

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ৪৯ নং আটোয়ারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষী তদুর্ধ এক পুরনো আমগাছ শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন দেখিয়ে কেটে ফেলার অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেইনি উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আঃ লতিফ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি গাছ কাটার অনুমতি দেইনি। বরং গাছ কাটার কথা শুনে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে পাঠিয়েছি তিনি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সুলতানা’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি সংবাদ পত্রের মাধ্যেমে জানতে পেরেছি বিভিন্ন কাজের কারনে বিষয়টি দেখা হয়নি তবে অতিশীগ্রই তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি দেখা হবে।

উল্লেখ্য যে, গত ৩০ এপ্রিল পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষী পুরনো আম গাছ প্রধান শিক্ষক কর্তৃক কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উপজেলার ৪৯ নং আটোয়ারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষী তদুর্ধ এক পুরনো আমগাছ শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন দেখিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানাগেছে।

বিদ্যালয়ের মাঠে যেতে না যেতেই ওই এলাকার আহসান হাবিব, হবিবর রহমান সহ আরো অনেকে বলেন, ইতিপূর্বে ঝড়ে পরে যাওয়া বিদ্যালয়ের আরো বড় দুটি গাছ কয়েক বছর থেকে পরে আছে তা কাটার কোন নাম নেই অথচ এত পুরাতন একটি ঐতিহ্যবাহী জীবিত গাছ যার মূল্য ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা হওয়ার কথা সেখানে আমরা শুনেছি ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এমন কাজ কি করে প্রধান শিক্ষক করতে পারে।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: লায়লা আঞ্জুমান এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: রুহুল আমিন জানান, গাছটির একটি ডাল বিদ্যালয়ের ছাদে ভেঙ্গে পরায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশক্রমে ডালটি কেটে ফেলি। এসময় ওই ডালটি কাটতে গিয়ে গাছটি উপরে পরে মর্মে গাছটিকে সম্পুর্ন কেটে ফেলতে হয় তবে গাছ বিক্রি করার কথাটা সম্পুর্নরুপে মিথ্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!