শীতে বিপর্যস্ত পঞ্চগড়

নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

গত তিনদিন ধরে কুয়াশার দাপটে জেলায় সূর্যের দেখা মিলছে না। শীতের তীব্রতার কারণে দিনমজুর, নির্মাণ ও কৃষি শ্রমিকদের কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।

দেবীগঞ্জ উপজেলার উপনচৌকি গ্রামে আলু ক্ষেতে কর্মরত কৃষি শ্রমিক মানিক বলেন, শীতের সকালে মাঠে কাজ করতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আরেক শ্রমিক লিখন ইসলাম বলেন, “ঠান্ডায় হাত-পা যেন অবস হয়ে যাচ্ছে।”

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, রোববার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি। তবে শনিবার দিনগত রাতে তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে ছিল।

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। তাপমাত্রাও কমেছে। গত তিন দিন ধরে মৃদু শৈত্য প্রবাহ শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

সন্ধ্যার পর থেকে দিনের বেশীরভাগ সময়ই থাকছে কুয়াশার দাপট। হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।

শীতের তীব্রতায় সাময়িক উষ্ণতা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষদের।

প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সিরাজউদ্দৌলা পলিন বলেন, “শিশুরা ঠান্ডায় আক্রান্ত হলেও এটি এখনও স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে ;এতে উদ্বেগের কিছু নেই।

তবে শিশুদের সুস্থ্য রাখতে ঠান্ডায় ঘরের বাইরে বের না করারই পরামর্শ দিয়েছেন এ চিকিৎসক। সেইসঙে শিশুদের মায়েদেরও ঠান্ডা থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।

এদিকে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে পঞ্চগড়ের ৫টি উপজেলায় ৩০ হাজারের বেশি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান। যদিও কম্বল প্রয়োজন ২ লাখ। নতুন করে কম্বলের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!