হাযা নাজিরুম মিনান নুযুরেল উলা

 

 

হাযা নাজিরুম মিনান নুযুরেল উলা
-আওলাদ হোসেন

 

১৪০০ বৎসর পূর্বে আরবে যে রাসূলে পাক মুহাম্মদ (সা:) এর আগমনের পর মক্কার কাফেররা চেয়েছিল ফুৎকার দিয়ে আলো নিভিয়ে দিতে কিন্তু সে আলো পূর্ণাঙ্গ লাভ করে যদিও কাফেরদের নিকট তা বিষাক্ত মনে হয়েছিল। নবীজী (সা:) ৪০ বৎসর বয়সে আল্লাহর ওহী লাভ করেন “ইকরা বিস্মি রাব্বিকাল লাজি খালাক।” তার পর থেকে ওহীর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ আল-কুরআন নাযিল হতে থাকে দীর্ঘ ২৩ বৎসর। আমরা মুসলমানেরা মৌলভী নির্ভর, প্রকৃত কি আছে মহান গ্রন্থে তা পড়ে দেখিনা, আরবি জানার প্রশ্নই উঠে না, বাংলায় ও পবিত্র গ্রন্থটি পড়ার গরজ আছে বলে মনে হয় না। ধর্ম সভায় টাকা দিয়ে ওয়াজ শুনে থাকি, কিন্তু ১০০/- এক শত টাকা দিয়ে একটি বঙ্গানুবাদ কিনে যদি প্রতিদিন ২/৪ পাতা করে পড়তে থাকি তাহলে ১ বৎসরে সম্পূর্ণ বইটি পড়া শেষ হতে পারে। তাতে মৃত্যুর পর আগুনে প্রবেশ করার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে এবং অনন্ত জীবন ও যৌবন লাভ করা সম্ভব হতে পারে। অন্ধের হস্তী দর্শনের মত বিভিন্ন মতাবলম্বীদের পাল্লায় পড়ে নিজের ঈমান ও আকিদা রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন সে পথ তা সহজেই সংগ্রহ করা যায়। রাসূলের (সা:) জীবন পরবর্তীতে দেখা যায় তিনি সৃষ্টির আদিকাল হতে বংশ পরস্পরায় আল্লাহর বাণী বাহক। সেহেতু আল কুরআন মানুষের রচিত কোন গ্রন্থ না আল্লাহ নাযিল করেছেন তাওরাত ও ইনজিল। যার অনুসারীরা হচ্ছে ইহুদী ও খৃষ্টান। এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে যদি কেউ বলে যে রাসূল (সা:) নিজে এই বই রচনা করেছেন তবে যেন অনুরূপ সূরারচনা করে দেখায় আর যদি না পারে তবে যেন ঈমান আনে এবং আগুনকে ভয় পায় যার ইন্দন হবে মানুষ ও পাথর। আল্লাহপাক অদৃশ্য দ্বিতীয বিষয়। আমরা যদি হাজারো চেষ্টা করি আল্লাহকে দেখা যাবে না। আদম (আ:) এর পর নূহ, হুদ, সালেহ, ইব্রাহীম লুত শোয়ায়েব, মূসা, এর কাহিনী জানানো হয়েছে রাসূলের (সা:) অন্তরকে মজবুত করার জন্য। ইয়াকুব, ইসমাইল, ইউসুফ এর কাহিনী। ইসহাক, মরিয়ামের পুত্র ঈসা অনেক সূরায় এদের নাম বিভিন্নভাবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাচীন কালের কাহিনীকে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনার মাধ্যমে রাসূলে পাক (সা:) যা জানতেন না তা জানিয়ে দেয়ার জন্য এবং ৫৩ নং সূরায় বলা হয়েছে হাযা নাযিরুম মিনান নুজুরেল উলা ইনিও পূর্ববর্তী সতর্ককারীদের ন্যায় একজন সতর্ককারী। প্রতিজন নবীর সময়েই বিশেষ বিশেষ ঘটনা বর্ণনার মধ্য দিয়ে উপদেশ মূলক সত্যের অবতারণা যেভাবে শক্ত গাঁথুনীর উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে এবং সুললিত কণ্ঠে মৌলভীসাহেবরা পাঠ করে থাকেন তা বৎসরের পর বৎসর পাঠ করেও শেষ করা যায় না এবং কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব না এর নিখুঁত বর্ণনা তুলে ধরা। আমরা বৈশাখে এসে ভাগ ভাল্লুক সেজে তা হারিয়ে ফেলি অর্থাৎ স্রষ্টাকে হারিয়ে মানুষ বাঘ ভাল্লুকের কাছে নিজেকে সঁপে দেয়। নিজের অস্তিত্ব হারায় চটুল আনন্দ লাভের জন্য কিন্তু স্রষ্টাকে হারিয়ে বা ভুলে গিয়ে মরনের সময় কালেমা পড়লেই কি সব শুদ্ধ হয়ে যাবে? এটাকি আত্মঘাতি বা আত্ম প্রতারনার বা প্রবঞ্চনার পর্যায়ে পড়বে না? এর জন্য দায়ী কে হবে? তাহলে দেখা যাচ্ছে রাসূল বা নবী না পাঠিয়ে আল্লাহপাক কোন জাতির উপর আযাব পাঠান নাই এবং সমূলে ধ্বংস করেন নাই। প্রশ্ন হতে পারে ধার্মিক ছাড়া অন্যেরা পৃথিবীতে আশ্রয় পেল কিভাবে? উত্তরটিও সহজ। আল্লাহ ইচ্ছে করলে সবাইকে একই ধর্মে আনতে পারতেন… এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র নিয়মাবলীর মধ্যে … অথবা আমি তাদের এর পর “বলুন আমিতো তোমাদেরই মত একজন মানুষ আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হয় যে, তোমাদের মাবুদ তো একই মাবুদ…।” “ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতিহি ইউছাল্লুনা আলান নাবী… তাসলিমা। নিশ্চয় আল্লাহ রহমত প্রেরণ করেন নবীর প্রতি এবং তাঁর ফেরেশতারাও … হে যারা ইমান এনেছ। তোমরাও নবীর জন্য রহমত প্রার্থনা কর…।” “হা-মীম-তানজিলুল কিতাবী মিনাল্লাহিল আজিজিল হাকিম। ইউছাব্বিহুলিল্লাহি মাফিছ ছামাওয়াতে ওয়াল আর্দ।” “ওয়ামা মুহাম্মাদুন ইল্লা রাসুলুন … মুহাম্মদ তো একজন রাসূল ব্যাতিরেকে আরকিছু নয়। তার পূর্বেও অনেক রাসুল চলে গেছে। অতএব যদি সে মারা যায় অথবা নিহত হয় তাহলে কি তোমরা পায়ের গোড়ালিতে ভর করে পিছনে ফিরে যাবে? (৩:১৫:১৪৪)।” সূরা ইয়াসীন সম্বন্ধে আমি অনেক লিখেছি সম্পূর্ণ সূরাটি মুখস্ত করার মত অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে যেমন মুহাম্মদ (সা:) আল্লাহর একজন রাসূল। নিশ্চই মানুষকে জীবিত করা হবে। আমি তাকে পদ্য শিক্ষা দেই নাই। মানুষকি জ্ঞাত নয় যে, তাকে এক ফোঁটা শুক্র থেকে সৃষ্টি করেছি তবুও ঝগড়া করে ইত্যাদি। উল্লেখ্য মানুষ সৃষ্টির বিষয়টি কুন, ফাইয়াকুন এবং বিস্তারিত বিবরণ বিজ্ঞানের যুগে সত্য প্রমানিত হয়েছে যে আল্লাহ পাক ১৪০০ বৎসর পূর্বে রাসূলে পাক (সা:) কে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কিভাবে মানুষ মাতৃগর্ভে জন্ম গ্রহণ করে থাকে, প্রতিটি পর্যায়ের ব্যাখ্যা দেয়া আছে যা একমাত্র মানুষই ভোগ করে এবং শুধু মানুষের জন্যই প্রযোজ্য। এলোপ্যাথরা অর্ধেক গ্রহণ করে থাকে কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে মানুষের দেহের ও মনের যে বৈচিত্র বিরাজ করে তা কোন বৈজ্ঞানিক আকাশের ছায়াপথ বিলিয়ন, ট্রিলিয়ন ইত্যাদির মাধ্যমে গণনা করে যেমন কূল কিনারা পাবে না তেমনি মানুষের স্বতন্ত্রতা উল্লেখ করে শেষ করতে পারবে না, এই পৃথক ও পার্থক্যের জটিলতা সৃষ্টি কর্মে স্রষ্টা ও সৃষ্ট বস্তকে পৃথক করেছে এবং আল্লাহ অদৃশ্য কারণ বস্তু দেখা যায় কিন্তু আল্লাহর বিবরণ দিতে চাওয়া বৃথা এবং ওই পথে যাত্রা করা অকল্যাণকর এবং তাঁর স্থানে কাউকে কল্পনা করা হারাম বা নিষিদ্ধ। প্রাসঙ্গিক মূসা (আ:) আল্লাহর সংগে কথাবার্তা বলার পর বলেন আমি আপনাকে দেখতে চাই! তাতো হবে না মূসা ঐ পাহাড় যদি স্থির থাকে তবেই আমাকে দেখতে পাবে। তাজাল্লিতে পাহাড় পুড়ে গেল এবং মূসা অজ্ঞান হয়ে গেল, জ্ঞান ফিরলে তৌবা করলেন এবং সর্বাগ্রে মুসলমান হলেন (৭:১৪৩)। এই উদাহরণটির পরেও এক শ্রেণির লোকেরা আল্লাহকে দেখেন অথবা নিজেকে আল্লাহ বলে পয়সা কামাই করে। অশিক্ষিতের কারনে স্রষ্টা ও সৃষ্টি এক করে ফেলে, ফলে মুসলমানিত্ব হারায় ইসলাম ডুবে। “লাকাদ যা আকুম রাসূলুম…. তোমাদের কাছে এসেছেন তোমাদেরই মধ্য হতে একজন রাসূল … আমার জন্য, আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই। তাঁরই উপর আমি ভরসা করি এবং তিনি বিরাট আরশের অধিপতি। ১০:১৬:১২৯। ওয়ামা আনা মিনাল মুতাকাল্লিফিন (৩৮:৮৬। বনী ইসরাইল সূরায় বলা হয়েছে (১) একটি ঝর্ণা প্রবাহিত করেন (২) আপনার জন্য খেজুরের ও আঙ্গুরের একটি বাগান হবে… বহু নহর প্রবাহিত করে দেবেন (৩) আমাদের উপর আসমানকে খন্ড বিখন্ড করে ফেলে দেবেন কিংবা আল্লাহ ও ফেরেস্তাদের সামনে নিয়ে আসবেন (৪) অথবা আপনার জন্য সোনার তেরি কোন ঘর হবে অথবা আপনি আসমানে আরোহন করবেন… আপনি আমাদের প্রতি এক কিতাব নাযিল করেন যা আমরা পাঠ করব। আপনি বলেদিন: পবিত্র মহান আমার রব। আমিতো একজন মানুষ, একজন রাসূল ছাড়া আর কিছু নই। “হে নবী! আমিতো আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা রূপে ও সতর্ককারী রূপে, এবং আল্লাহর আদেশে তাঁর দিকে আহব্বানকারী রূপে ও দীপ্তিমান প্রদীপরূপে।” “ইনকুনতুম তুহিব্বুনাল্লাহ ফাত্তাবেয়ুনি ইউহবিব কুমুল্লা”… আপনি বলে দিন-যদি তোমরা প্রকৃতই আল্লাহকে ভালবাস তবে আমার অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দিবেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আল হাক্কু মির রাব্বিকা ফালা তাকুম মিনাল মুমতারিন।” এইবার মোজেজা নিয়ে কিছু উদ্বৃতি দিতেই হচ্ছে। মোজেজা মূলত: লোকদেরকে হেদায়েত ও ভয়-ভীতি দেখানোর জন্য আল্লাহপাক তাঁর ইচ্ছায় দেখিয়ে থাকেন। যে সমস্ত জাতি ধ্বংস হয়েছে তারা আল্লাহর এই কুদরতকে অস্বীকার করেছিল। ১৭:১:১-তিনি পবিত্র মহিমাময়, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত, যার চতুস্পার্শ্বকে আমি বরকতময় করেছি যাতে আমি তাকে দেখাই আমার কুদরতের কিছু নিদর্শন নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। এখানে সময়, স্থান, গতি অলৌকিক। জ্যোতিবিদ্যার উন্নতিতে মহাকাশ গ্যালাক্সি, সৌরজগৎ এস্ট্রোফিসিক্স ইত্যাদির ধারনা মহাশূন্য সম্বন্ধে চিন্তা চেতনাকে ব্যাপক গবেষনার মাধ্যমে এক বিশাল বিস্তৃত স্থানের সন্ধান দিয়েছে যা কল্পনাও করা যায় না। এর একটি হচ্ছে আলোর গতি সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল। আলোক বর্ষ দিয়ে দূরত্ব বুঝানো হয় ১ বৎসরের দূরত্ব কত হবে? তারপর পারসেক অথবা (অট) সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব এক ইউনিট ইত্যাদি। তাহলে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এই নভোভ্রমণ ও তার অলৌকিকত্ব এবং সেখানেও আল্লাহ অদৃশ্য। সৃষ্ট বস্তুর বাইরে মানুষের কিছু করার নেই, সীমবদ্ধতার দৌড় অসীমের কাছে কিছুই না, ফলে যে রহস্য অদৃশ্য বা গায়েবে বিশ্বাস করতে হবে এই শর্ত কিয়ামত পর্যন্ত অজানাই রয়ে গেল কোন যুক্তিতর্ক বিশ্বাস অবিশ্বাস কিছুই হাতের কাছে পাওয়া গেল না, মৃত্যুর পর দেখা যাবে যা হবার তাই হবে, মধ্যসত্বার ভোগ বিলাস ক্ষণিকের মোহজাল মাত্র হাতে কলমে দেখানোর বা বুঝানোর কোন শক্তি মানুষের নেই, চাই ঈমান আন বা না আন। ইকতারা বাতিছছায়াতুওয়ানশাক্কাল কামারু। ৫৪:১:১ কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে। তার পরও মানুষ সৃষ্টি মহাাবিশ্বের মহাবিশ্বয়। এনাটমি পড়া থাকলে বুঝা যায় দেহ ও আত্মা নিয়ে মানুষের অনন্তের পথে যাত্রা, কিভাবে মানুষ সৃষ্ট হোল তার শুরু ও শেষ মানুষের আয়ত্বের বাইরে। কোথায় কি সংযোজন বিয়োজন জ্ঞানের রাজ্য অসহায়, মৃত্যু একে আরো নাটকের শেষ অংক এমনভাবে টেনেছে যে প্রত্যেকের জীবনটাই নাটক দিয়ে গড়া বাস্তব। কুরআনের আয়াতের শেষ নেই। ইতিহাস-ঐতিহ্য ভুলে বসে মরিচীকার পিছনে দৌড়িয়ে কোন লাভ নেই, পড়তেপড়তে এক দিনে হবে না, বৎসরে পর বৎসর চলতে থাকলে ১১৪ টি সুরাই জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠবে, সূর্য মূল্যহীন ধাতু ভয় পাওয়ার কিছু নেই মাথা নত করার কিছু নেই ওটা স্রষ্টা নয় কিন্তু এর তাপ ও আলো স্রষ্টার রহস্য বহন করে, অনুরূপ সব কিছু “হাযা নাজিরুম মিনান… উলা।” ইযা ছালাকা ইবাদি আন্নি ফা ইন্নি ক্বারিবুন অযিবুদ দাওয়াতা ইযা দায়েন” আমি কাছেই থাকি এবং ডাকলে সারা দেই। রাসূর (সা:)কে পাওয়া গেলে আল্লাহ্কে পাওয়া যায় আল্লাহকে পাাওয়া গেলে রাসূলকে পাওয়া যায়। ফুলদানী ও ফুল প্রকাশিত হয়ে আছে নূরুল আলা নূর (২৪:৫:৩৫)। যতই পড়বেন ততই পারবেন এবং চিন্তায় চিন্তায় বল্গাহীন জীবনের ছন্দ পতন হবে। আমার লেখা পড়ে যারা ধর্মীয় বিষয়ে সামান্যতম জ্ঞান ও লাভ করে থাকেন এবং এব্যাপারে শেয়ার করেছেন তাদেরকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।


প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয়নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্যকোনও ধরনের কোনও দায় নেবেনা।


কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!