হোমিওতে অর্গানন সূত্রে জীবনীশক্তির লক্ষণ

হোমিওতে অর্গানন সূত্রে জীবনীশক্তির লক্ষণ
(জীবনীশক্তি কি? কোথায় থাকে কি কাজে লাগে)
ডা. আওলাদ হোসেন

“Many Person of my acquaintance but half converted to homoeopathy have repeatedly begged me to publish still more exact directions as to how this doctrine may be actually applied in practice, and how we are to proceed. I am astonished that after the very particular directions contained in the Organon of medicine more special instructions can be wished for.” অর্থাৎ আমার পরিচিত অনেক লোক, যারা হোমিওপ্যাথিতে প্রায় আধা দীক্ষিত, তারা আমাকে বার বার অনুরোধ করেন এ-তত্ত্ব প্রকৃতপক্ষে কিভাবে বাস্তবে প্রয়োগ করা যায় সে সম্পর্কে আরও কিছু নির্দেশনা প্রকাশ করার জন্য এবং প্রশ্ন করেন, আমরা কিভাবে অগ্রসর হবো। আমি বিস্মিত হই যে, অর্গানন অব মেডিসিনে খুব সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকার পর আরো বিশেষ নির্দেশনার জন্য আশা করা হয়। (Preamble)- ডা. হ্যানিম্যান।

হোমিওপ্যাথিতে কিছু কিছু শব্দ আছে যার অর্থ জানা ও কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করা কঠিন কাজ। ফলে ডা. হ্যানিম্যানের অনুসারীরা পেটেন্ট বিক্রি করা শুরু করে দিল কবে কিভাবে জানা নেই কিন্তু এই বোতলের সঙ্গে জীবনীশক্তির কোন সম্পর্ক নেই তা নিশ্চিত বলতে পারি। কারণ একমাত্র সূক্ষ্ম মাত্রায়ই জীবনীশক্তি গ্রহণ করতে পারে অন্যথায় হোমিওপ্যাথি ফেল।

যেহেতু হোমিওপ্যাথি আসলেই ফেল, অতএব এলোপ্যাথির অনুকরণে মূল আরক বিক্রি করাই ভাল। ডা. এম.এ. কাদের হোমিও চেতনায় এ্যাড দিয়ে থাকেন এতে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ভীষণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চলছে উল্টো স্রোত। রাজধানী থেকে গ্রাম-বাংলা, রাজনীতি থেকে ধর্মনীতি, শিক্ষক থেকে শুরু করে গাড়ির ড্রাইভার, জীবনীশক্তি করটিয়ার ডা. রেজাউল করিম আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অর্গানন অভ মেডিসিন বইটির বঙ্গানুবাদ এবং সূত্রের সহজ ব্যাখ্যা প্রকাশ করেছেন এবং তার কাছেই Vital Force, Susceptibility, Ideosyncracy, Mission, Totality of Symptoms, footnotes, Acute & chronic disease, deviations, dynamic, Manifestation, Differnt in kind etc. শিখেছি অত্যন্ত আগ্রহ ভরে, মন্ত্র মুদ্ধের মত।

সূত্র-৯, মানুষের সূস্থ অবস্থায় অদৃশ্য জবিনীশক্তি (একনায়কতন্ত্র), সূক্ষ্ম চালিকা শক্তি জড় দেহকে (সুসংগঠিত প্রাণী দেহে) জীবন্ত রাখে, অসীম কর্তৃত্বে শাসন করে এবং দেহের সকল যন্ত্রাংসকে প্রশংসনীয়, সুশৃঙ্খল জৈব ক্রিয়াকলাপে সচল রাখে এমনকি অনুভূতি ও ক্রিয়া কলাপের দিক থেকেও যাতে আমাদের অন্তঃবাসী বিবেকপ্রাপ্ত মন আমাদের অস্তিত্বের মহৎ লক্ষ্য সাধনের নিমিত্তে স্বাধীনভাবে এ জীবন্ত সুস্থ যন্ত্রটিকে নিয়োগ করতে পারে।

(১) আরও সহজভাবে Without Vital Force, No Sensation, No Function No Self Preservation….. আত্মার অন্তঃপ্রবাহ জীবনীশক্তির মাধ্যমে জীবদেহকে সকল কর্মকান্ডের উপযোগী করে রাখে আত্মা ও জীবনী শক্তি উভয়ই অদৃশ্য বটে কিন্তু একই জিনিস না।

(২) জীবনীশক্তির বিশৃঙ্খলাই রোগ

(৩) ব্যাধির অদৃশ্য ক্রিয়াশীল প্রভাব সর্বপ্রথম মানুষের অদৃশ্য জীবনীশক্তিতে সংক্রমিত হয়। তার পর দেহে রোগ লক্ষণ প্রকাশ করে।

(৪) প্রশ্ন করতে পারেন অদৃশ্য জীবনীশক্তি নাকি দৃশ্যমান ব্যাধি শক্তি। এ প্রশ্নের সমাধান জড়বাদি জগৎ থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।

(৫) এখন প্রশ্ন অদৃশ্য শক্তি কি?

(৬) জীবনীশক্তি দেহকে দিয়ে কিভাবে রোগ লক্ষণ প্রকাশ করায় অর্থাৎ কিভাবে এটি রোগ উৎপাদন করে তা জানার ব্যবহারিক আবশ্যকতা চিকিৎসকের নেই এবং চিরদিন তা অজ্ঞাতই থাকবে; তার প্রয়োজন রোগ সম্পর্কে জানা এবং রোগ আরগ্যে সক্ষম হওয়ার জন্য তাই-ই যথেষ্ট।

(৭) মানুষের জীবনীশক্তি এমনই স্বকীয় সত্ত্বা লাভ করেছে যে, সে সুস্থ অবস্থায় মানুষকে সকল প্রকার রোগ থেকে নিরাপদে রাখতে পারে, অসুস্থ অবস্থায় রোগের স্বচিত্র লক্ষণ প্রকাশের মাধ্যমে যথার্থ ঔষধি সাহায্য চাইতে পারে এবং যথার্থ ঔষধ কর্তৃক সাহায্যপ্রাপ্ত হলে সে রোগসমূহ নির্মূলভাবে আরোগ্য করে মানুষের জীবনকে সুখ স্বাচ্ছন্দে পূর্ণ করে দিতে পারে। অর্থাৎ জীবনীশক্তির রোগ প্রতিষেধক ক্ষমতা আছে আবার রোগাক্রান্ত হওয়ার জন্য রোগের প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার ক্ষমতাও আছে এবং রোগ কর্তৃক পীড়িত হওয়ার পর জীবনীশক্তি এর সামর্থ্য অনুসারে লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে। রোগে রোগীর দেহ ও মনে, ভিতরে ও বাহিরে যেসব পরিবর্তন সাধিত হয় এবং লক্ষণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় তা রোগের অবিকল চিত্র।

(৮) আমাদের দেহকে সজিব রাখে জীবনীশক্তি লক্ষণ সমষ্টি ও ব্যাধি একটি সামগ্রিক চিত্র গঠন করে; তারা এক এবং অভিন্ন। জীবনীশক্তি একটি অদৃশ্য সত্ত্বা, রোগশক্তি অদৃশ্য সত্ত্বা। ঔষধের নৈসর্গিক ক্ষমতা অবমুক্ত করে তাকেও অদৃশ্য স্বত্ত্বায় রূপান্তর করতে হয়। তিনটি সত্ত্বাই অদৃশ্য সাদৃশ্যপূর্ণ।
(৯) জীবনীশক্তির যদি এমন সামর্থ্যই থাকত যাকে অনুকরণ করা যায়, তাহলে তা কখনো দেহকে পীড়িত হতে দিত না।

(১০) জীবনীশক্তি সুস্থ্য বিকাশের পথে এগিয়ে নিতে পারে বটে কিন্তু অসুস্থ্য অবস্থায় নিজ চেষ্টায় সুস্থ্য হতে পারে না। জীবনীশক্তি কেবল রোগ লক্ষনের মাধ্যমে বুদ্ধিমান চিকিৎসকের সাহাায্য চায়। তার সৃষ্ট দেহের সকল পরিবর্তন এবং লক্ষণ সমূহ স্বয়ং ব্যাধি। জীবনীশক্তি কখনো একাকী কোন প্রাকৃতিক ব্যাধি অপসারণ করতে পারে না। দৃটি ব্যাধি প্রকারে পৃথক হয়ে যদি সদৃশ হয় তাহলে সবল ব্যাধি দুর্বল ব্যাধিকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করে যেমন দিনের আলো আর রাত্রের আলো এক না, সকলেই বুঝতে পারে, দুটোই আলো সদৃশ্য কিন্তু একটি অপরটিকে অপসারিত করে এটাই হোমিওপ্যাথি Differing in Kind Very similar to manifestation দুর্বোধ্য বলা যায়।

(১১) জীবনীশক্তির বিশেষ রুগ্ন, সুক্ষ্ম পরিবর্তনে সংঘটিত হয়ে অনুভূতি ও চলৎশক্তিতে প্রকাশিত হয়্ জীবনীশক্তি কৃত্রিম ব্যাধি লক্ষণ দ্বারা অধিকৃত হয়। প্রাকৃতিক দূর্বল লক্ষণ জীবনীশক্তিতে আর টিকে থাকে না। শাক্তিশালি কৃত্রিম ব্যাধি লক্ষণ শীঘ্রই এর ক্রিয়া নি:শেষ করে দেয় এবং রোগীকে রোগমুক্ত আরোগ্য অবস্থায় ত্যাগ করে। কেঁটে যাওয়া পুড়ে যাওয়া, আঘাত পাওয়া ছাড়া বাকী সকল রোগ জীবনীশক্তিতে সংক্রমিত হয়।

(১২) জীবনীশক্তির সংবেদনশীলতা এক রকম নয়। তবে মাত্রা ও শক্তির উপর সাড়া দেয়।

(১৩) জীবনীশক্তিতে সংক্রমিত হলে একটি সদৃশ উচ্চতর শক্তির সাহায্য নিতে হয়। যেমন বেলেডোনায় জ্বরে বিকার আছে দমন হবে কিন্তু প্রাকৃতিক ব্যাধির সদৃশ না হয় তবে জ্বরে অন্যান্য লক্ষণবৃদ্ধি পাবে। আপনি জ্বর দমন করতে পারবেন না, বরং রোগীকেই দমিয়ে দিবেন (ডা. কেন্ট) অভিজ্ঞদের নিকট থেকে ছাত্র-ছত্রীদের শিখতে হবে।

(১৪) প্রতিকুল শক্তির প্রভাবে আমাদের জীবনীশক্তি পীড়িত হয়। আমাদের দেহের চালক আত্মা সদৃশ জীবনীশক্তি। এ অদৃশ্য জীবনীশক্তি স্বাধীন, স্বেচ্ছাচারী সংবেদনশীল এবং অভিযোজ্য। রোগ বলতে কেবল মাত্র অদৃশ্যভাবে সংঘটিত জীবনীশক্তির সূক্ষ্ম বিশৃঙ্খল এর ব্যাখ্যায় ডা. রেজাউল করিম জীবনীশক্তির সংবেদনশীলতার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন যা পড়তে হবে বুঝতে হবে ইত্যাদি, তবেই আপনি হোমিওপ্যাথ অন্যথায় মূল্যহীন বা Half Homeopath.

(১৫) জীবনী শক্তির ক্ষমতাকে প্রতিরোধ শক্তি বলে। সংবেদনশীলতা শূন্যের কোঠায় থাকে ততক্ষণ প্রতিরোধ শক্তি অটুট থাকে।

(১৬) জীবনীশক্তির Susceptibility বা সংবেদনশীলতা রোগীর সংবেদনশীলতা রোগের কারণ বলেই রোগীর সব কিছু জানতে হয়। পলকা দিয়ে জালের মাছ বেরিয়ে যায় অর্থাৎ দেহের বংশগত ইতিহাস, স্বভাব চরিত্র, চিন্তাভাবনা, মানসিক ইচ্ছা অনিচ্ছা, আন্ত্রিক আকাঙ্খা অনাকাঙ্খা, বংশগত রোগ প্রবণতা, রোগীর সেক্স, বয়স, মায়াজম, অসহিষ্ণুতা, হ্রাস-বৃদ্ধির কারণ, সময়, অবস্থা, রোগের উত্তেজক কারণ সমূহ রোগের আকৃতি, প্রকৃতি, গভীরতা ও প্রবণতা ইত্যাদি জীবনীশক্তিকে লক্ষ্মণাকারে সব কিছু প্রকাশ করে। হোমিওতে অর্গাননে জীবনীশক্তির শক্তি লক্ষণ প্রকাশ একমাত্র কাজ যা ডা. হ্যানিম্যানের আবিস্কার। উপরন্তু রোগের ফল, রোগের কারণ হতে পারে না। ফল কারণকে অনুসরণ করে কারণ কখনো ফলকে অনুসরণ করে না।

(১৭) জীবনীশক্তিতে বিশুদ্ধভাবে সূক্ষ্ম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী একটি অদৃশ্যশক্তি, তাই সূক্ষ্ম মানবদেহে সদৃশ কৃত্রিম রোগলক্ষণ উৎপাদন করতে সক্ষম, এমন একটি ঔষধ হোমিওপ্যাথি নিজস্ব প্রণালীতে শক্তি বৃদ্ধি করে সূক্ষ্ম মাত্রায় রোগীকে দিলে তা রোগশক্তির সাদৃশ্যহেতু ব্যাধির মতোই অদৃশ্যভাবে জীবনীশক্তির অনুভূতি অধিকার করে এবং জীবনীশক্তিকে প্রাকৃতিক ব্যাধির দখলমুক্ত করে স্বাধীনভাবে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়। জীবনীশক্তির এরুপ প্রতিক্রিয়া দ্বারা আরোগ্য সংঘটিত হয়।

(১৮) মানুষ যে সকল পীড়ায় আক্রান্ত হয় তা হয়তো অস্বাভাবিকভাবে বিশৃঙ্খলিত জীবনীশক্তির ত্বরিত রোগজ প্রক্রিয়া । জীবনীশক্তি নামে অভিহিত সংক্রিয় প্রাণশক্তি যার কাজ স্বাস্থ্য রক্ষা করা। জীবনীশক্তি নিজ চেষ্টায় কখনো এসব রোগের প্রভাবমুক্ত হতে পারে না, কিংবা এসব রোগ কখনো আপনিতেও কখনো দূর হয় না। এদেরকে চিররোগ বলা হয়। এরা আমরণ সংগের সাথী।

(১৯) প্রাকৃতিক ব্যাধি কখনো মানুষের ভিতরে বা বাহিরে কোন স্থানে অবস্থিত কোন অস্বাস্থ্যকর বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয় না ( সূত্র ১১-১৩) কিন্তু এমন কিছু হিসাবে বিবেচনা করা হয় যা আত্মা-সদৃশ (কল্পনা সয়ক্রান্ত) প্রতিকূল শক্তি কর্তৃক উৎপন্ন, এক প্রকার সংক্রমনের মতো (১১ নম্বর সূত্রের পাদটীকা) দেহাভ্যন্তরীণ আত্মা-সদৃশ ( কল্পনাসংক্রান্ত) জীবনীশক্তির স্বাধীন অস্তিত্বে বিঘ্ন ঘটায়, দুষ্ট শক্তি হিসেবে এক যন্ত্রনা দেয় এবং একে বাধ্য করে নির্দিষ্ট রোগযন্ত্রনা উৎপাদন করতে এবং এর নিয়মিত জীবন প্রক্রিয়ায় বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করে। নিদিষ্ট রোগ যন্ত্রণা উৎপাদন করতে এবং নিয়মিত জীবন প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এগুলোই লক্ষণ (ব্যাধি) হিসাবে পরিচিত। যদি, এখন এ প্রতিকূল শক্তির প্রভাব যা শুধু বিশৃংঙখলা সৃষ্টি করে না বরং তা অব্যহত রাখতেও কঠোর প্রচেষ্টা চালায়, তা যদি ভিতর থেকে দূর হয়, যখন একজন চিকিৎসক সর্বাধিক সদৃশভাবে জীবনীশক্তিকে পরিবর্তন করার যোগ্য একটি কৃত্রিম শক্তি ( একটি হোমিওপ্যাথি ঔষধ ) প্রয়োগ করে ইত্যাদি।

(২০) ঔষধ শক্তি প্রকৃতপক্ষেই বলপূর্বক রোগীর জীবনীশক্তির স্থান দখল করে নেয়। অন্য কোন ঔষধীয় লক্ষণ উৎপাদন করতে পারে না।

(২১) রোগীর লক্ষণে জীবনীশক্তি ছদ্মবেশী এবং প্রচ্ছন্ন লক্ষণ প্রকাশ করে, এক লক্ষণ বিশিষ্ট ব্যাধি কখনো আরোগ্য করা যায় না।

(২২) অনূরূপ অবস্থা যুবক বয়স পর্যন্ত রোগীদের ঔষধ সৃষ্ট ব্যাধি আরোগ্য করা সম্ভব এবং যদি জীবনীশক্তি এরূপ ক্ষতিকর কার্য দ্বারা আগেই দূর্বল না হয়ে থাকে এবং যদি জীবনীশক্তি এ বিশাল কাজে নির্বিঘেœ কয়েকটি বছর উৎসর্গ করতে পারে (২,৩,৪ বছর)।

(২৩) রোগীর জীবনীশক্তি দূর্বল হলে বাস্তবিক পক্ষে কোন নির্ভরযোগ্য লক্ষণ খুঁজে পাওয়া যায়না, কারণ জীবনী শক্তি কোন লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে না। অপরদিকে জীবনীশক্তি দূর্বল হলে নির্বাচিত ঔষধের প্রতি যথার্থ সারা দিতে পারে না। ডা. কেন্ট এর মতে মানুষ নিরূপায় হয় যখন জীবনীশক্তি সারা না দেয়। জীবনীশক্তি আমাদের সুস্থ রাখে, সে অসুস্থ হলে লক্ষন প্রকাশ করে, আবার যথার্থ সাহায্যের মাধ্যমে সেই আমাদের সুস্থ করে তোলে।

(২৪) প্রত্যেকটি উপাদান যা জীবনীশক্তির উপর ক্রিয়া করে, প্রত্যেকটি ঔষধ কম বেশি জীবনীশক্তিকে বিশৃঙ্খলিত করে এবং প্রত্যেক ব্যক্তির স্বাস্থ্যে নির্দিষ্ট পরিবর্তন ঘটায় দীর্ঘ অথবা স্বল্প সময়ের জন্য একে মুখ্য ক্রিয়া বলে। অনুরূপভাবেও জীবনীশক্তির গৌণ ক্রিয়াও দেখা যায়। ঔষধের গৌণ ক্রিয়া মূলত জীবনীশক্তির প্রতিক্রিয়া। জীবনীশক্তি ঔষধের মূখ্য ক্রিয়ার বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া করে বলেই গৌণ ক্রিয়া সর্বদা বিপরীত হয়, এভাবেই অর্গানন এর সংগে জীবনীশক্তি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। অর্গনন আসলেই দুর্বোধ্য কারণ একটাই জীবনীশক্তির বহুবিধ শাখা-প্রশাখার জ্ঞান অর্জন করতেই জীবনের এবং যৌবনের মুল্যবান সময় পার হয়ে যায়।

হোমিওপ্যাথিতে অর্গানন আছে অনেকেই জানেন না, অর্গাননে জীবনীশক্তি আছে তাও জানেন না। কিন্তু পেটে পাঁথর বের করতে পারেন জীবনীশক্তি না বুঝে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মতো ইহাতে এই প্যাথির অবমুল্যায়ন করা হয় মাত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!