খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাৎ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাজধানীর সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া’র সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
এর আগে বিকেলে গুলশানের বাসা থেকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছান খালেদা জিয়া। গাড়ি থেকে নেমে হুইলচেয়ারে বসে অনুষ্ঠানস্থলে যান তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম ১৯৭১ সালের রণক্ষেত্রে। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনীর সঙ্গে নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিল বলে ২১ নভেম্বরকে মুক্তিযুদ্ধের একটি মাইলফলক হিসেবে গৌরবের সঙ্গে পালন করা হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সংগ্রামের সূচনা ঘটে ২৫ মার্চের রাত থেকেই। যদি বিজয় অর্জন না হতো, তাহলে এই বীর সেনাদের মৃত্যুদণ্ড ছিল অনিবার্য। অসহনীয় হয়ে যেত তাঁদের পরিবারের সব সদস্যের জীবন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান ১৬ ডিসেম্বরে স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় এনে দিয়েছিল। ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছানোর পর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস একান্তে কয়েক মিনিট কথা বলেন। পরে তাঁরা মূল অনুষ্ঠানস্থলে যান। সেখানে পাশাপাশি আসনে বসে প্রধান উপদেষ্টা এবং খালেদা জিয়াকে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায়। এক বছর পর আবারও সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে গেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাঁর সুস্থতা কামনা করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সহধর্মিণী আফরোজা ইউনূসের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। এ সময় খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

