আদালত কক্ষেই বিচারক গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

হত্যা মামলার আসামিদের সাব্যস্ত করার শক্ত কোনো প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও ওপরের নির্দেশ ছিল- শাস্তি দিতেই হবে অভিযুক্তদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাপ উপেক্ষা করেই আসামিদের বেকসুর খালাস দিলেন বিচারক। এরপর ন্যায়বিচারে বাধা দেয়ার প্রতিবাদ জানালেন সঙ্গে সঙ্গেই।

এজলাসে বসেই পকেট থেকে পিস্তলটি বের করলেন। নিজের বুকেই গুলি চালালেন তিনি। দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ইয়ালা আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ঘটে ঘটনাটি। এ ঘটনার পর দ্রুত বিচারককে হাসপাতালে নেয়া হয়। অপারেশনের পর বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।

নিজের বুকে গুলি চালানোর আগে বিচারক খানাকর্নের লেখা এক বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিবৃতি থেকে জানা গেছে, তিনি যে মামলার শুনানি করছিলেন তা জাতীয় নিরাপত্তা এবং গোপন সংগঠন, ষড়যন্ত্র ও অস্ত্র বিষয়ক। থানাকর্নের দাবি, মামলায় রায় নিয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারকদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়।

প্রমাণের অভাবে পাঁচ অভিযুক্তকে খালাস দিতে চেয়েছিলেন খানাকর্ন। তবে জ্যেষ্ঠ বিচারকেরা তাকে তিন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকি দুই জনকে কারাদণ্ড দিতে চাপ দেয় বলে ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে অন্যান্য অধস্তন বিচারকদের সঙ্গেও একই আচরণ করা হচ্ছে যেমনটি আমার সঙ্গে হয়েছে। আমি (যদি) আমার শপথ না রাখতে পারি, তাহলে সম্মান ছাড়া বাঁচার চেয়ে আমি মরে যাবো’।

শুক্রবার রাতের পর ফেসবুকে আর ওই বিবৃতিটি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট। তবে বিবৃতিটি সামনে আসার পর থাইল্যান্ডের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, জ্যেষ্ঠ বিচারকেরা রাজনৈতিক উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রায় পাল্টে দিচ্ছে।

থাই বিচার বিভাগের এক মুখপাত্র ব্যাংকক পোস্টের কাছে দাবি করেছেন, খানাকর্ন দৃশ্যত নিজেকে গুলি করেছেন কারণ তার ব্যক্তিগত সমস্যা ছিলো আর তিনি চাপে ছিলেন। তবে দেশটির রাজনৈতিক দল ফিউচার ফরোয়ার্ড পার্টির সাধারণ সম্পাদক পিয়াবুতর সায়েংকানোক্কুল বলেছেন, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই আদালত ব্যবস্থার সংকটকে প্রকাশ্যে আনার চেষ্টায় ছিলেন খানাকর্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!