গোপালপুরে বিদ্যালয় মাঠে কলাই চাষ শিক্ষার্থীদের ক্রিড়াচর্চা বন্ধ

 

 

 

মো. সেলিম হোসেন, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে একটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কলাই চাষ করায় শিক্ষার্থীদের ক্রিড়া চর্চা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে, এলাকাবাসীর মনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মোহনপুর পাবলিক বিদ্যালয়ের এক একর ৫৭ শতাংশের একটি খেলার মাঠ রয়েছে। কিন্তু, সেখানে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার পরিবেশ তৈরি না করে চাষাবাদের জন্য মাঠটি বর্গা দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে ঐ বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, বহু পুরোনো এই খেলার মাঠটি এক সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও এলাকার ছেলেরা নিয়মিত খেলাধূলা করত। রোজ বিকাল বেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত দর্শক এসে খেলা দেখত। এখন ঔ মাঠে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সহযোগিতায় চাষাবাদ শুরু করেছেন। মাঠে মাসকলাইয়ের চাষ শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সকল ধরনের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মাঠ রক্ষার অজুহাতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আব্দুল বাছেদের কাছে বর্গা দিয়েছেন। পরে ওই বর্গাচাষী মাঠের চারিদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাঠে মাসকলাই চাষ শুরু করেছেন। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকল ধরনের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রধান শিক্ষকের সাথে আলোচনা করে স্কুলের মাঠ বর্গা দিয়েছেন । এখন সেখানে বাঁশের বেড়া দেয়ায় যাতাযাতে সমস্যা হচ্ছে। মাঠে চাষাবাদ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না।
মোহনপুর পাবলিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক জানান, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খেলার মাঠে কলাই চাষ শুরু হয়েছে। মাঠটি বন্যার পানিতে ডুবে ছিল। মাঠটির জন্য এ যাবৎ কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

মোহনপুর পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মোহনপুর সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) আশরাফুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়ের মাঠটি পানিতে ডুবে ছিল। এলাকার বালু ব্যবসায়ী ও কিছু লোকজন মাঠ দখল করে পরিবহন যাতায়াতের পথ তৈরি করায় মাঠটি আরো নষ্ট হয়ে পড়ে। মাঠটি রক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে একজন বর্গাচাষীকে দিয়ে মাঠে কালাই চাষ করা হচ্ছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কবির জানান, ‘বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠ রক্ষার জন্য সাময়িকভাবে কালাই চাষ করা হচ্ছে বলে জেনেছি। তবে কালাই চাষ শেষ হওয়ার পর মাঠে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারবে।’


  • কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!