ঘাটাইলে ১ কোটি ৪২ লক্ষ বরাদ্দের রাস্তার কাজ হচ্ছে ভাঙ্গা আদল দিয়ে

 

 

 

 

এম.এস.এস.সৌরভ, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় রসুলপুর ইউনিয়নে সানবান্ধা রাস্তা নির্মানের কাজে  ইটভাটার বাতিলকৃত   (ভাঙ্গা আদলা) ইটের খোয়া এবং নির্মানের ভিটবালু ও নামে মাত্র খোয়া দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদার জলিল ট্রেডার্সের এসব অনিয়মের বিষয়ে একাধিক অভিযোগ দিলেও কোন মাথা ব্যাথা নেই উপজেলা প্রকৌশলীর। ফলে এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
অফিস ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের লক্ষিন্দর গ্রামে এলজিইডির অর্থায়নে সানবান্ধা পাকা রাস্তা হতে সিদ্দিখালী বাজার পর্যন্ত ২.৩ কিঃ কাঁচা রাস্তা বিধি অনুযায়ী পাকা করতে ঠিকাদার জলিল ট্রেডার্স এর নামে ১ কোটি ৪২ লক্ষ বরাদ্দ পায়। সে অনুযায়ী ঠিকাদার রাস্তার মাটি খুঁড়ে বিধি অনুযায়ী বক্স করে ১নং ভিট বালু দিয়ে ১০ ইঞ্চি বালুর ফিলিং কাজ করার কথা। সেই সাথে  বালুর ফিলিং এর উপর ম্যাকাডাম করতে ১নং পিকেট ইটের খোয়া ও সমপরিমাণ বালু দিয়ে ১ ফুট উঁচু করার কথা। গত ২০ ও ২৩ মে সরেজমিনে দেখা যায় নিয়মের সাথে কাজের কোন মিল পাওয় যায় নাই। ঠিকাদার আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভিট বালুর পরিবর্তে চিকন দানার বেলে মাটি দিয়ে বালু ফিলিং এর কাজ শেষ দিয়েছে এবং ১নং পিকেট ইটের খোয়া দিয়ে বালুর উপরে ম্যাকাডামের কাজ করার কথা থাকলেও  ইটভাটার বাতিলকৃত ২নং এবং ৩নং ভাঙ্গা ইটের আদলা খোয়া দিয়ে কাজ করছে। সেই সাথে বালু এবং খোয়া সমপরিমাণ দেওয়া কথা থাকলেও-দুই ভাগ নির্মানের ভিট বালু এবং একভাগ আদলা ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তা মেকাডমের কাজ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান যে নিয়মে ইট বালু দিয়ে কাজ করছে তাতে ভারী যানবাহনের চাপ পড়লে রাস্তা অল্প দিনেই দেবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার জলিল ট্রেডার্সের ম্যানেজার লক্ষিন্দর গ্রামের শাহজাহানের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি ১ নাম্বার ২ নাম্বার বুঝিনা যা করছি সব ১ নাম্বার।
নির্মানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী তোরাব আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলো তিনি বলেন, রাস্তার কাজে ১নং ইট-বালি ছাড়া ঠিকাদারকে কাজ করতে দেয়া হবে না। আমাদের অজান্তে কোন দুই নাম্বার সামগ্রী নিয়ে থাকলে তা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
রাস্তা নির্মাণের কাজে নির্মানের সামগ্রী ব্যবহার করার বিষয়ে ঠিকাদার আঃ জলিল এর নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সবাই যে নিয়মে কাজ করছে আমিও সেই নিয়মেই কাজ করছি। আদলা ইটের খোয়া থাকলেও এর চাইতে ভাল ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। প্রয়োজনে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেব।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী হেদায়েত উল্ল্যাহ নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন-আমার লোক প্রকল্প কাজে গিয়েছিল, আদলা টেস্টে পাঠিয়েছি। টেস্টে না টিকলে কাজ বন্ধ করে দেব।

 

  • কাগজটুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!