অর্থবহ জাতীয় নির্বাচনের প্রত্যাশায়

 

 

অর্থবহ জাতীয় নির্বাচনের প্রত্যাশায়

(সিডনীর কথকথা-১)
রণেশ মৈত্র (সিডনী থেকে)
সভাপতি মন্ডলীর সদস, ঐক্য ন্যাপ

বিগত ১৬ জানুয়ারী ১৮ দুপুর রাতে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে রওনা হয়ে পরদিন রাত প্রায় ১২ টায় সস্ত্রীক সিডনী পৌঁছেছি। এবার সঙ্গে পূরবী ছাড়াও কণিষ্ঠ পুত্র প্রলয়ও এসেছিল মাত্র তিন সপ্তাহের জন্য। প্রলয় চলে যাবে সীঘ্রই আমরা দু’জন থেকে যাব এ বছরটা। এবারই হবে আমাদের পঞ্চম দফা অষ্ট্রেলিয়া সফর। অত:পর আর বিদেশ সফরের ইচ্ছে নেই। পিতৃভূমি পাবনাতেই থেকে যাব বাকী জীবনটা।

এবারের আসার বিশেষ আকর্ষণ ও অনিবার্যতা ছিল আমাদের বড় নাতনী ঈহিতার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদান। অপূর্ব অনুষ্ঠানমালা দিয়ে সাজানো এই বিয়েটা না দেখতে পেলে অনেক কিছুই হারাতাম যেন। তাই দর্শক হলেও অনুষ্ঠানাদি শেষ না করে লেখালেখিতে হাত দেই নি। দু’সপ্তাহেরও বেশী। সে কারনেই দেশের পাঠক-পাঠিকাদের কাছে ছিল আমার অাকস্মাৎ দীর্ঘ অনুপস্থিতি। তবে নিশ্চয়তা নেই-নিয়মিত লেখা সম্ভব হবে কি না আগের মত।

আজকের এই নিবন্ধের বিষয়ব আসন্ন জাতীয় নির্বাচন। তাই সেই প্রসঙ্গেই ফিরে যাই।

অতীতে একবার বা দুবার এই নির্বাচন নিয়ে লিখেছিলাম। তখনও নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির সাথে সংলাপ শুরু করেন নি। ইতোমধে সেই সংলাপ শেষ হয়েছে। অনেক ̧গুলি নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হওয়ার জন্যে নির্বাচন কমিশনে তাঁদের আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন – কাকে কাকে নিবন্ধন দেওয়া হবে তা আজও অবশ্য জানা যায় নি।

যা হোক, বড় বড় রাজনৈতিক দল যাঁরা ক্ষমতায় আছেন বা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে চান তাঁদের সক্রিয়তা চোখে পড়ার মত। যদিও মামলা মোকর্দমার জর্জরিত বি.এন.পি অনেকটাই যেন হতবিল্বম ও শক্তিহীন জামায়াতে ইসলামী দলটি বিষ্ময়করভাবে আজও বে-আইনী ঘোষিত হয় নি বলে তারা দলীয় ভাবে আজও বি.এন.পি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোটে অনুষ্ঠানিকভাবেই থাকতে পারছে। তবে যেহেতু তারা নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারিয়েছে তাই হয়তো তারা দঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। তাই ধানের শীষ প্রতীক নিয়েই তারা নির্বাচন লড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হয়।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে সকল দলই ইচ্ছুক। কিন্তু যে নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ।

অংশগ্রহনকারী দলগুলিকে নির্বাচনের সকল সুযোগ-সুবিধা সমভাবে দিতে হবে, এমন দাবীও সংলাপে সকল দলাই তুলে ধরেছেন।

কিছুদিন দিব্যি বিতর্ক চললো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের অংশ নেওয়া না নেওয়া নিয়ে। সরকারী দলের সবাই এক বাক্যে বলেছেন-শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বি.এন.পি বলেছে, তাঁর নেতৃত্বে নির্বাচন হলে তা নিরপেক্ষ হবে না এবং ফলে ঐ নর্বিাচনে তাঁদের অংশগ্রহণ হবে অনিশ্চিত। তাঁরা নির্বাচনের পূর্বে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের প্রত্যাশী বলে দাবী করেছেন কিন্তু তার কোন স্পষ্ট রূপরেখা বি.এন.পি আজও তুলে ধরতে পারে নি।

কিন্তু এ বিতর্ক অহেতুক তিক্ততাই সৃষ্টি করে মাত্র। স্পষ্ট কথা হলো নির্বাচন হতে হবে পূরোদস্তুর নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তাই নির্বাচন পরিচালনায় সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতা অবশ্যই ঐ কমিশনের হাতে থাকতে হবে।

সেক্ষেত্রে আইন কানুনের কোন ঘাটতি থেকে থাকলে অবশ ̈ই দধুত তার অবসান ঘটাতে হবে। প্রয়োজনে আইনের সংশোধন-সংযোজন করে নিতে হবে অবিলম্বে।

মন্ত্রণালয়গুলি কতিপয় দিক – যেমন ̄^রাষ্টধ জনপ্রশাসন অপরাপর সকল ক্ষমাত  রংকুশাভাবে অবশ ̈ই নির্বাচন কমিশনের হাতে ন ̈ ̄Í করতে হবে। এক্ষেত্রে সামান ̈তম সংশয় সৃষ্টি হওয়ার সুযোগও যেন আদৌ না থাকে।

নির্বাচনের প্রচারনা আমাদের মিডিয়াগুলিতে পূরোপূরিভাবে দুটি বড় দলের মধে ̈ সীমাবদ্ধ থাকে। এ অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। তাই অংশগ্রহণকারী সকল দলের জন ̈ প্রতিদিন  বাদপত্রসমূহে ও বেতার টেলিভিশনে সমান সময় ও সেপস নির্ধারিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। দলীয় প্রধানসহ সকল নেতা নেত্রীদের ব৩ব ̈ই গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করার জন ̈ নির্বাচন কমিশন মিডিয়াগুলিকে আবেদন জানাতে পারবেন।

নির্বাচনে কাল টাকার বন ̈া বইতে থাকে। এগুলো চলে ধর্মের নামে সূক্ষè প্রচারনাও। নেমে আসে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ ̈ালঘু সম্পধদায়গুলির উপর নির্য ̈াতন। ফলে নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হয় না। এ ক্ষেত্রে কঠোরভাবে টাকার মেলা, পেশী শ৩ির ব ̈বহার, ধর্মের নামে প্রচারণা ও সংখ ̈ালঘু নির্য ̈াতন অবশ ̈ই বন্ধ করতে হবে। কোথাও এমন কোন ঘটনা ঘটলে তা প্রতিরোধে কার্য ̈কর ব ̈ব ̄’া নির্বাচন কমিশনকে তাৎক্ষণিকভাবেই নিতে হবে। এ ব ̈াপারে কালবিলম্ব হলে পরবর্তীতে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার পথে অনেক অনাকাংখিত বাধা-বিঘেœর সম্মুখীন হতে পারে।

নির্বাচনী শাি ̄Íযোগ ̈ অপরাধ সমূহ ও তার জনে ̈ নির্ধারিত শাি ̄Íর মেয়াদ অবশ ̈ই বাড়ানো উচিত। তার প্রয়োগ ও বা ̄Íবায়নও কঠোরভাবে করা প্রয়োজন।

যেমন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল যদি নির্বাচনী বুথে বা নির্দিষ্ট কেন্দেধ মারামারি করে, ব ̈ালটপেপার ছিনতাই করে বা প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের পোলিং এজেন্টকে বুথ থেকে জোর করে বের করে দেয় সেগুলি যেমন মারাত্মক অপরাধ-তেমনই আবার ধর্মের নামে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো বা লৈ১ি⁄২ক ভিন্নতাকে টেনে এসে কোন প্রার্থীর বিরোধিতা করে প্রচার-প্রচারণা চালানো বা ভয়-ভীতি হুমকি দেখিয়ে প্রার্থীবিশেষকে ভোট দিতে বা না দিতে বলা বা বাধ ̈ করা কিংবা নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর এক মাসে পর্য ̈ন্ত ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ ̈ালঘুদের প্রতি সহিংস আμমণের অভিজ্ঞতা থেকে এখন এগুলিকে অধিকতর গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ ̈ করে একদিকে তার জন ̈ কঠোরতর শাি ̄Íর বিধান আইনের সং ̄‹ারের মাধ ̈মে করে তা বা ̄Íবায়নে নিশ্চয়তা বিধান করার সাথে সাথে ঐ আইন বা ̄Íবায়নে যে কোন ব ̈৩ির সৈথিল ̈ বা সময় ক্ষেপনও সমতুল ̈ অপরাধ বলে গণ ̈ করা হোক। ভূ৩ভোগীরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবী ̧লি উত্থাপন করে এলেও তার প্রতি কোনপ্রকার কর্ণপাত না করায় সংশ্লিষ্টদের মনে নির্বাচন সম্পর্কে এক ধরণের ভীতি বাসা বেঁধেছে যা অবিলম্বে দূরীভূত করা সুষ্ঠু নির্বাচনের ̄^ার্থে অত ̈ান্ত জরুরী।

এ জাতীয় অপরাধ সম্পর্কে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দেধর কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিসার, থানা কর্তৃপক্ষ পুলিশ সুপার এঁদের সকলের কাছেই পাঠানোর বিধান রাখা স১⁄২ীত। যাতে অভিযোগটি পাওয়া যায় নি এমন কথা বলা না যায়।

তদুপরি, বিশেষ পরিি ̄’তিে ভোটগ্রহণ ̄’গিত ঘোষনার ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দেধর প্রধানকর্মকর্তার হাতে থাকাও বাঞ্ছনীয়।

ভোট গণনা সুরু হওয়ার পর তা কোনμমে ̄’গিত ঘোষণা করা বা বিরতি দেওয়া বে-আইনী এমন
বিধানও রাখাতে হবে।

ভোট দেওয়া না দেওয়া আমাদের দেশে সংশ্লিষ্ট বোটারের ব ̈৩িগত অধিকার হিসেবে বিবেচিত। আবর অস্টেধলিয়ান প্রতে ̈ক নাগরিকের জন ̈ ভোট প্রদানি বাধ ̈তামূলক। অবশ ̈ গুরুতর অসু ̄’তা, সামরিকভাবে ভিন্ন দেশে অব ̄’ান প্রভ…তি জাতীয় প্রতিবন্ধকতা ( যা আবার প্রমাণ করতে হয়) না থাকলে। সেখানে ভোটের দিন ছুটিও ঘোষণা করা হয় না তবে ভোট দানের জন ̈ কিছুটা সময় দেওয়া হয় প্রতে ̈ককে। যা হোক, আমাদের দেশেও ভোটদান বাধ ̈তামূলক করা উচিত এবং ভোট দানের ক্ষেত্রে কোনপ্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচনা করে তা কঠোর শাি ̄Íযোগ ̈ হিসেবে কার্যকরও করা উচিৎ।

কিন্তু অর্থবহ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিকাশ ও তার প্রাস১ি⁄২কতা নির্ভর করে রাজনৈতিক দলগুলির উপর বহুলাংশে প্রথমত: দলগুলির আভ ̈ন্তরীন গণতন্ত্র কঠোরভাবে চর্চিত হওয়া প্রয়োজন এবং এ ব ̈াপারে দলগুলির গঠনতন্ত্রে উপযু৩ সং ̄‹ারও প্রয়োজন। তদুপরি, নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করতে হলে শুধুমাত্র আইন নয় তার সাথে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ধনী, ব ̈বসায়ী, শিল্পপতি প্রভ…তিকে পরিহার করে দরিদধ দেশপ্রেমিক সৎরাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদেরকে প্রাধান ̈ দিতে হবে। ১৫ আগষ্টের পূর্ব পর্য ̈ন্ত আমাদের দেশে তাই হতো। জিয়ার আমলে ঐ প্রথা বদলে দিয়ে ধনীদেরকে প্রাধান ̈ দেওয়া সুরু হয় এবং এখন ঐ রোগ পধধান বড় দলগুলিতে ব ̈াপকভাবে সংμমিত হয়েছে। কার্য ̈কর ভাবে এই প্রথা বন্ধের উদে ̈াগ এখুনি নিতে হবে।

সামাজকর্মী, শিক্ষক, ক্ষুদধ ব ̈বসায়ী, ক্ষুদধ শিল্পতি এবং অনুরূপ সামাজিক ̄Íর থেকে আসা রাজনৈতিক কর্মীদেরকে মনোনীত করলে সংসদ জনগণের সংসদে পরিণত হতে পারে। বর্তমানে আমরা সংসদিয় গণতন্ত্র ব ̈ব ̄’া পুনরুদ্ধার করেছি বটে কিন্তু সংসদকে জনগণের সংসদে পরিণত করতে আজও পারিনি। সেখানে দরিদধ, শোষিত জনগণের সমস ̈া আলোচনা তো দূরের কথা, উত্থাপিত কোন বিল এর উপর তার ভাল মন্দ-নানা দিক
নিয়ে কোন আলোচনাও সংসদে হয় না। বিল উত্থাপন হতে না হতেই তা কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়। তদুপরি কোন সংসদ সদস ̈ দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তাঁর সদস ̈ পদ থাকবে না মর্মে যে আইন আছে তার ফলেও সংসদে কোন বিষয়ে আলোচনা হয় না। দলীয় প্রধান যা বলে দেন চোখ বুঁজে সবাই তার সপক্ষে হাত তুলে তা পাস করে দেন। ফলে আমাদের সংসদ সরব হতে পারে না। অথচ গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে সরব সংসদের বিকল্প নেই তাই এ ব ̈াপারেও প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা জরুরী। শুধুমাত্র সরকারের প্রতি কেউ অনা ̄’া প্র ̄Íাব আনলে
সেক্ষেত্রেই এমন ব ̈ব ̄’া রাখা যেতে পারে।

জনগণের সংসদ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জনগণেরও অতন্দধ প্রহরীর ভূমিকায় নামতে হবে। সাৎ বাঁধা ভাবে “মার্কা” বা “প্রতীক” দেখে ভোট দেওয়ার রেওয়াজ পাল্টাতে হবে। প্রার্থীটি কেমন-যোগ ̈ কি না সৎ কিনা গরীব ও নির্য ̈াতীত মানুষের পক্ষে কি না-তাঁদের ̄^ার্থে লড়াই করার ঐতিহ ̈ আছে কি না অসম্পধদায়িক চেতনার অধিকারী কিনা সেগুলি সম্পর্কে অবহিত হয়ে ঐ গুণাবলী বা তার বেশির ভাগ যাঁরা আছে তাঁকে ভোট দেওয়ার রেওয়াজ চালু করা অপরিহার্য ̈। ভোটদানের ক্ষেত্রে প্রাস১ি⁄২ক নয় প্রাস১ি⁄২ক হলো জনগণ, জনগণের ও দেশের ^ার্থ। “অমুককেই তো ভোট দিতাম কারণ উনি যোগ ̈। কিন্তু উনি যদি অমুক প্রতীক নিয়ে দাঁড়াতেন তবে অবশ ̈ই ভোট দিতাম। তা না হওয়াতে ওনাকে ভোট দিলে ভোটটাই নষ্ট হবে” এমন মানষিকতা ছাড়তে হবে।

কারণ যোগ ̈ লোককে ভোট দেওয়ার জন ̈ই তো নির্বাচন – তাঁকে ভোট না দিলেই ভোট নষ্ট হয় ভোটারদের এই কথাটি বুঝা দরকার।

 


 

 

  • প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

 

কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!