ঘাটাইলে বেড়েই চলছে জ্বরের রোগী

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর ও মাথাব্যথায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকদের চেম্বারে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নিলেও আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে কারও আগ্রহ নেই।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ বাড়িঘরেই সর্দি-কাশি, জ্বর ও মাথাব্যথার রোগী রয়েছেন। বাড়িঘরের একজন এসব রোগে আক্রান্ত হলে পর্যায়ক্রমে পুরো বাড়ির মানুষজন আক্রান্ত হচ্ছেন।

লক্ষিন্দর আকন্দেরবাইদ এলাকার শফিকুল ইসলাম জানান, আমার এলাকার বেশির ভাগ মানুষ সর্দি, কাশি আর জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। আজ সকালে সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় আমার অসুস্থ মাকে প্রাইভেট ডাক্তার দেখাতে নিয়েছিলাম।

উপজেলার গারোবাজার এলাকার স্কুল শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, সম্প্রতি আমিসহ আমার স্ত্রী, বড় মেয়ে, ছোট ছেলে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলাম। পরে বাজারে এসে প্রাইভেট ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়েছি পরিবারের সবাই।

খাজনাগড়া এলাকার আয়তন খাতুন জানান, বাড়িতে মা প্রথমে সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হন। দুদিন থেকে তিনিও জরে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে প্রাইভেট ডাক্তারের ওষুধ খাচ্ছেন। করোনার নমুনা পরীক্ষা করাতে চান না তারা।

সাগরদিঘী পপুলার ক্লিনিকের চিকিৎসক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখন আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষজন। সব বয়সীরাই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এগুলোতে আবার করোনার নমুনার শঙ্কা থেকে যায়। তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিলে ভালো। তবে আগত রোগীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে আগ্রহ কম।

এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সাইফুর রহমান বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এ অবস্থায় সর্দি, কাশি, জ্বর ও মাথাব্যথায় রোগীরা আক্রান্ত হতে পারেন। তবে করোনার হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। এটি অনেকটা করোনা রোগের ধরণ। ভয়ের কোনো কারণ নেই। সঠিক সময়ে করোনার টিকা এবং নির্দিষ্ট নিয়মানুযায়ী জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই রোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!