নির্বাচনী আইন : প্রার্থী ও ভোটার: সেদিন ও আজ

নির্বাচনী আইন : প্রার্থী ও ভোটার: সেদিন ও আজ
সিডনীর কথকতা-৪৯
রণেশ মৈত্র (সিডনী থেকে)
সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ

বাংলাদেশের জনগণ ও সবগুলি বিরোধীদলের মাথায় যে বিষয়টি ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে কিনা সেই ভাবনাটি। কারণ সকলেরই উক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে-যেমনটি খোদ সামরিক শাসনামলের প্রহসনের নির্বাচনগুলিতেও ঘটে নি। অর্ধেকের বেশী আসনে বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় নির্বাচন কোনদিন কেউ দেখে নি-শুনিও নি। এক কথায় বলতে গেলে সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরে আসার পর যেই না হঠাৎ করে তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি উঠিয়ে দেওয়া হলো জনমনে সংশয়ের উৎপত্তি তখন থেকেই। আর তার চুড়ান্ত রূপটিই যেন ফুটে উঠেছিল ২০১৪র নির্বাচনে।

সংসদ ও মন্ত্রীসভা নির্বাচনী তফশীল ঘোষণার সাথে সাথে ভেঙ্গে দেওয়ার যৌক্তিক দাবীটি অস্বীকৃত হলো। ঐ সময় ঐ দুটি সংস্থা ভেঙ্গে দিয়ে তিন মাসের জন্য যাবতীয় নির্বাচনী দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর বর্তালে নির্বাচন কমিশন ও সম্ভাব্য তাবৎ চাপ ও ভয়ভীতিমুক্ত হয়ে বহুলাংশে সুষ্ঠ ও স্বাধীনভাবে আইন ও বিধি মোতাবেক জনমতের প্রতিফলন ঘটিয়ে নির্বাচনটিকে পরিচালনার সুষ্ঠ ও অনুকূল পরিবেশ পেতে পারেন-একথা সর্বজনবিদিত এবং সর্বজন স্বীকৃত ও বটে। কিন্তু তবুও দাবীটি না মানার ফলে সরকার আসন্ন ঐ নির্বাচনটি আদৌ নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হোক তা আন্তরিকভাবে চান কিনা তা নিয়ে গভীর সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

এই সংশয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নানাবিধ কাজ ও ভূমিকার মাধ্যমে কমাসের দায়িত্ব বলা ঠিক হয় নি। এ বিষয়ে তাঁর সাথে আমাদের কান কথা হয় নি। এ কথা সি.ই.সি নুরুল হুদা বললেও তিনি কিন্তু স্পষ্ট করে বললেন না যে ২৮ ডিসেম্বর নয়-অমুক দিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে অথবা একথাও তিনি বলেন নি যে কমিশনার আজও নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট কোন তারিখ সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নি। ফলে বুঝ হ সুজন মতই অবস্থা।

এতেই বুঝা যায়, নির্বাচনকালে একটি নতুন নিরপেক্ষ সরকার গঠন অথবা নির্বাচন কমিশন পুনগঠন করে তার ওপর নির্বাচন পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব অর্পণের দাবীটি কত বেশী যৌক্তিক। তদুপরি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সকল দলের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা কত বেশী কত বেশী যৌক্তিক।

তদুপরি বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র প্রকৃত প্রস্তাবে প্রতিষ্ঠা ও বিকশিত করতে হলে একটি ভাইভারেট (পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা মুখর) সংসদ অপরিহার্য্য। বর্তমানের মত কণ্ঠভোটে সব কিছু পাশ হওয়ার সংসদ ও শুধু সরকারি ও গৃহপালিত বিরোধীদলের সমবায়ে গঠিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিহীন সংসদ নয়।

তার জন্য নিম্নলিখিতবাবে আইনও বিধি সমূহ পরিবর্তনের সুপারিশ করছি:
এক. দ্রুত সংসদের বিশেষ জরুরী অধিবেশন ডেকে নির্বাচনের তিন মাস আগে সংসদ ও মন্ত্রীসভা আপনা আপনি বিলুপ্ত হবে অথবা তাদের প্রদত্যাগের বিধান সংবিধানে এনে সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনার সঠিক দায়িত্ব দেওয়া হোক;

দুই. রাজনৈতিক দল নিরন্ধন সংক্রান্ত বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক এবং অসময়োপযোগী হয়ে পড়ায় বার মাস নতুন দল রেটিষ্ট্রেশন (দরখাস্ত করার তিন মাসের মধ্যে) প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক। কারণ, সংসদীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে পাঁচ বছর অন্তর অন্তর নতুন দলের রেজিষ্ট্রেশন প্রদান আজ নিরর্থক হয়ে পড়েছে। প্রতিমাসেই যেখানে কোন না কোন নির্বাচন দেশের কোথাও না কোথাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে-যেমন সংসদের উপনির্বাচন, পৌর নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রভৃতি দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্য্যকর করাও হয়েছে-তখন নির্বাচনের নবগঠিত দলগুলি কেন শুধুমাত্র জাতীয় সংসদের আগে রেজিষ্ট্রেশন করার আইন আজও চালু থাকবে ? তাই সারা বছরই নতুন নতুন দলের রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা আজ সময়ের যৌক্তিকদাবী।

দুই. তদুপরি দলগুলির কোথায় কয়টা অফিস আছে কতজন সদস্য কতজন নারী সদস্য-কতভাগ ভোট পাবে-এগুলি নিবন্ধনের শর্ত হতে পারে না। একটি মাত্র শর্ত বাধ্যতামূলক ভাবে থাকতে হবে তা হলো নব গঠিত সংশ্লিষ্ট দলের গঠনতন্ত্রে মুক্তযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সুষ্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে কিনা এবং দলীয় সকল স্তরের কমিটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্বাচিত হতে হবে এমন বিধান আছে কিনা;

তিন. সংসদের ও সকল স্তরের নির্বাচন হতে হবে দলের নামে-প্রার্থীর নামে নয়। অর্থাৎ (……………)(আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা) চালু করা হোক এবং সে লক্ষ্যে সংবিধান দ্রুত সংশোধন করা হোক। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের মনোনীত প্রার্থীতালিকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দেবেন এবং শতকরা যতভাগ ভোট দলগুলি পেয়েছে সেই অনুপাতে প্রার্থী দলগুলি প্রদত্ত তালিকা থেকে বিজয়ী বলে ঘোষণা দেবেন।

চার. নারীর জন্য ৫০টি আসনের বিধান বাতিল করে সংসদ সদস্যদের সংখ্যা ৪০০তে উন্নীত করে নারীদের সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে এমন বিধান চালু করা হোক;

পাঁচ. দলীয় মনোনয়ন ফি অনুর্ধ ১,০০০/- টাকার বিধান করে বিধি-বিধান সংশোধন করা হোক;

ছয়. মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় প্রার্থীগণ তাঁদের সম্পদের যে বিবরণ দেবেন-নির্বাচন শেষে তার প্রতিটি বিবরণ দুদক তদন্ত করবেন এবং কারও দেওয়া তথ্য অসত্য হলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন। মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর সম্পদ বাজেয়াফত, সদস্য পদ বাতিল ও পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণার বিধান করা হোক;

সাত. নির্বাচনী ফলাফলের বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী আপী দায়ের করলে তা ৯০টি কার্যদিবসের মধ্যে অবশ্যই নিষ্পত্তি করতে হবে;

আট. সংবাদ মাধ্যমগুলি প্রতিদ্বন্দ্বী সকল দলের নির্বাচনী কর্মসূচী (ইশতেহার) ও নির্বাচনী তাবৎ প্রচারণা সম গুরুত্ব সহকারে প্রচার করবেন।

নয়. দলীয় প্রধান বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধি (সকল প্রতিদ্বন্দ্বী দলের) গণ-মাধ্যমসমূহে সাক্ষাৎকার দেবেন বা ভাষণ দেবেন এবং তা প্রতিটি সংবাদ মাধ্যম সমগুরুত্ব সহকারে অবশ্য প্রচার করবেন।

দলীয় প্রার্থীর যোগ্যতা
এবারে আসি নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রসঙ্গে। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের নিজ নিজ দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন দানে অধিকারী, সেহেতু তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিতে পরিপূর্ণভাবে অধিকারী।

কিন্তু যেহেতু তাঁরা সংসদ নামক রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সংস্থায় নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি পদে পর্যন্ত নির্বাচিত হতে পারবেন-তাই তাঁদের যোগ্যতা বিষয়ে জাতীয় স্বার্থে নিম্নোক্ত সংশোধন করা বিশেষ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মনে পড়ে যাচ্ছে ১৯৫৪ সাল, ১৯৭০ সাল ও ১৯৭৩ সালের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের কথা। আজ ১৯৭৩ পরবর্তীকালের নির্বাচনগুলি পর্য্যালোচনা ঠিকমত বিবেচনায় আনতে গেলে অবশ্যই চোখে পড়বে আগের দিনের (১৯৫৪, ১৯৭০,১৯৭৩) যে ধরণের প্রার্থীকে তখনকার রাজনৈতিক দলগুলি মনোনয়ন দিত সেগুলি ছিল নিম্নরূপ যোগ্যতা সম্পন্ন:
১. রাজনীতিতে, আন্দোলন সংগ্রামে দীর্ঘদিনের সক্রিয় সম্পৃক্ত;
২. সন্দেহাতীত দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা;
৩. ধনী নন, বিত্ত লোকীও নন কিন্তু সমাজ ও মানুষের প্রতি সীমাহীন দায়ব্ধতার অনুভূতি;
৪. সাধারণত পেশার দিক থেকে শিক্ষক, আইনজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়, ক্ষুদ্র বা মধ্য কৃষক প্রভৃতি;
৫. নৈতিকতায় প্রশ্নাতীত সৎ ও উন্নত চরিত্রের অধিকারী এবং সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী।

মোটাদাগে এমন গুণাবলী সম্পন্ন প্রার্থীরাই মনোনীত হতেন, নির্বাচনে জিতেও আসবেন বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে। কিন্তু তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণায় কোন জৌলুষ ছিল না। সামান্য কিছু সংখ্যক পোষ্টার ও লিফলেট (দলীয়) প্রতীকসহ বিলি করতেন এবং নির্বাচনী এলাকায় ঘনবসতিপূর্ণ স্থানের স্কুল বা খেলার মাঠে ইউনিয় প্রতি একটি করে ছোট বড়া জনসভা। সংবাদপত্র-টেলিভিশন তো তখন প্রায় ছিলই না। দলীয় প্রধানেরা বিশেষ ক্ষেত্রে একদিনের জন্য কোন জেলায় গিয়ে ২/৩টি জনসভায় নিজ দলীয় প্রার্থীদেরকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাঁকে জয়যুক্ত করার আহবান জানাতেন। কিন্তু আজ ?

আজ দেখা যায়, দলীয় মনোনয়ন নিতেই লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হয়। বড়দলগুলিতে মনোনয়ন বাণিজ্য ও চলে বলে ব্যাপক প্রচার আছে। নির্বাচন কমিশনকে জামানত হিসেবে দিতে হয় হাজার হাজার টাকা। অতীতে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্য্যন্ত ছিলা জামানত।

নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে গাড়ীঘোড়ার ব্যাপক ব্যবহার করতে দেখা যায় বিপুল পরিমাণ অথ্যব্যয়ে। নির্বাচনী প্রচারে মাইকের ব্যবহারে সংখ্যা নির্দিষ্ট করা থাকলেও বাস্তবে বিনা বাধায় প্রার্থীরা তার দ্বিগুণ তিনগুণ মাইক্রোবাস ভাড়া করে সকাল থেকে রাত অবধি হাটে-বাজারে, জনসভায়, সমাবেশে, পাড়ায় পাড়ায় অজ¯্র মিছিলে দিব্যি ব্যবহার করে থাকেন।

কর্মীদেরকেও (?) টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে গাড়ীতে তুলে নিয়ে মার্কা ও প্রার্থীর অনুকূলে জিন্দাবাদ ধ্বনিতে চতুর্দিক মুখরিত করতে দেখা যায়। আবার কর্মীদেরকে নাকি প্রতিদিন ভূরিভোজেও আপ্যায়িত করতে হয়।
আবার অনেকক্ষেত্রে কর্মীদের মাধ্যমে ভোটারদেরকে ভোট দিতে যেতে নিষেধ করে বলা হয় আমরাই আপনাদের ভোট দিয়ে দেব কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। গেলে বিপদ হবে এমন হুমকীও দেওয়া হয়। ভোটাররা অনেকক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতে নিজ নিজ নিরাপত্তা উদ্বিগ্ন বোধ করে থাকেন। ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সামগ্রিকভাবেই হুমকী ধমকীর মুখে ভয়-ভীতিতে থাকেন ভোটের আগে এবং পরেও অনেক দিন পর্য্যন্ত। এ সংকটের নির্ভরযোগ্য সমাধান সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে করতে হবে স্বাধীন ভোটদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।

একটি মোক্ষম প্রচারণা
সর্বশেষ আসা যাক একটি মোক্ষম প্রচারণা সম্পর্কে। প্র্রভাবশালী নানা মহলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে প্রচারণা চালিয়ে বলা হয়;

“অমুককে ভোট দিয়ে কি করবেন ? ত্যাঁ, এটা অবশ্যই সত্য যে উনি যোগ্য, সত্যবাদী, নি:স্বার্থ, সৎ প্রভৃতি। কিন্তু ওনার তো টাকা নাই বেশী কর্মীও নাই। তাই উনি তো হেরে যাবেন। সুতরায় তাঁকে ভোট দিলে আপনার মূল্যবান ভোটটি তো নষ্ট হবে-তাই অমুক মার্কায় ভোট দিবেন।”

এই প্রচারণার অর্থ ভালো লোককে ভোট দিলে ভোট নষ্ট হয়- খারাপ, অসৎ, দুর্নীতিবাজ হলেও ধনী লোককে ভোট দিলে ভোট কাজে লাগে। অদ্ভূত প্রচারণ-তবে এর বেশী কাটতি আছে। বহু ভাল প্রার্থী সততার/যোগ্যতার শীর্ষে থাকলেও হেরে যাচ্ছে।

তাই এ ব্যাপারে জনগণের মধ্যে সচেতনাতামূলক ব্যাপক প্রচারণা চালানোর প্রয়োজন নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।

ভোটারের দায়িত্ব
একটি নির্বাচনের গুরুত্ব অসীম যদি সেই নির্বাচন প্রকৃতই সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ এবং সকল দলের স্বত:স্ফূর্ত অংশ গ্রহণের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয়।
তার পরের কথা হলো ভোটাররা যদি তাঁদের মূল্যবান ভোট উপযুক্ত, সৎ এবং দেশ দরদী প্রার্থীর পক্ষে যায় তাঁদেরকে জয়যুক্ত করে তবেই হবে ঐ নির্বাচন স্বার্থক। ভোটাররা প্রচারের জৌলুষ দেখে নয় প্রার্থীর বাড়ী গাড়ী, কর্মী বাহিনী, তাঁর দল কত বড়-ক্ষমতায় যাবে কিনা এগুলি না ভেবে গরীবের প্রকৃত বন্ধু, সৎ প্রার্থীদেরকে জয়যুক্ত করেন তবে সংসদে তাঁরা বিরোধী দলে বসলেও জনগনের স্বার্থের স্বপক্ষে সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলবেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংসদের ভেতরে বাইরে লড়াই করবেন এটা উপলদ্ধি করা প্রয়োজন। তেমন প্রার্থীদের জয়ী না করার ফলেই কিন্তু সংসদে গরীবদের স্বার্থে কোন ও সিদ্ধান্ত হয় না।

লেখক : রণেশ মৈত্র, সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত


  • প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!