নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী আইন

 

 

নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী আইন
রণেশ মৈত্র

বাংলাদেশে বেশ কয়েক মাস হলো নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এ বাতাস বইয়ে দিয়েছে প্রধানত: দুটি বড় দলই। রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন আওয়ামী লীগ এবং ২০০৬ থেকে রাষ্ট্রক্ষমতা হারানো বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বি এন পি-যাঁদের একমাত্র লক্ষ্য ক্ষমতার আসনে পুনরায় অধিষ্ঠিত হওয়ায়। যেমন আওয়ামী লীগও যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকে যেতে চায় আগামী পাঁচটি বছরও।
রাজনৈতিক দলগুলি গঠিত হয় কতিপয় সুনির্দিষ্ট আদর্শের ভিত্তিতে প্রণীত কর্মসূচীগুলি বাস্তবায়নের জন্যে জনগণের সর্মথন নিয়ে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জনগণের স্বার্থে প্রণীত তাদের কর্মসূচীগুলি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে। সুতরাং দলগুলি যে ক্ষমতায় থাকতে বা ক্ষমতায় যেতে চাইবেন তা অত্যন্ত স্বাভাবিক।
তবে দেশবাসী যে ধরণের নির্বাচন কামনা করেন প্রায়শ:ই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলি বা নির্বাচন কমিশন আমাদের দেশে প্রায়শ:ই তা দিতে না পারায় মানুষের মনে নির্বাচনের প্রতি স্বত:স্ফূর্ত আগ্রহ খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। যেমনটা পেতে দেখেছি ১৯৫৪ সালে, ১৯৭০ সালে, ২০০১ সালে ২০০৮ সালে ও ১৯৯৬ সালে। বিস্তর স্বতস্ফূর্ততা দেখা গেছে সকল স্তরের মানুষের মধ্যে। যদিও নির্বাচনকালীন, তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পরিস্থিতিগুলি অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না।
তাই পূর্ব-সঞ্চিতি বহুবারের তিক্ত অভিজ্ঞতার ফলে অনেকে এখন সাধারণ নির্বাচন সহ সকল নির্বাচনকেই ভীতিকর বলে মনে করেন।
সাধারণভাবে হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু যে কোন নির্বাচনকেই গভীর আতংকের চোখেই দেখে থাকেন। সাধারণ মানুষ ভেবে থাকেন ভোট তো তাঁরা দেবেন কিন্তু ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখবেন না তো তাঁদের ভোট আগেই দেওয়া হয়ে গিয়েছে? এমন অভিজ্ঞতা বিশেষ কোন বছরের বা কোন বিশেষ নির্বাচনকে নিয়ে নয়-প্রায় সকল নির্বাচনেই অনেককে এমন অনাকাংখিত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন বহুবারই হতে হয়েছে। প্রার্থীদের পেশী শক্তি সম্পন্ন ক্যাডারদের দৌরাত্মে বা ভোট কেন্দ্রে গোপনে টাকার খেল ঘটে যাওয়ায় অথবা নির্বাচন পরিচালনা বা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের অসাধারণতা, অযোগ্যতা ও অপরাপর কারণে সৎ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বা ভোট গ্রহণ না হওয়ার ফলে।
আসন্ন নির্বাচনের বহু আগেই এবার যে নির্বাচনী দামামা বেজে উঠেছে তাকে ঘিরে যদিও এখন অবধি কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায় নি তবুও বাক-যুদ্ধে নেতারা যেভাবে একে অপরকে হেয়প্রতিপন্ন করার কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন তা ইতোমধ্যেই provocative রূপ ধরতে শুরু করেছে। নির্বাচনের এখনও অনেক সময় বাকী আছে। তাই এই বাক-যুদ্ধের উত্তাপ যে বাড়তে বাড়তে কোথায় নিয়ে যাবে তা অনুমান করা দুরূহ।
গণতন্ত্রের সংস্কৃতি হলো পারস্পরিক সহনশীলতা এবং ধৈর্য্যশীলতার সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি ১৯৭৩ এর নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত আর চটিত হতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে নির্বাচনও সুষ্ঠু হচ্ছে না। আমি জিতলে নির্বাচন সুষ্ঠু হলো-পরাজিত হলে নির্বাচনটি কারচুপি বা সুক্ষ কারচুপির নির্বাচন হলো বলে তা বর্জনের এবং নতুন করে আবার নির্বাচন চাই বলে হুংকার ছাড়ার সংস্কৃতি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। কিন্তু পরিপন্থী হলেও ঐ সংস্কৃতি চর্চায় আমাদের রাজনীতিতে বড় দল দুটির কোন ক্লান্তি নেই। ভোটারদের এবং তাঁদের পরিবার পরিজনদের ভীতির কারণটা সেখানেই।
বাংলাদেশে বরাবর নির্বাচন কমিশন আছে। নির্বাচন পরিচালনা করবেন তাঁরা। সাদা চোখে দেখলে তাঁরাই তা করেও থাকেন। কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় তাঁরা শাসন ক্ষমতায় যখন যাঁরা অধিষ্ঠিত তাঁরা যা বলছেন তোতা পাখীর মতো তাঁরাও তাই আউড়ে চলেছেন। ফলে তাঁদের বিশ্বস্ততা ও সর্বজনীন গ্রহণ যোগ্যতা যে তাঁরা নিজেদের কাজের দ্বারাই হারাচ্ছেন-তা যেন বুঝেও তাঁরা তা বুঝতে চান না।
এবারে নতুন নির্বাচন কমিশন মাত্র মাস কয়েক আগে গঠিত হয়েছে। তাঁদের পরিচালিত হবে নির্বাচনটি। এবং এই প্রথমবারের মতো। তাই তাঁরা সতর্কতা, সততা ও পরিপূর্ণ নিরপেক্ষতা অবলম্বন করে সুষ্ঠুভাবে সকলের অবাধ ও স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্বাচনটি দেশবাসীতে উপহার দেবেন এমনটাই আকাংখিত এবং প্রত্যাশীত। আর তার জন্যেঃ-
এক. তা করতে হলে তাঁদেরকে নির্ভুল এক আপডেট ভোটার তালিকা প্রথমেই প্রণয়ন করতে হবে। কোন মৃত ব্যক্তি বা একশ বছর হয় নি এমন কোন তরুণ-তরুণী যেন ভোটার না হতে পারেন সর্বপ্রথমে তাঁদেরকে সেই উদ্যোগ এখন থেকেই নিতে হবে;
দুই. জনসংখ্যা নয়-ভোটার সংখ্যা ও এলাকার সংলগ্নতার ভিত্তিতে নির্বাচনী এলাকা পুন: নির্ধারণ করতে হবে;
তিন. কাউকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে হলে তাঁকে মোট ভোটার সংখ্যার ৫০ ভাগের বেশী ভোট পেতেই হবে এবং না পেলে দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণ করে সর্বাধিক ভোট প্রাপ্তকে নির্বাচিত ঘোষণা করতে হবে।
অথবা
চার. সংখ্যানুপাতিক হারে প্রতিযোগীতার দলগুলিরর মধ্যে আসন বন্টন করার লক্ষ্যে দলগুলির কাছ থেকে preference মোতাবেক পরিবর্তনীয় প্রার্থী তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে অগ্রিম জমা দিতে হবে।
এই প্রথা আমাদের দেশে নতুন হলেও তা চালু করার দাবী রাখে। কারণ যে দল যত অংশ ভোট পেলো, গণতন্ত্রের বিধান অনুসারে সেই মোতাবেক আসন পেতে দলগুলি অধিকারী। এতে সংসদ আরও অনেক বেশী প্রতিনিধিত্বশীল হবে। আরও কিছু বাড়তি দল তাদের সাংসদ প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সংসদে তাদের মতামত তুলে ধরতে পারবে। বহুত্ব বাদী বা বহুমতের প্রতিনিধিকারী সাংসদ গঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
বস্তুত: আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা পদ্ধতি ও বিধিমালা গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশে আজও পরিপূর্ণভাবে সহায়ক হযে ওঠে নি। নিম্নক্ত বিষয়গুলি আঙ্গুল দিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দিচ্ছে-
প্রথমত: সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে ন্যূনতম কত ভাগ ভোট পেতে হবে আইনে তার উল্লেখ নেই।
দ্বিতীয়ত: নির্বাচনী আইনে এমন কোন কথার উল্লেখ নেই যে নির্বাচনী এলাকার কত শতাংশ ভোট পড়লে তবেই সে এলাকার নির্বাচন বৈধ বলে স্বীকৃত দেওযা হবে।
তৃতীয়ত: নির্বাচনের দিনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সরকার ছুটি ঘোষণা করে থাকেন বটে কিন্তু ভোটারদের ভোট প্রদান বাধ্যতামূলক না হওয়াতে প্রদত্ত সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে হয় না। এ ত্রুটি দূর করতে (রোগী বা বিদেশে অবস্থানকারী বাদে) হলে সকল ভোটারের ভোট প্রদানকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
চতুর্থত: প্রার্থী তার যোগ্যতা যেমন ২১ বছর বয়স ও নাগরিকত্ব তেমনই আবার তার জামানতের পরিমাণ অত্যধিক হওয়াতে যোগ্য, দেশ প্রেমিক সৎ ও দরিদ্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। তদুপরি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা, গাড়ী-ঘোড়া, কর্মী সংগ্রহ-নির্বাচনী এলাকা সমূহে তাদের যাতায়াত ও ভোটরদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন, লিফলেট, পোষ্টার, মাইক, সভা-সমাবেশ প্রভৃতির জন্য এবং নির্বাচনের দিন বুথ সন্নিকটস্থ ক্যাম্প স্থাপন ও ভোটারদের মধ্যে মার্কা বিতরণ প্রভৃতি বাবদে যে বিপুল ব্যয় বেশ কিছু কাল যাবত প্রার্থীদেরকে বহন করতে হচ্ছে তা নির্বাচনে রীতিমত ধনিক শ্রেণীর ব্যাপারে পরিণত করেছে। তদুপরি বড় বড় দলগুলি মনোনয়ন প্রার্থীতা বাবদ বিপুল অংকের টাকা প্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে থাকে তাও ধনিক স্বার্থেরই অনুকূলে।
পঞ্চমত: তাই অবিলম্বে নতুন আইন প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন ও দলের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে প্রার্থীদেরকে অনধিক পাঁচশত টাকা দিলেই তা (অপর কোন ত্রুটি না থাকলে) তা গ্রহণ করার অনুকূলে আইন করা প্রয়েজন। তদুপরি পোষ্টার লিফলেট প্রভৃতি নির্বাচন কশিন সরবরাহ করবেন এবং তাঁরাই প্রতিটি ইউনিয়নে সংম্লিষ্ট সকল প্রার্থীর পরিচিতি সভার আয়োজনও করবেন এমন বাধ্যতামূলক বিধান প্রণয়ন করাও অত্যন্ত জরুরী। কোন প্রার্থীই ব্যক্তিগতভাবে বা কোন দলই দলগতভাবে কোন প্রর্থীর অনুকূলে কোন পোষ্টার লিফলেট বা সভা-সমাবেশের আয়োজন করবেন না এমন বিধানও অপরিহার্য্য। তবে প্রার্থীরা নিজ নিজ ভোটারদের সাথে ব্যক্তিগত সাক্ষাত ও যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা প্রভৃতি অবশ্যই করবেন কিন্তু কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপর কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন কুৎসা বা অপপ্রচার চালাতে পারবেন না এবং করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে যাতে বিবেচিত হয় তেমন বিধানও করা প্রয়োজন।
ষষ্ঠত: কোন সরকারী কর্মচারী স্বাভাবিকভাবে অবসরগ্রহণের পর থেকে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে কোন রাজনৈতিক দলে যোগদান বা সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন না করতে পারেন, সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে এমন বিধান সংযোজন করা নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে অত্যন্ত জরুরী।
সপ্তমত: নির্বাচনী প্রচারণায় প্রকাশ্যে বা পরোক্ষে কোন ধর্মকে টেনে আনা যাবে না। কেউ আনলে তার তাৎক্ষণিক প্রার্থীতা বাতিল পাঁচলক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করা অত্যন্ত জরুরী।
অষ্টমত: নির্বাচন শেষে কোন প্রর্থীর নির্বাচন চ্যালেঞ্জ করে ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলা দায়েরের একবছরের মধ্যে বাধ্যতামূলকভঅবে নিষ্পত্তি করে রায়ের অনুলিপি প্রার্থীকে তৎক্ষণাৎ প্রদান করে ঐ রায়ের বিরুদ্ধ আপীল করতে হলে তা দুই সপ্তাহের মধ্যে দায়ের এবং দায়েরের ১২০ দিনের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে তা নিষ্পত্তির বিধান করে আইন সংশোধন করতে হবে।
নবমত: নির্বাচন কমিশনকে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত বিধিমালা সহজীকরণ এবং তা সাংবাৎসরিক করা প্রয়োজন কারণ বিদ্যমান আইন শুধুমাত্র সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলি প্রার্থী মনোনীত করবে এবং দলীয় প্রতীক বিতরণ করার যে নিয়ম ছিল গত বছর সরকার তা পরিবর্তন করে ইউনিয়ন পরিষদ উপজেলা ও জেলা পরিষদ এবং সিটি কমিশনগুলিতেও প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বিতরণ করার আইন করায় এবং ঐ সকল নির্বাচন ও সংসদ সহ সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজন উপনির্বাচনগুলি যেহেতু প্রায় সারা বছরই অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এখন আর শুধুমাত্র সংসদ নির্বাচনের কিছুকাল পূর্বে করার বিধান জরুরী ভিত্তিতে পরিবর্তনের দাবী রাখে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করে যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন ততই মঙ্গল।
দশমত: সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন বিধান সংসদ সদষ্যের সংখ্যা (ক্রমশ: জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেও) ৩০০ থেকে বৃদ্ধি করে ৪০০ করা প্রয়োজন এবং তার মধ্যে ১০০ আসন নারীর জন্য এবং ৪০ টি আসন ধর্মীয় ও জাতিশত সংখ্যালঘুদের জন্য নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন। সকল ক্ষেত্রেই সরাসরি ভোটেরও ব্যবস্থা চালু করা হোক। ৪০০ আসনে উন্নীত করে সংসদীয় এলাকাও নতুন করে ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে পুন: নির্ধারণ করা হোক।
এবারে ফিরে আসি আবারও গণতান্ত্রিক ও পারস্পারিক সহনশীলতার বিষয়ে।
নির্বাচন কমিশন যতই নিরপেক্ষ হোক না কেন রাজনৈতিক দলগুলি যদি গণতান্ত্রিক ও সহনশীলতার সংস্কৃতি পরস্পরের মধ্যে চালু না করেন, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ বিচ্যুত হয়ে অহর্নিশি একে অপরের চরিত্র হনন ও কুৎসা প্রচারে নিমগ্ন থেকে পারস্পারিক হানাহানিতে লিপ্ত হন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং শান্তিুপূর্ণ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া অসম্ভব। সে কারণে রাজনৈতিক দলগুলি পরস্পরের সমালোচনা যেমন করবেন, তেমনি পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সেই সমালোচনা গঠনমূলকভাবে করলে দেশ ও জাতির যেমন কল্যাণ, গণতন্ত্রে অভিযাত্রাও তেমনই সহজতর হবে।
অপরপক্ষে নির্বাচন কমিশন তার প্রাপ্ত দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠাশীল থেকে সকল দল ও সুধী সমাজের মতামতের ভিত্তিতে তাঁদের দায়িত্ব পালনে দৃড়ভাবে ব্রতী হলে রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের লক্ষ্যে অভিযাত্রা আরও সহজতর হবে। নতুবা বিপর্য্যস্ত হবে গণতন্ত্রের দিকে অভিযাত্রা ও সমস্যা সংকুল হবে দেশের প্রশাসন, নির্বাচন ও সংশ্লিষ্ট সকল কিছু।

লেখক
রণেশ মৈত্র
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, পাবনা
E-mail:raneshmaitra@gmail.com


 

 

 

 

 

 

  • প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!