পঞ্চগড়ের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

পঞ্চগড়ের বোদায় পারিবার কর্তৃক নির্যাতিত মেধাবী ছাত্রী জিন্না আক্তার জেরিনের (১৫) আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে উপজেলা পরিষদের সামনে বোদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচী পালন করে।

মানববন্ধন শেষে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী পরিবারের সদস্যদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হয়। মানবন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের দাবি, বোদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী জিন্না আক্তার জেরিনের লিখে যাওয়া চিরকুট উদ্ধার করে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থরা জানান, নিহত জিন্না আক্তার জেরিনের বাবা তার ভাবী মরিয়মের সাথে পরকীয়ার জড়িত। জেরিন ও তার মা তাকে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। আত্মহত্যায় আগে জেরিনের একটি লিখে যাওয়া চিরকুট পাওয়া গেলেও তার চাচা আমিনুল সেটি গায়েব করে দেয়। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে জেরিনের লিখে যাওয়া চিরকুট পাওয়ার পর।

এ বিষয়ে বোদা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম জানান, জেরিনের বাবার পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার ফলে তার ও তার মায়ের সাথে অমানুষিক নির্যাতন করা হতো। তাদের ঠিকমত ভরণ পোষন ও খাওয়া দাওয়া দেওয়া হতো না।
আত্মহত্যার দিনে জেরিন প্রাইভেট শেষ করেই বাসায় গিয়েছিল। বাসা যাওয়ার পর কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। তবে আত্মহত্যা বা হত্যা যেটাই হোক না কেন তার মূলে রয়েছে তার বাবার অমানুষিক নির্যাতন। তাই তার বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার করে তদন্ত করা হলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে। এরকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় বা বাবার পরকীয়ার বলিযাতে কোন সন্তানকে না হতে হয় তার জন্য এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।

জানা যায়, গত সোমবার (২১ জানয়ারী) বিকেলে নিজ ঘরের আড়ায় জেরিনের গলায়ফাঁস লাগানো লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন নিচে নামিয়ে আনে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খরব দিলে পুলিশের একটি দল লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!