পথভোলা পথিক

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

কোথাও দেবের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে দর্শক-সমর্থকদের। কোথাও আবার দর্শক-সমর্থকদের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে খোদ দেবকে। ডোমকলে সোমবার দুপুর ১২টায় আসার কথা ছিল দেবের। কিন্তু তিনি এলেন পাক্কা ৩টেয়। এ দিকে, প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চৈত্রের চাঁদিফাটা রোদে অপেক্ষা করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বেশ কয়েক জন শিশু ও মহিলা। উল্টো ছবি দেখা গিয়েছে কান্দির খড়গ্রামে।

সেখানে দেবের আসার কথা ছিল দুপুর আড়াইটে নাগাদ। কিন্তু প্রায় সোয়া দু’ঘণ্টা আগেই তিনি সেখানে এসে হাজির হন। মাঠ তখন ফাঁকা। নেতা-কর্মীদেরও দেখা নেই। কয়েক জন ডেকোরেটরের কর্মী মাইক বাঁধার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এমন সময়ে আচমকা খড়গ্রামের আকাশে হেলিকপ্টারের শব্দ শুনে নগরের লোকজন মেলার মাঠের দিকে ছুটতে থাকেন। মাঠে ফাঁকা থাকায় কপ্টার থেকে নেমে আসার পরে নগর বাজার এলাকায় খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি সামশের আলির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় দেবকে।

এত তাড়াতাড়ি আসার কারণ? উত্তরে দেব বলছেন, “আমার জলঙ্গি যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে সভা ছিল সাড়ে ১২টায়। কিন্তু পাইলট পথ ভুলে এখানে সিগন্যাল পেয়ে নামায় কপ্টার। তাই এত তাড়াতাড়ি চলে এসেছি।’’ খড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল সভাপতি মফিজুদ্দিন মণ্ডল বলছেন, “দুপুরের সভা বলে আমরা যে পরিমাণ লোক আশা করেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি লোক হয়েছে।”

এ দিকে দেব-দর্শনের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে ডোমকলকে। দর্শক-সমর্থদের মাঠে ধরে রাখার জন্য নেতারা নাগাড়ে মাইকে বলে চলেন— ‘হেলিকপ্টার এল বলে।’

ঝিমিয়ে পড়া পুলিশকর্তারা টান টান হয়ে উঠে দাঁড়ান। কিন্তু দেখা মেলেনি দেবের। মাঠ যখন প্রায় ফাঁকা হওয়ার উপক্রম, তখন জলঙ্গির আকাশে দেখা মিলল কপ্টারের। বাড়ির উদ্দেশে হাঁটা লাগানো কিছু মানুষ ফের দৌড় লাগালেন মাঠের দিকে। কয়েক মিনিট দেব-দর্শন করে ঘাম মুছতে মুছতে তাঁরাও বাড়ির পথ ধরেন।

এ দিন বিকেলে শমসেরগঞ্জের চাচণ্ডায় এক নির্বাচনী জনসভাতেও হাজির ছিলেন দেব। এ দিন দেবের পাইলটের পথ ভুলে করে ফেলার কারণে অনেকে খোদ নায়ককেই বলেছেন, ‘‘পথভোলা পথিক!’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!