ফাইনালে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

বাংলাদেশ ফাইনালে উঠল কোনো ম্যাচ না হেরে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ উঠেছে শুধু আইরিশদের হারিয়ে, বাংলাদেশের কাছে হেরেছে টানা দুই ম্যাচ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত ম্যাচের তুলনায় আজ বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল আরেকটু সহজ। ২৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৪ রান যোগ করে তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার। কিন্তু অ্যাশলে নার্স এলোমেলো করে দিলেন সে ভাবনায়। নার্সের বলে তামিম ২১ রানে আউট হওয়ার পর সৌম্য সরকার-সাকিব আল হাসান এগোচ্ছিলেন ভালোভাবেই। কিন্তু ২১তম ওভারে নার্সের পরপর দুই ধাক্কায় বাংলাদেশ একটু চাপেই পড়ে গিয়েছিল। ২০ ওভারে ১ উইকেটে ১০১ রান তোলা বাংলাদেশের স্কোর হুট করে হয়ে যায় ৩ উইকেটে ১০৭। ক্যারিবীয় ফিল্ডারদের হাত পিচ্ছিল না হয়ে উঠলে বিপদ আরও বাড়তে পারত।

নার্সের আগের ওভারেই অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন সৌম্য। তার আগে অবশ্য টানা দ্বিতীয়বারের মতো পেয়েছেন ফিফটি ৬৭ বলে ৫৪ রান করে। ২০১৭ সালে এই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দুটি ফিফটি পেয়েছিলেন। গত বছর ‘এ’ দলের হয়ে সফরটাও তাঁর কেটেছে দুর্দান্ত।

নার্সেরই বলে শর্ট কাভারে চেজের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ২৯ রান করা সাকিব। নার্সের এক ওভারে সৌম্য-সাকিব ফিরে যাওয়ায় একটু চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ।

মুশফিক-মিঠুনের চতুর্থ উইকেট জুটি ৮৩ রান যোগ করে ধাক্কাটা ভালোভাবেই সামলিয়েছে। হোল্ডারের বলে বোল্ড হয়ে মিঠুন ফিরেছেন ৪৩ রানে।

মুশফিক ব্রাভোর ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৩০ রান করে।

গত দেড় বছরে যে কটি ত্রিদেশীয় সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্ট খেলেছে বাংলাদেশ, প্রতিটির ফাইনালে উঠেছে। কিন্তু জেতা হয়নি একটিও। ২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজ, নিদাহাস ট্রফি কিংবা গত এশিয়া কাপ—প্রতিটি ফাইনাল বেদনার গল্প হয়ে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!