বইমেলার ১৯ তম দিনে গুণীজনদের আলোচনা- এই বনমালীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুখে উচ্চারিত হয়েছিল পাবনার মানুষ সভ্য

 

 

নিজস্ব প্রতিনিধি  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

এই পাবনার বনমালীতে বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুখে উচ্চারিত হয়েছিল পাবনার মানুষ সভ্য। বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে বৃহত্তর পাবনা জেলার অনেক প্রখ্যাত সাহিত্যিক লেখকের উপস্থিতিতে তিনি এই কথা বলেছিলেন। এসব বক্তব্য উঠে আসে গতকাল বইমেলার ১৯ তম দিনে পাবনার বিশিষ্ট গুণীজনদের আলোচনায়। তারা বলেন পাবনার বইমেলা উৎসবের মেলা, এই উৎসবের আলো ছড়িয়ে পড়ুক পাবনার প্রান্তে প্রান্তে। আজকে আমরা অনেকেই ভুলে যেতে বসেছি সারা দেশের মধ্যে পাবনা জেলা প্রথম স্বাধীন হয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্বত:স্ফূর্ত জনগণের যুদ্ধে। এই সময়ের যুদ্ধে বিডিআর কিংবা সেনাবাহিনীর কোন সদস্য তাদের সাথে ছিলেন না। এটা আমাদের পাবনাবাসীর গৌরব ও অহংকার। এই মাঠেই মাসব্যাপী বই মেলা হচ্ছে। এখানেই প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল। এই অঙ্গন বীরের স্মৃতি বহন করে চলেছে।
গুণী আলোচকরা বাংলা ভাষা, লিপি, বর্ণ প্রভৃতির বিবর্তন, উৎকর্ষতা নিয়ে কথা বলেছেন। নতুন প্রজন্মকে এই বাংলা ভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল হওয়ার তাগাদা দিয়েছেন। তারা বলেন ভাল লাগে বলেই প্রাণের টানে আসি এই খানে, এই বইমেলাতে।
গুণীজনদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,ভাষা সৈনিক ও সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. গোলাম হাসনায়েন, বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ প্রফেসর মোঃ কামরুজ্জামান, বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ও লেখক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন জাহেদী, বীর মুক্তিযোদ্ধা  ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক বেবী ইসলাম।
মেলামঞ্চে পাবনার এই গুণীজনদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান বইমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ। সঞ্চালনা করেন এ্যাড. মুসফেকা জাহান কণিকা  ও ড. হাবিবুল্লাহ।
১৯তম দিনে মেলা মঞ্চে পাবনা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন কাবের সঙ্গীত ও নৃত্য, সোনার বাংলা মা একাডেমির নৃত্য, শহীদ এমএ গফুর সাংস্কৃতিক একাডেমির সঙ্গীত এবং আয়না সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর নাকট মঞ্চস্থ হয়।

pabna-boi-mela-19-day-pic2

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!