মাশরাফিকে হারিয়ে মুশফিকের জয়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১৪তম ম্যাচে জয় পেয়েছে মুশফিকুর রহিমের সিলেট সুপারস্টারস। মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৪ উইকেট হারিয়েছে সিলেট। দুই বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় মুশফিকবাহিনী।

সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেট দলপতি মুশফিকুর রহিম। সিলেট সুপার স্টারসকে ১৬৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেট হারানো সিলেট ১৯.৪ ওভার ব্যাট করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। দলকে জেতাতে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন মুশফিক-বোপারা।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ৫৬ রান তোলেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। সপ্তম ওভারের মাথায় লিটন (৪২) আউট হলেও অপর প্রান্ত আগলে রাখেন ইমরুল। কিন্তু, ১০ রান যোগ হতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাকিস্তানের মুক্তার আহমেদ (১) ও শুভাগত হোম (০)।

পাকিস্তানি আশার জাইদির সঙ্গে চতুর্থ উইকেট পার্টনারশিপে ৬২ রান যোগ করেন ইমরুল। মাত্র দুই রানের জন্য অর্ধশতক বঞ্চিত হন ইমরুল। রবি বোপারার বলে নাজমুল হোসেনের তালুবন্দি হন ২৮ বছর বয়সী এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। নির্ধারিত ওভার শেষে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ১৬৪ রান। অর্ধশতক হাঁকিয়ে জাইদি ৫৩ ও মাশরাফি ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।

সিলেটের হয়ে একাই চারটি উইকেট লাভ করেন অভিজ্ঞ ইংলিশ মিডিয়াম পেসার রবি বোপারা।

১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৩২ রান তুলে নেন সিলেটের দুই ওপেনার মুনাবেরা এবং মুমিনুল হক। ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামলেও এ ম্যাচে মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৯ রান। আবু হায়দার রনির বলে উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন মুমিনুল। পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে সিলেট এক উইকেট হারিয়ে তোলে ৪৭ রান।

মুমিনুলের বিদায়ের পর স্কোরবোর্ডে আর ২০ রান যোগ হতে ফেরেন আরেক ওপেনার মুনাবেরা। আবু হায়দারের দ্বিতীয় শিকারে সানজামুল ইসলামের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে মুনাবেরা ২৬ বলে তিনটি চার আর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৬ রান করেন।

দলীয় ৫২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর দলের রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন দলপতি মুশফিকুর রহিম এবং রবি বোপারা। এ জুটি থেকে আসে ৮৭ রান। দলীয় ১৭তম ওভারের শেষ বলে লঙ্কান পেসার কুলাসেকারার বলে বোল্ড হন মুশফিক। বিদায় নেওয়ার আগে ৩১ বলে চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪৭ রান করেন সিলেট দলপতি।

মুশফিক ফিরলেও জয়ের দিকে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন রবি বোপারা এবং হাম্মাদ আজম। ১৯তম ওভারে কুলাসেকারা ফিরিয়ে দেন আজমকে। তবে শুভাগত হোমের তালুবন্দি হওয়ার আগে কাজের কাজটি করে যান আজম। ৬ বল মোকাবেলা করে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৩ রান করে দলের জয় কিছুটা নিশ্চিত করে রাখেন তিনি।

আরেক প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়ে যান বোপারা। অর্ধশতক হাঁকিয়ে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আবু হায়দার ফিরিয়ে দেন বোপারাকে। ৩৮ বলে সাজানো তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার আর একটি ছক্কা। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে আবু হায়দার বোল্ড করেন সিহান জয়সুরিয়াকে। তবে, আবু হায়দারের হ্যাটট্রিক বলে (চতুর্থ বল) ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন নাজমুল হোসেন মিলন।

কুমিল্লার হয়ে মাশরাফি ৪ ওভার বল করে উইকেট শূন্য থাকেন। ৩.৪ ওভারে ২৮ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন আবু হায়দার। এছাড়া দুটি উইকেট পান কুলাসেকারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!