ময়মনসিংহের ভালুকায় ফলছে আমেরিকার দূর্লভ ফল অ্যাভোকাডো

ময়মনসিংহের ভালুকায় ফলছে আমেরিকা ও ইউরোপের বিখ্যাত ফল অ্যাভোকাডো। অত্যন্ত পুষ্টিগুন ও সুস্বাধু ফলটিকে বাংলায় মাখন ফল বলা হয়। ফলটি যেমন পুষ্টিতে ভরপুর তেমিনি ঔষধিগুন সমৃদ্ধ। ফলটিতে চিনির পরিমান কম বিধায় ডায়েবেটিস রোগীরা অনায়াসে খেতে পারেন। ভিটামিনের দিক দিয়ে এই ফলে ভিটামিন বি,কে,সি ও ই সবগুলো উপাদান আছে।

অ্যাভোকাডো মাংসে সবজী হিসাবে ,সালাত হিসাবে ও শরবত হিসাবে ব্যবহার করা যায়। বিদেশী এই ফলটি সখের বশে ভালুকায় মল্লিকবাড়ী ব্যাপ্টিষ্ট মিশন এ লাগানো হয় গত কয়েক বছর পৃর্বে বর্তমানে সব কটি গাছে ব্যাপক ফলন ধরছে। দেখতে লেবুর মত ফলটি দুলছে প্রতিটি গাছে। মল্লিকবাড়ী মিশন- শেডর্বোড প্রজেক্ট ইনচার্জ মি.পল বোস জানান-গত ৬ বছর পৃর্বে একজন ফরেনার এই গাছের চারা লাগিয়ে দিয়েছিলো এখন তা বিস্তৃত বাগানে পরিনত হয়েছে। এসব গাছ কয়েক বছর যাবত ফল দিচ্ছে।

evokado2
অ্যাভোকাডো গাছ

এবছর গাছগুলোতে অনেক ফল ধরছে। আমরা আগে জানতাম না এ ফলটি একটি মূল্যবান ফল। এখন জানতে পেরে আমরা আমাদের এনজিও এর মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করছি। বানিজ্যিকভাবে এই ফলটি চাষের পরিকল্পনা করছেন ভালুকার গ্রামাঞ্চলের চাষীরা । সরকারী পৃষ্টপোষকতা ও সহযোগিতা পেলে বিদেশী এই ফলটি বাংলাদেশে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা সম্ভব বলে মনে করেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা ।

ভালুকা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, অ্যাভোকাডো ফলটি অত্যন্ত পুষিটগুন সমৃদ্ধ এবং এই ফলের বর্তমানে কোন জাত আমাদের কাছে নাই । বাংলাদেশের উঁচু জায়গায় এর ফলন করা যায় । বানিজ্যিক ভাবে এই ফলের কোন বাগান আছে বলে আমার জানা নেই। তবে ভালুকায় এই ফলের ফলন হয়েছে এটাই প্রথম। সরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে আমরা ভালুকায় এই ফলের বাগান গড়ে তুলতে পারবো ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আজম খান বলেন-অ্যাভোকাডো অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। বাংলায় একে মাখন ফল বলা হয়। ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ওষধীগুন স¤পন্ন হওয়ায় একে মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে ধরা হয়। ভালুকায় বিগত ৪ বছর ধরে মল্লিকবাড়ী মিশনে দুটি গাছে সফলভাবে ফল দিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে এটির সম্প্রসারণের কাজও এগিয়ে চলছে বলেও তিনি জানান।

সারাদেশে মোট ১৪টি অ্যাভোকাডো ফলের গাছ রয়েছে এবং ভালুকায় দু‘টো, মধুপুরে রয়েছে ১০টি। ক্যান্সার,ডায়াবেটিক রোগসহ অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ও এ ফলটি গুরুত্বপুর্ন।বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এটি উৎপাদন হওয়ায় বানিজ্যিক ভাবে চাষের সম্ভাবনা রয়েছে-এমনটিই বললেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

তথ্য সূত্র : রূপসী বাংলা টিভি ডট কম
প্রতিনিধি : আল আমিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!