হাসপাতালে বিয়ের আয়োজন!

অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল। সরকারি এই হাসপাতালের বাবুর্চির মেয়ের বিয়ে হয়ে গেল গতকাল শুক্রবার দুপুরে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে হাসপাতালের নতুন ভবনের ভেতরেই করা হয় বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন। বিয়ের আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে উচ্চশব্দে বাজছিল হিন্দি গান, সঙ্গে উদ্দাম নাচ। পাশের ঘরেই শুয়ে আছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশ কয়েকজন রোগী। গানের শব্দে অতিষ্ঠ তারা। হাসপাতালের মতো জায়গায় কীভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করার অনুমতি মিললো—এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন তারা।

হাসপাতালের বাবুর্চি আলী আজগর তার মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন হাসপাতাল ভবনের তৃতীয় তলায়। এলাকাবাসী ও কয়েকজন চিকিত্সক জানান, বাবুর্চি আলী আজগর হাসপাতালের ভেতরেই বসবাস করেন। সম্প্রতি তার মেয়ে সুমি আক্তারের বিয়ে ঠিক হয়। এজন্য তিনি সরকারি হাসপাতালে যেখানে শত শত রোগী চিকিতসা নিচ্ছেন সেরকম একটি স্থানে নিজের মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে হাসপাতালের ভেতরে উচ্চশব্দে গান বাজানো হচ্ছে। এতে পাশের ওয়ার্ডের রোগীদের কান ঝালাপালা হবার জোগাড়।

নতুন ভবনের সামনে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। নিচতলায় গতকাল দুপুরে বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তৃতীয় তলায় ডেঙ্গু রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের পাশের একটি কক্ষে বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। সেখানে হাই ভলিউমে বাংলা হিন্দি গান বাজানো হচ্ছিল। গানের তালে তালে ছেলেমেয়েরা নাচানাচিও করছে।

হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে মুরগি রাখা হয়। একটি কক্ষে পিঁয়াজ, মরিচ ও মসলা বাটার কাজ চলছিল। রান্নার জন্য ১০-১২টি ডেগও আনা হয়। হাসপাতালে বিয়ের এমন আয়োজনে রোগীরা যেমন বিরক্ত হন তেমনি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কমর উদ্দিন বলেন, আলী আজগর হাসপাতালের একজন স্টাফ। তাই তার মেয়ের বিয়ের আয়োজনের অনুমতি দিয়েছি। এতে অসুবিধার কিছু নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!